আদালত চত্বরে পুলিশের ওপর হামলা, ১২ জনের ৬ দিনের রিমান্ড

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দানের ঘটনায় কোতোয়ালী থানার দুই মামলায় গ্রেফতার ১২ জন আসামির ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার এর আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিজ্ঞাপন

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ১২ আসামি হলেন- জয় নাথ, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, সুমিত দাস, আমান দাস, বিশাল দাস, সনু মেথর, সুমন দাস, রাজেশ দাস, দুর্লভ দাস ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান জানান, পুলিশের কাজে বাধা দান ও হামলার মামলায় ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে পরে তাদের আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে তার অনুসারীরা। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।

পরে ২৭ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।