কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী মো. সফিউল্লাহ (১৮) খুনের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় অভিযুক্ত মশিউর রহমান হৃদয় (২০), তার ভাই রিয়াদ (১৫), তাদের মা রিনা আক্তার (৪০) কে আসামি করা হয়। এরমধ্যে পুলিশ রিনা আক্তারকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
নিহত মো. শফিউল্লাহ (১৮) ব্রাহ্মণপাড়া সদর এলাকার এরশাদ মিয়ার ছেলে ও ব্রাহ্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মশিউর রহমান হৃদয় ও রিয়াদ উপজেলার শিদলাই ৭নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলামের ছেলে ও রিনা আক্তার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী। তারা বর্তমানে ব্রাহ্মণপাড়া সদর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিহতের ছোট ভাই সানাউল্লাহকে মারধর করে। পরে ছানাউল্লাহ তার বড় ভাই ছফিউল্লাহ কে জানালে সে আপোষ মিমাংসা করার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে যায়।
এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও ছুরি দিয়ে ছফিউল্লাকে এলোপাথারী মারধর করে। এছাড়া তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ছফিউল্লাহর বুকের বাম পাশে ও বুকের ডান পাশে এবং পিঠের নিচের অংশের আঘাত করে গুরুত্বর জখম করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন সফিউল্লাহকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে মাইক্রোবাস করে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিউল্লাহকে মৃত ঘোষণা করে। পরে একই দিন রাতে কুমিল্লা মডেল থানা পুলিশ সফিউল্লাহর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্বজনদের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হলে ওই বিকেলে জানাজা শেষে ব্রাহ্মণপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেন স্বজরা।