‘নিচু দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হচ্ছেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিচু দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পিপিআরসি চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ 'বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্র-সময়ের দাবি' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি'র ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বৈষম্যের জায়গা হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির বৈষম্য। আমি যখন কারিগরি শিক্ষার দায়িত্বে ছিলাম তখন একটি বিষয় উঠে এসেছে, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে একটি নেতিবাচক ধারণা আমরাও ধারণ করি৷ এটি হয়তো একটু নিচু লেভেলের শিক্ষা। এই দৃষ্টি ভাঙ্গা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ধরণের ভূমিকা রাখা সম্ভব। এটিকে বিশ্বমানের শিক্ষা হিসেবে চিন্তা করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য প্রায়োগিক ক্ষেত্রকে কিভাবে সাজাতে পারি সেটা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলেও যোগ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা।
মাঠে ও ডেস্কে কাজ করা দুইটাই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত কাজে বৈষম্য প্রবলভাবে আছে। মাঠে যারা কাজ করে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়। দ্বিতীয় শ্রেণীর হিসেবে চিন্তা করা হয়৷ এটা কোনভাবেই দ্বিতীয় স্তর হতে পারে না। একদিকে গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার আরেক দিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, দুইটাই সম গুরুত্বপূর্ণ। উচু-নিচুর বিষয় নয়, ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র। সেখান থেকে বের হবার উপায়গুলো আমাদের খুজে বের করা দরকার।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন জায়গায় শূন্যপদ আছে, মানুষ দরকার অথচ পদ শূন্য। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট অনেক পদ আছে কিন্তু শূন্যপদ, পড়ে আছে। শুধু ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট না, প্রাইমারি শিক্ষায় প্রধান শিক্ষক পদও শূন্য আছে। একদিকে বেকারত্ব আছে, আরেকদিকে শূন্যপদও পড়ে আছে, আবার নিয়োগ আটকে আছে। এই অদ্ভুত ত্রিভুজ কিন্তু বৈষম্যের অন্যতম একটি চেহারা। এই অদ্ভুত ত্রিভুজের কোনো ব্যাখ্যা নাই। এটা নজরে আনা জরুরি এবং ভাঙাও জরুরি।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।