ছাত্রদল নেতার হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ চৌধুরী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গাজীপুর বাজারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিহত সোহাগ চৌধুরীর বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী তার ছোটভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান। তিনি বলেন, আমার ভাই দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে দলের আন্দোলন- সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। দলের প্রতি ভালোবাসার কারণে সে বিয়েটা পর্যন্ত করেনি। তাই বিএনপি পরিবারের কাছে আমাদের আহ্বান আপনারা আমার ভাইয়ের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। যে সকল সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে আমি তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি । তাই যতদিন না পর্যন্ত আমরা আমাদের ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার না পাবো ততদিন পর্যন্ত আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ মোঃ আজিজুল হক বলেন, সোহাগ চৌধুরী ছিল দলের ত্যাগী কর্র্মী। আওয়ামী লীগ সরকোরের সময় দলের অনেক নেতা-কর্মীরা যখন ঘর থেকে বের হতে পারতো না।তখন সোহাগ আমাদের সাথে থেকে দলের আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি যারা সোহাগকে হত্যা করেছে আমারা তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ মন্ডল, এসএম দুলাল, গৌরীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উসমান গনি তান্না, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নূর প্রমুখ
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর উপজেলার ডৌহখলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতন্ডার জেরে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ চৌধুরীর ওপর হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে।
গত ৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সোহাগ উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের বাসাটি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
এদিকে সোহাগ নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর গৌরীপুর থানায় নাম উল্লেখ ১৪ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল মালিক বলেন, সোহাগ চৌধুরী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রহমত উল্লাহকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।