প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতে হচ্ছে কর্মসংস্থান, কমছে পরিবেশ দূষণ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

নীলফামারীতে মানুষের ব্যবহৃত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পরিবেশ দূষণ রোধের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্ব বহন করছে এ প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম ৷

জেলার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় প্লাস্টিকের কুচি তৈরির কারখানা তৈরি হয়েছে। ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল, ভাঙা প্লাস্টিক বর্জ্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে প্লাস্টিক কুচি শুকাতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। সেখানে যত্রতত্র ফেলা দেওয়া মানুষের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের আর্বজনা এনে প্লাস্টিক কুচি শুকাতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। আবার কেউ কেউ সেই স্তূপ থেকে একদিকে বোতল, কোথাও স্যালাইনের ব্যাগ, কোথাও সিরিঞ্জ, কোথাও বোতলের ছিপি ভাগ করে রাখছেন।

বিজ্ঞাপন

আরও জানা যায়, এসব কারখানায় প্লাস্টিকের পুরোনো বোতল, স্যালাইনের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের কভার, সিরিঞ্জসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের পণ্য মেশিনে ভেঙে তৈরি করা হয় কুচি।

কিশোরগঞ্জের শ্বশান বাজার এলাকার কারখানায় কাজ করা শ্রমিক মেঘলা রানী বলেন, 'আগে মানুষের জমিতে সারাদিন কৃষি কাজ করতাম এখন এখানে ৮ ঘণ্টা কাজ করে ৪০০ টাকা মজুরি পাই। এখানে আমি বোতলের স্টিকার খোলার কাজ করি। কাজে কোন ধরনের সমস্যা নাই বসে বসে কাজ করি।'

বিজ্ঞাপন

আরেক শ্রমিক আল আমিন ইসলাম বলেন, 'আমি আগে অভাবের সংসারে ঢাকায় গিয়ে বিল্ডিং তৈরির কাজ করতাম। মাঝখানে পড়ে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাই তারপর এখানে এসে কাজ করি।'

এসব কারখানায় শ্রমিকরা প্লাস্টিকের পণ্যগুলো প্রথমে ভাগ করে রাখেন। এরপর সেসব দ্রব্য নিয়ে এসে মেশিনে দিয়ে কুচি তৈরি করা হয়। এসব কুচি ওয়াস মেশিনে পরিষ্কারের পর রোদে শুকানো হয়। পরে বস্তায় ভরে প্যাকেটজাত করা হয় বিক্রির জন্য।


প্লাস্টিক সংগ্রহ করে নিয়ে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে এসব প্লাস্টিক সংগ্রহ করি। যা এখানে বিক্রি করি এতে আমাদের সংসার চলে।মানুষের ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেলে না দিয়ে এখন মানুষ জমা করে রাখে তা কিনে এনে আমি এখানে বিক্রি করি।

কারাখানার মালিক আহসান হাবীব জানায়, শ্রমিকরা প্লাস্টিকের পণ্যগুলো ভাগ করে রাখেন। সেসব দ্রব্য নিয়ে এসে মেশিনে দিয়ে কুচি তৈরি করা হয়। এরপর এসব কুচি ওয়াস মেশিনে পরিষ্কারের পর রোদে শুকানো হয়। পরে বস্তায় ভরে প্যাকেট জাত করা হয় বিক্রির জন্য। সেগুলো ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী এসে কিনে নিয়ে যায়। তারা আবার সেগুলো দিয়ে বড় বড় কারখানায় নতুন প্লাস্টিকের জিনিসপত্র তৈরি করেন অনেকে বিদেশে রফতানি করেন।


নীলফামারী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ বলেন, 'ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে পরিবেশ তার দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। পাশাপাশি এসব কারখানায় কাজ করে অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী।'