বেনাপোল বন্দর থেকে ১৯০০ মেট্রিক টন আলু খালাস

  • সিনিয়র করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর থেকে ১৯০০ মেট্রিক টন আলু খালাস

বেনাপোল বন্দর থেকে ১৯০০ মেট্রিক টন আলু খালাস

দেশের বাজারে আলুর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দর থেকে আলুর চালান খালাস হয়েছে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে কার্গো রেলের মাধ্যমে এই চালানটি বেনাপোল রেলস্টেশনে প্রবেশ করেছিল।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিস (বিএলএস) পণ্য চালানটি ছাড় করানোর জন্য কাস্টম হাউসে কাগজপত্র সাবমিট করেন। পরে কাস্টমস ও রেলস্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কার্গো রেলটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখান থেকে আলুগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ বিভাগীয় শহরে পাঠানো হবে।

জানা যায়, আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। বর্তমানে প্রতিবছর দেশে আলুর চাহিদা ৮০ লাখ মেট্রিক টন। বিদায়ী অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি থাকায় স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২ বছরে বাংলাদেশকে কখনো চাহিদা মেটানোর জন্য আলু আমদানি করতে হয়নি। বরং বিশ্বের ১৬টি দেশে রফতানি হতো বাংলাদেশের আলু। যদিও এখন সেখানে রফতানি গন্তব্য কমে ১১টি দেশে নেমেছে। তবে এখনও চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মুনাফা লোভিদের মজুদকরণ ও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে গত বছর থেকে শুরু করে এ বছর সর্বোচ্চ বেড়েছে দাম। বর্তমানে অবৈধ মজুদ ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশি আলু কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরে ছিল ৪০ টাকার মধ্যে। এতে বাজার সরবরাহ বাড়াতে সরকার আলু আমদানির উদ্যোগ নেয়। গত বছরের ৩০ অক্টোবর বিভিন্ন শর্ত দিয়ে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। পরে ০২ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দেশে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছিল আলু আমদানি।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের জানিয়েছেন, ভারতের পাঞ্জাবের কার্তারপুর থেকে আসা আলুর এই চালান দ্রুত খালাসে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। এর আগে, ১২ ডিসেম্বর একই রুট দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছিল।

বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামানের তথ্যমতে, ভারতের মালদা জেলার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানটি এই আলু রফতানি করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ। চালানটিতে ৪২টি ওয়াগনে ৩৮ হাজার ব্যাগ আলু রয়েছে, যার মোট ওজন ১৯ লাখ কেজি। পণ্যের আমদানি মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৭ টাকা ৬০ পয়সা হিসেবে নির্ধারিত।