যাই ঘটুক, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
জাতীয়
রাজনৈতিকভাবে যাই ঘটুক, ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে সেটি রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। ব্যবসায়ীরা যারা পণ্য বিক্রি করেন তারা রাজনীতিবিদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয় না, তারা পণ্য বেচেন। যেখান থেকে বাংলাদেশ কম দামে পণ্য পাবে, সেখান থেকেই কিনবে।
ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের কাছ থেকে চাল আমদানির কথা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, রমজানে পণ্যের সংকট হবে না। বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দাম অনেক বেড়ে গেছে, যে কারণে বাজারে কিছুটা সংকট চলছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে গেছে। যে কারণে ব্যাংকে আমানত বাড়ছে না। জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে জানান তিনি।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, জিনিসপত্রের দাম কমছে না। কারণ, রাজনৈতিক চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট এখনো আছে।
বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন দুইটি করে লঞ্চ চলাচল করছে রোটেশন ব্যবস্থায়। কিন্তু দিনের পর দিন কোনো কেবিন খালি না থাকার সত্ত্বেও মালিকদের দাবি, তারা লোকসানের মুখে। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি দেখে প্রশাসন ও যাত্রীরা মনে করছেন, এ দাবি শুধু নতুন ঋণের সুবিধা পেতে লঞ্চ মালিকদের চাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশাল নৌবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার ৯ ও এমভি মানামী লঞ্চের পরিস্থিতি। সকাল থেকেই যাত্রীরা কেবিন পাওয়ার জন্য ছুটোছুটি করলেও কোনো কেবিন ফাঁকা নেই। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আলম হাওলাদার সকাল থেকে অ্যাডভেঞ্চার ও মানামী লঞ্চে কেবিন খুঁজে বেড়ালেন। কিন্তু সব অফিস আর টিকিট কাউন্টার থেকে একই উত্তর কেবিন ফাঁকা নেই।
সব কেবিন বুকড, তবুও লোকসান
জানা গেছে, প্রতিটি লঞ্চে কমপক্ষে সাড়ে তিনশো কেবিন, এর মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫টি ডাবল কেবিন ও ১২৫ থেকে ১৩০টি সিঙ্গেল কেবিন থাকে। ভাড়া যথাক্রমে ২২০০ ও ১১০০ টাকা। এছাড়া ভিআইপি ও ফ্যামিলি কেবিনও পূর্ণ থাকে। ডেকে থাকা যাত্রীদের ভিড় তো আছেই। এরপরও কীভাবে লঞ্চ মালিকরা লোকসানের দাবি করেন এ প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরাও।
প্রতিদিন বিকেল ৫টার পর লঞ্চঘাটে যাত্রীর কোলাহল তুঙ্গে ওঠে। সন্ধ্যা নাগাদ লঞ্চ স্টাফদের হাঁকডাকে পুরো এলাকাটি কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে। ৮টা বা ৯টায় লঞ্চ ছাড়ার আগে কেবিন ভাড়া থেকে শুরু করে স্টাফদের বাসস্থানও যাত্রীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। এমনকি লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে টিকিটসহ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ইয়াছিন হাওলাদার জানান, ডেকের ইঞ্জিন রুমের পাশে শীতের রাতে একটু গরমের জন্য জায়গা চাইতে গেলেও তাকে বাধা দেয়া হয়। অন্যদিকে, নিজের বিছানা পেতে থাকা একজন যাত্রী বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চে যাত্রী বাড়ছে। আর এই সুযোগে লঞ্চ শ্রমিকরা ইচ্ছামতো স্বেচ্ছাচারিতা করছে।
বেশ কয়েকজন যাত্রীরা এক কথায় স্বীকার করছেন, পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে যাত্রী কমার যে ধরণা ছিল তা এখন পুরোপুরি উল্টো। বরং শীতকালীন ছুটিতে ঢাকার সদরঘাট থেকে শুরু করে লঞ্চের প্রতিটি রুটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মানামী লঞ্চের মালিকের মো: আবদুল সালাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে লোকসানের অভিযোগ তোলা সঠিক নয়, আমরা সবসময় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। রোটেশন ব্যবস্থার চাপ এবং অন্যান্য সমস্যার মধ্যেও সঠিক সেবা দিতে কাজ করছি।
যুবরাজ লঞ্চের মালিক মো: কালাম হোসেন বলেন, ডেকের যাত্রী দিয়ে লঞ্চ চলে। কেবিনের যাত্রী দিয়ে নয়। তিনি স্বীকার করেন, বর্তমানে লঞ্চ ব্যবসায় লোকসান নেই, তবে নতুন লঞ্চগুলো রোটেশনে ঢুকতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
সুরভী লঞ্চের মালিক রিয়াজুল কবির এবং সুন্দরবন লঞ্চের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন রিপনের মতে, রোটেশন ব্যবস্থায় নির্ধারিত লঞ্চ চলায় কিছুটা চাপ তৈরি হলেও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এটি কার্যকর। তারা বলছেন, রোটেশন তুলে নিলে যে সামান্য মুনাফা এখন হচ্ছে তাও থাকবে না।
এ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের নিজাম শিপিং লাইনস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে, তবে আমাদের উদ্দেশ্য একটাই প্রতিটি যাত্রীকে সুন্দর ও মানসম্মত সেবা প্রদান করা। রোটেশন ব্যবস্থার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে আমরা আমাদের ব্যবসাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবং যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
