এবার সেই ইফাতের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
গত কোরবানির ঈদে ছাগল কাণ্ডে আলোচনায় আসা রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর ইফাতের (২০) বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাগল কাণ্ডে আলোচনায় আসার পর ইফাত মালয়েশিয়ায় চলে যান। পরে আবার দেশে আসেন। রাজধানীর লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি ইফাতের গ্যাং রয়েছে। তার গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রায়ই মারামারির সাথে জড়িয়ে পরে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ইফাত ও তার গ্যাং বেশ কয়েকটি মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশে এসে বিভিন্ন জনকে মারধর করে গোপনে মালয়েশিয়া চলে যান। কিছুদিন বিদেশে থেকে এলাকায় ফিরে এসে আবারো সক্রিয় হন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোর বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্কুল এর নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আব্দুল হামিদ সোয়াদ (১৬)। তার ওপর হামলার ঘটনায় ইফাতসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর সাত জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সোয়াদের মা আফরোজা বেগম বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শেখ রাফিত রহমান (২১) ও তাসরিফ (১৯)।
মামলায় আফরোজা অভিযোগ করেছেন, সোয়াদ তার এক বন্ধুর সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪/এ সড়কে ২৮ নম্বর বাসার সামনে আসার পরেই ভবনের ভেতরে নিয়ে রড ও হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আফরোজা বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত বছর ধানমন্ডিতে ইফাতের একটি গাড়ি চাপার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল আমার ছেলে। এই ঘটনা এসে পুলিশের কাছে সত্য বলায় আমার ছেলেকে টার্গেট করে হামলা করা হয়। আসামিরা একটি ভবনের রুমের ভেতরে নিয়ে জন্য মিলে হামলা চালায়। আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি আরও বলেন মামলার পরে আসামির পরিবার নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। এখন তারা সিসিটিভি ফুটেজও দিচ্ছে না।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক। তিনি বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।