চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে সেই জাহাজ, পণ্য খালাস রোববার
দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটে দ্বিতীয়বারের মতো পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে পানামা পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করা জাহাজটি রোববার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটিতে পৌঁছে পণ্য খালাস করবে।
সূত্র জানিয়েছে, পানামা পতাকাবাহী জাহাজটি এনসিটি জেটিতে কনটেইনার খালাস করবে। এরপর খালিগুলো কনটেইনার লোড করবে। এসব কাজ শেষ করতে দুদিন সময় লাগবে। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ইন্দোনেশিয়ার বন্দরের জন্য ৪০০ টিইইউ’স এবং মালয়েশিয়ার বন্দরের জন্য ৬০০ টিইইউ’স খালি কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা যায়, এবারের ট্রিপে ৭৮০ বক্সে ৮২৫ টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) কনটেইনার এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে নামানোর জন্য। এর মধ্যে দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে জাহাজে তোলা হয়েছে ১০৫ বক্সে ১২৬ টিইইউ’স এবং পাকিস্তানের করাচি থেকে তোলা হয়েছে ৬৭৮ বক্সে ৬৯৯ টিইইউ’স কনটেইনার। এসব কনটেইনারে রয়েছে- চিনি, সোডা অ্যাশ, ডেনিম ফেব্রিক, সুতো, ডলোমাইট লুম্পস, ন্যাচারাল ডলোমাইট, ড্রাই ফিশ (শুঁটকি), ইউপিএস, আলু, রেডিয়েটর কোর ইত্যাদি।
দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-ভারত-দুবাই রুটে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটি চালু করেছে। রিজেনসি লাইনস লিমিটেড জাহাজটির বাংলাদেশের লোকাল এজেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বলেন, এবারও করাচি বন্দর হয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটের প্রথম জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং। আগের চেয়ে এবারে কন্টেইনারের পরিমাণ বেশি। বন্দরের এনসিটি জেটিতে ২২ ডিসেম্বর বিকেলে জাহাজটি ভিড়বে। কন্টেইনার নামানোর পর সেটি পুনরায় চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করবে।
এদিকে শিপিং এজেন্ট, বন্দর ব্যবহারকারী ও আমদানিকারকদের মতে, দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চালু হওয়ায় মেরিটাইমে গুরুত্বপূর্ণ দুই বিবেচ্য বিষয় ‘ভাড়া’ ও ‘সময়’ সাশ্রয় হচ্ছে। এতে আগ্রহী হচ্ছেন এ রুটের আমদানি ও রপ্তানিকারকেরা।
এর আগে, এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং জাহাজটি প্রথম করাচি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল গত ১১ নভেম্বর। জাহাজটিতে তখন ৩২৮ বক্স কন্টেইনারে ৩৭০ টিইইউ’স (২০ ফুট হিসেবে) কার্গো নামানো হয়। টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল, কাঁচ শিল্পের কাঁচামাল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, রং, কাপড়, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ছিল।