শেখ হাসিনা একজন মজ্জাগতভাবে খুনি: শফিক রেহমান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান

প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান

শেখ হাসিনা একজন মজ্জাগতভাবে খুনি বলে মন্তব্য করে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, আমি আইন উপদেষ্টাকে বলতে চাই এতো বিচার করতে যাবেন না। কারণ শেখ হাসিনা কি করতে পারেন এটা আমার ভালোই ধারণা আছে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন কর্তৃক ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ড: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কফিনে পেরেক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শফিক রেহমান এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আনা মানে আরেকটি প্রহসন, আরেকটি তামাশা। কারণ শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই নানা অপকর্মে লিপ্ত হবে, কারণ সে খুনি। দেশে এসে গ্লিসারিন, লেবুর পানি নিয়ে কান্নাকাটি করবে। আর বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় গলে যাবে।

প্রবীণ এই সাংবাদিক বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরে যারা বেঁচে আছেন, তাদের শুধু আর্থিক নয়, শারীরিক নয়, মানসিক নয় তারা যেনো আত্মমর্যাদা ফিরে পায় সেদিকে দেখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শফিক রেহমান বলেন, শেখ মুজিবর রহমানের আমলে ফারাক্কা পানি বন্টন ৫০ বছরের চুক্তি হয়েছিলো। সেটি কিন্তু এই বছরই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পরেই। সুতরাং এই সরকারকে কিন্তু নড়েচড়ে বসতে হবে। কেবল অতীতমুখীতা নয়, আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। ভবিষ্যতে ছেলে-মেয়ে পানি পাবে কিনা সেটা দেখতে হবে। এতদিন শুনেছি পদ্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। কালকে ছবি বের হয়েছে তিস্তাও ধু ধু করছে। আমি নিজেও সেখানে গিয়েছি, বাঁধ দেখেছি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা বাঁধ কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান কিন্তু বলছে আরেকটি কথা। সেটা হচ্ছে, বাঁধের থেকে এখন আরও বড় বিপদ হচ্ছে ভারতের যে ৫৬টা নদীর পানি এখানে এসে পৌঁছায় সেই ৫৬টা নদীর পানির সংযুক্তির ফলে। আগে ফারাক্কা বাঁধ ছিলো এখানে কতখানি পানি এলো সেটার কিউসেক বন্টন নিয়ে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু এখন এখান থেকে পানি চলে যাচ্ছে সারা ভারতে। সুতরাং পদ্মা বা তিস্তা না আরও নদী শুকিয়ে যাবে। সেটার জন্য আপনাদের এখন থেকেই কাজ করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিনার রশীদ, নিহত বিডিআর সদস্যের সন্তান এডভোকেট আব্দুল আজিজ, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী সানজানা সানিয়া জোবাইদা, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়েজুল আলম, সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের কেন্দ্রী সংগঠক মো. শামীম রেজা, ফুয়াদ সাকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি। এছাড়াও বিডিআর হত্যাকাণ্ডে নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।