প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা, নিহত বেড়ে ৩
সিলেট-তামাবিল সড়কে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা গেছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাঘের সড়কের দামড়ি ব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতকের তাতিকোনা গ্রামের সৈয়দ জুনেদ আহমদের ছেলে সৈয়দ মুখছুদ হাসান মহান (২০), একই উপজেলার রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ সায়েম(১৯) ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খলাবাড়ি গ্রামের আবদুল হাশিমের ছেলে হাফিজুর রশিদ (১৯)।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় বন্ডী গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জামিল (২০) ও ছাতকের মন্ডলিবোগ গ্রামের জামিল আহমদের ছেলে মাহি আহমদ (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এ দুর্ঘটনায় মাহি গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকারটিতে ছাতক উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মী সভার একটি ব্যানার পাওয়া যায়।
এদিকে, নিহত ও আহতদের খোঁজ নিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।
এসময় তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আহত ও নিহতরা ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
নিহত সায়েমের (১৯) বাবা আব্দুর রহমান জানান, সায়েম খেজুরের রস খেতে সিলেট আসছে বলে বাসায় জানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসে। সকাল বেলা শুনি এই ঘটনা।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বর চিকিৎসক ডা.কানিজ ফাতেমা বলেন, আমাদের কাছে দুজন লোক নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে আমরা একজনকে মৃত অবস্থায় পাই ও অপরজনকে আহত অবস্থায় পেয়ে ২৭নং ওয়ার্ডে ভর্তি দেই।
স্থানীয়দের বরাতে হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, জৈন্তাপুরের লাল শাপলার বিল থেকে সিলেটে ফেরার পথে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরও একজনের।