অন্যদিকে নৌবন্দরের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা জানান, রোটেশন পুরোপুরি মালিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতার ফসল। এ পদ্ধতি জনসাধারণের জন্য হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোটেশন তুলে নিয়মিত তিনটি লঞ্চ চালানোর অনুরোধ করলেও মালিক পক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।
যাত্রীদের কষ্টের মধ্যে লঞ্চ মালিকদের মুনাফার প্রতিযোগিতা যেনো থেমে নেই। তবে দৃষ্টিকটু বিষয় হলো, পূর্ণ যাত্রী নিয়েও লোকসানের দাবী করা মালিকদের দ্বিচারিতা। সাময়িক চাপকে পুঁজি করে যদি এ ব্যবসায়ীরা যাত্রীসেবার পরিবর্তে মুনাফার দিকে মনোযোগী হয়, তাহলে নৌপথে ভোগান্তির চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি একা একা হাঁটতেও পেরেছেন। দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি। এ সময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া লন্ডনে আসেন। ওই দিনই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। তবে আগামীকাল সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডনে দ্য ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। গতকালের চেয়ে তার অবস্থা স্ট্যাবল ছিল।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন।
এদিকে, ব্রিফিংকালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সব ইউনিটকে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড়ে ফের ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমেছে। তাপমাত্রার এ ওঠানামায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ।
জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এই মেঘলা দিনে রয়েছে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। আবার রোদ উঠলেও সকালে কনকনে শীত হাড় কাঁপাচ্ছে। এমন শীতে পরিবারের কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, ‘দুদিন তাপমাত্রা বাড়ার পর আজকে আবার তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
নোয়াখালীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমান (৩৩) জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের হীরাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে। তিনি সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (২৫) নামে দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুইজনেরই শরীরে নীলা-ফুলা জখম ছিল। কিন্তু তাদের শরীরে গুরুতর কাটাছিঁড়া কিছু ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি থাকা হাবিবুর রহমানের অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত নয়।
নিহত আবদুর রহমানের চাচা মো. হানিফ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সোমবার ভোররাতের দিকে যৌথবাহিনী হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। একপর্যায়ে আমার ভাতিজা আব্দুর রহমান ও একই বাড়ির আরেক ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটকের পর তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর করা হয়। এরপর সকালে স্থানীয় পশ্চিম পাড়া বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে জানানো হয়। এরপর সকাল আট-নয়টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানা সোপর্দ করা হয়।
হানিফ জানান,ভাতিজাকে থানায় সোপর্দ করার পর তাঁরা থানায় গিয়ে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাঁরা পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। তখন পুলিশ জানায়, আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
হানিফ অভিযোগ করেন, সারা দিন থানা থেকে তার ভাই ও ভাতিজাকে আদালতে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় বিকেল পাঁচটায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির পর কিছুক্ষণ পর তাঁর ভাই আবদুর রহমান মারা যান। আর ভাতিজা হাবিবুর রহমান একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না যে, সে কোন অন্যায়, অপরাধ করেছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তখন তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যখন তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয় তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তখন তাদের স্থানীয় বজরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া পূর্বের তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুইটি গুলি ও তিনটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।’
ওসি মোরশেদ আলম জানান, নিহত যুবকের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মঙ্গলবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।