লক্ষ্মীপুরে ধসে পড়েছে ব্রিজ, দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ
পানির তীব্র স্রোতে লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে থাকা রহমত খালী খালের ওপরের ব্রিজটি ধসে পড়েছে। ফলে কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত এবং ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচলকৃত ছয় গ্রামের প্রায় লাখো মানুষের চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ধসে পড়া ব্রিজের স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসান জানান, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে রহমতখালী খালের ওপর ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতর থেকে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ১৯ মিটার দৈর্ঘের ব্রিজটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। বর্ষার শুরু থেকেই রহমতখালী খালে তীব্র স্রোত বয়ে চলে। সাম্প্রতিক বন্যায় স্রোতের গতি আরও বেড়ে যায়। স্রোতের তোড়ে বহু পুরোনো ব্রিজটির ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া ব্রিজের দক্ষিণ অংশের মাটি সরে যায়। গত রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ ব্রিজের দক্ষিণাংশ সড়কসহ ব্রিজটির মাঝামাঝি পর্যন্ত ধসে পড়ে। এতে অনেকটাই চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রিমন জানান, ব্রিজের উত্তর পাশে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক, দক্ষিণ পাশে কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ। কলেজের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী এ ব্রিজের ওপর দিয়ে কলেজে যাতায়াত করে। এছাড়া দক্ষিণ পাশে ছয় গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করে।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিক বলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর, রাজাপুর, রামকৃষ্ণপুর, চরশাহী ইউনিয়ন হয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের সঙ্গে এসব এলাকার অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষের প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল। বর্তমানে ব্রিজ ভেঙে এসব মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আশপাশের নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা এখন ঝুঁকি নিয়ে গাছের গুঁড়ির ওপর দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছেন।
কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্রিজটি ধসে পড়ায় উত্তর অংশের শিক্ষার্থীরা কলেজে আসতে পারছে না। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, রহমখালী খালে তীব্র স্রোতে ব্রিজটি ধসে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ওই স্থানে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও সাময়িক চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।