‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রোপাগান্ডা এক ধরনের সামরিক প্রস্তুতি’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, সেটি নিছকই প্রোপাগান্ডা নয় বলে মনে করছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তার মতে, ভারতের চালানো এই প্রোপাগান্ডা এক ধরনের সামরিক প্রস্তুতি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের স্বাবলম্বীকরণে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মতামত ব্যক্ত করেন। বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ফরহাদ মজহার বলেন, আমি মনে করি না, আজকে ভারত যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, এটা নিছকই প্রোপাগান্ডা। এটা একধরনের সামরিক প্রস্তুতি। আপনারা দেখেছেন, মব চলে আসছে সীমান্তে। দলবেধে তারা সীমান্ত অতিক্রম করবে, এত বড় দুঃসাহস দেখাচ্ছে ভারত। আমরা তো চাই, এটিকে আমাদের সরকারের যারা আছেন, তারা আমলে নিবেন। যাতে কোনোভাবেই ভারত অভ্যন্তরীণভাবে আমাদের বিশৃঙ্খল করতে না পারে, জনগণের ঐক্য ভাঙতে না পারে।

বিজিবির উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রোপাগান্ডার দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। দেশের মধ্যে জনগণ বনাম সৈনিক যে দ্বন্দ্ব, এই দ্বন্দ ৫ আগস্ট আমরা অতীতে ফেলে এসেছি। এখন একজন সৈনিক যেমন নাগরিক, তেমনি একজন নাগরিকও সৈনিক। যদি তা হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদের দ্রুত বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষা দরকার। আজকে ভারতের যে আস্ফালন, সেই আস্ফালনের উপযুক্ত উত্তর দেবার জন্য অবিলম্বে আমাদের প্রতিটি নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। আমরা খুবই বিপদের মধ্যে রয়েছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, আমাদের ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্স হিসেবে প্রথম শত্রুর বুলেট মোকাবিলা করবে বিজিবি। ফলে তাদেরকে অবশ্যই আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্গত হতে হবে। তাদের কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে পুলিশের অভাবে বাহিনীটির ভূমিকা পালন করা নয়। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র এই কাজ করে না। পৃথিবীতে কোনো রাষ্ট্র সৈনিকদের এভাবে অপব্যবহার করে না।

এ সময় তিনি র‌্যাবকে বিলুপ্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি অতি দ্রুত বিজিবিকে আমাদের ফার্স্ট লাইনার ডিফেন্স আকারে গড়ে তোলার আহ্বান করেন। 

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার। এছাড়া আরো উপস্থিতি ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মেজর (অব.) ফেরদৌস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৪ জন আহতকে স্বাবলম্বীকরণে এক লক্ষ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয় এবং দুইজনকে দুইটি অটোরিকশা ও একজনকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান দেওয়া হয়।