আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ, উদ্ধারের দাবি ভুক্তভোগীর
জাতীয়
নরসিংদী-২ (পলাশে) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ও কামরুল আশরাফ খান পোটনের প্রভাবে দখল করা বাড়িসহ জমি ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ভাগ্যেরপাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পরিবারটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রনি ভূঁইয়া, ভাতিজা আল মদন ভুঁইয়া, প্রতিবেশী মিলন খান ও জয়নাল আবদীন।
এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী নুরুল হক ভুইয়া জানান, পলাশের সাবেক দুই এমপি দিলীপ ও পোটনের প্রভাব খাটিয়ে হারুনুর রশিদ নামক এক ব্যক্তি তাদের বাড়িটি দখল করে নেয়। একাধিকবার নুরুল হকের পক্ষে আদালতের রায় আসলেও বাড়িটি দখলে যেতে পারছিল না পরিবারটি। উপরন্তু বাড়ি ফিরে পেতে চাইলে তাদেরকে হত্যাসহ হামলা-মামলার হুমকি দেয়া হতো।
বিজ্ঞাপন
এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সাংসদের প্রভাবে হারুনুর রশিদ এলাকায় বেশ কিছু অপকর্ম করে আসছে। বিভিন্ন মানুষের জমি দখলসহ হামলার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের আগ্রহ আছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সরে যাবে। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয় সরকার।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যদি বলি নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই তাহলে সঠিক কথা বলা হবে না। তারা (যুক্তরাজ্য) আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তারা (যুক্তরাজ্য) জানতে চেয়েছে কীভাবে আমাদের সহায়তা করতে পারে। আমি বলেছি, এখানে আমাদের কারও রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়ে সরে যেতে চাই; এটাই আমাদের লক্ষ্য, এখন যেটুকু সময় লাগে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে জানি না কবে নাগাদ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ, কতগুলো কমিশন কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে আমরা বুঝতে পারব কত তাড়াতাড়ি আমরা এই কাজটা করতে সক্ষম হব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কবে যাবেন, সেটা তার ব্যাপার।
ভাঙ্গায় আলোমতি বেগম (৬০) নামক এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল হক শেখের স্ত্রী। তাদের ৪ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ঘর থেকে বের হন আলোমতির ছেলে ফোরকান শেখের স্ত্রী আদুরী বেগম। তিনি ঘরের পিছনে বাঁশ বাগানে একটি গাছের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার শাশুড়িকে দেখতে পায়। তিনি চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে । তারা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে গাছ থেকে নামায় এবং মৃত দেখতে পায়।
পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেয়। ভাঙ্গা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। আব্দুল হক শেখের স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও জানান পরিবারের লোকজন।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ওই মহিলা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
কক্সবাজারের উৎপাদিত লবন দিয়ে চলে সারাদেশ। বলতে গেলে ৯০ শতাংশ লবন উৎপাদন হয় এই জেলায়। সাদা সোনা খ্যাত লবণ উৎপাদনের আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজারের লবণ চাষীরা। জেলার কিছু কিছু জায়গায় ইতোমধ্যে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে নভেম্বরে মৌসুমের শেষে ঝড় বা বৃষ্টির আশঙ্কাটা শেষ হলেই পুরোদমে শুরু হবে লবণ উৎপাদন। কক্সবাজার বিসিকও বলছে একই কথা। ১০-১৫ দিন পরে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হবে জেলাজুড়ে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) মহেশখালীর কিছু অংশে আগাম লবণ মাঠে কাজ করতে দেখা মিলেছে চাষিদের। বিশেষ করে মহেশখালী, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কালারমারছড়া, হোয়ানক, কুতুবজুম, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর লবণ উৎপাদনের হাব। সেখানকার কিছু জায়গায় লবণ উৎপাদন হচ্ছে। একই অবস্থা কুতুবদিয়ায়ও। সেখানেও অগ্রিম লবণ চাষ শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের খুরুশকুল, ভারুয়াখালী ও চৌফলদন্ডীতেও লবণ উৎপাদনের প্রস্তুতি দেখা গেছে।
চলতি মৌসুমে কুতুবদিয়ায় ৪ নভেম্বর প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়। স্থানীয় চাষিদের মতে, কুতুবদিয়ায় ৭০ শতাংশ, পেকুয়ায় ৫০ শতাংশ, টেকনাফে ১০ শতাংশ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৪০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। বাকি উপজেলার চাষিরাও মাঠে নামতে শুরু করেছেন।
কক্সবাজারের সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তরপাড়ায় শাহাদাত তার লবণের ক্ষেত তৈরি করছিলেন। একমাস পর শুরু হতে যাওয়া চলতি মৌসুমের শুরুতেই কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন তিনি। বার্তা-২৪.কম-কে তিনি বলেন, "যেহেতু আমার জমি বেশি এবং মাছ চাষের কোন বিকল্প নেইl আমি নিজেকে অলস রাখতে পারি না। তাই আমাকে মাঠে এসে লবণ চাষের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু প্রাথমিক আয় আমার বোঝা লাঘব করতে পারে।
লবণ চাষি জমির উদ্দিন এ মৌসুমে ৪ একর জমি লবণ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করেছেন। মাঠে নিরলস কাজ করছেন চাষীরা। লবণের বেড সমান করছে, পানি দিচ্ছে আর বিছানো কাগজে ফোটা 'সাদা সোনা' বেডের অদূরেই লবণ জমানোর গর্তে ফেলছে। চাষিরা বলছেন, এখনো লবণের দাম কম, তবে আমদানি বন্ধ রয়েছে। লবণ চড়া দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা। যদিও চলতি নভেম্বর গত বছরের তুলনায় লবণের দাম অনেক কম বলে জানিয়েছেন। মৌসুম ভালো হলে এবং লবণের ন্যায্য দাম পাবে বলে আশাবাদী তারা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষের দিক থেকে মূলত লবণের মৌসুম শুরু। এসময়ে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে দেড় লাখের অধিক মেট্রিক টন বেশি ধরা হয়েছে।
লবণের লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, "গত বছরের তুলনায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা আরো বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।"
তবে এখনো পর্যন্ত পুরোদমে চাষিরা লবণ চাষ শুরু না করায় কত হাজার কৃষক রয়েছে তা নিশ্চিত করেনি বিসিক। পুরোদমে চাষাবাদ শুরু হলে জরিপ শেষে তা বলা যাবে বলে জানান।
ময়মনসিংহে ১৬৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের ঘটনার মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার ভালুকা উপজেলার কুল্লাব গ্রামের মৃত আশিক আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন, একই গ্রামের আতাব উদ্দিনের ছেলে হিরন মিয়া এবং গফরগাঁও উপজেলার পূর্বধামাইল গ্রামের মৃত কাজীম উদ্দিনের ছেলে নবী হোসেন।
আদালত পরিদর্শক (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৬৫ গ্রাম হেনোইন মামলায় তিন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর ভালুকা মডেল থানার পারুলদিয়া বাজার এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জব্দকৃত হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে বলে স্বীকার করে। ওই মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. রেজাউল করিম রাজীব বলেন, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিজাম উদ্দিন এবং হিরন মিয়া উপস্থিত থাকলেও এখনো পলাতক রয়েছে আসামী নবী হোসেন।