মসজিদের সময়সূচির বদলে লিখা উঠল 'আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা'

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীর কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের নামাজের সময়সূচির বদলে ডিজিটাল বিলবোর্ডের লিখা উঠেছে ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে জয় বাংলা’। এ লেখাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে উত্তেজনা ও সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে যোহরের নামাজের পর পর এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জমির হোসেন নামে এক অপারেটরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের নামাজের সময়সূচির ডিজিটাল বিলবোর্ডে ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা’ এমন একটি লেখা দেখা স্ক্রলিং হতে দেখা যায়। এটি দেখার পরেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ছাত্র-জনতা মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সকলে বড় মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক এমএ খালেক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল পাটোয়ারীসহ বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। পরে সেখানে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে এ লেখাকে কেন্দ্র করে নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। তারা বলছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমন কাজ নিন্দনীয়। মসজিদের সময়সূচির জায়গায় এমন লেখা কখনওই কাম্য নয়।

শাহানুল বাপ্পি নামে এক মুসল্লি বলেন, যোহরের নামাজের পর সময়সূচির ডিজিটাল বিলবোর্ডে এ লেখা দেখতে পাই। একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে এ ষড়যন্ত্র করেছে। মসজিদের নামাজের সময় সরিয়ে এমন কাজ নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চাই।

জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও বিশৃঙ্খলা করার পাঁয়তারা করছে। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে এখন তারা ধর্মীয় বিশৃঙ্খলা তৈরির অপতৎপরতা শুরু করেছে। জনগণ আর কখনোই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে এ বাংলার মাটিতে জায়গা দেবে না।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সচেষ্ট রয়ছে বলে জানান তিনি।