সিলেট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির গোয়াইনঘাট দমদমিয়া ও বাংলাবাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আটককৃতরা হলো- ভারতের শিলংয়ের ইস্ট খাসিয়া হিল জেলার পানিয়াসাল থানার ওয়ামলিংক গ্রামের মৃত কয়াইতের ছেলে ব্লোমিং ষ্টার (৩২), একই জেলার সাইগ্রাম থানার বার্মন টিলা গ্রামের মৃত গোমারু'র ছেলে লোকাস (৫৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ (বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাফিজুর রহমান পিএসসি।
বিজ্ঞাপন
বিজিবি জানায়, গোয়াইনঘাটের সীমান্ত এলাকা দমদমা বিওপির পিলার ১২৬০/৪-এস থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্লোমিংকে ও বাংলাবাজার বিওপির পিলার ১২৩৬ থেকে ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলাউরা নামক স্থানে থেকে লোকাসকে আটক করা হয়।
আটককৃত ভারতীয় দুই না নাগরিককে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৪৮ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাফিজুর রহমান পিএসসি।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মুক্তারুল ইসলাম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ ও তোজাম্মিন শাহনাজ রেবু (৪৮) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে চাচা ভাতিজি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে ও শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে পীরগঞ্জ পৌর শহরের ভেলাতৈড় জামতলি ও পীরগঞ্জ থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তারুল পৌর শহরের ভেলাতৈড় ভদ্রপাড়া এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে এবং তোজাম্মিন শাহনাজ রেবু মিত্রবাটী এলাকার তোয়াবুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের জামতলি এলাকায় রাস্তা পারপারের সময় একটি মোটরসাইকেল মুক্তারুল ইসলামকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুত্বর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা মোটরসাইকেল চালক সৌরভ ও বৃদ্ধ মুক্তারুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। মুক্তারুলের শারিরীকি অবস্থা বেগতিক হওয়ায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে শনিবার সকালে চাচার মৃত্যুর খবর শুনে দেখতে যাওয়ার সময় মিনিবাসের ধাক্কায় তোজাম্মিন শাহনাজ রেবু (৪৮) নামে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
ওসি তাজুল ইসলাম আরও জানান, তোজাম্মিন শাহনাজ রেবু সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চার্জার ভ্যান যোগে ভেলাতৈড় যাওয়ার সময় পীরগঞ্জ থানার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মিনিবাস চার্জার ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে শাহনাজ রেবু ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুত্বর আহত হন আরও ৩ জন। আহতদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পীরগঞ্জ থানায় পৃথক ইউডি মামলা হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফলে অস্ত্রের মুখে দুই কর্মচারীকে জিম্মি করে পাঁচ লাখ টাকা লুট এবং এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্রি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিবু বণিক দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কালাইয়া বন্দরে মুদি ও মনোহরী ব্যবসা করে আসছেন। তার ব্যবসায় নানা ধরনের পণ্য যেমন চাল, ডাল, আটা ইত্যাদি পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে।
এদিন রাতে ঘটনার সময় সিবু বণিক তার দোকানে টাকার হিসাব নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে ৮-১০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে দোকানে ঢুকে কর্মচারী শংকর ও তাপসকে বেঁধে ফেলে পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নেয়। এরপর তারা সিবু বণিককে মুখ বেঁধে দোকানের পেছনের দরজা দিয়ে একটি ট্রলারে তুলে তেঁতুলিয়া নদীর দিকে চলে যায়।
এ ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পরেও সিবু বণিকের কোনো সন্ধান মেলেনি। বাউফল থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা সিবু বণিককে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ ও নৌপুলিশ একযোগে নদীপথে অভিযানে বের হয়েছে।
নদীর বুকে চর, সেই চরই এখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। গড়ে উঠেছে ডিসি ইকোপার্ক। পার্কের মধ্যেই চোখজুড়ানো লেক। তৈরি করা হয়েছে বিশ্রামাগার। শিশুদের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির কাঠালিয়ার বিষখালী নদীর তীরে জেগে ওঠা এই চরটি ‘ছৈলার চর’ নামে পরিচিত। পর্যটকদের মনে এটি একখণ্ড বাগান।
নয়নাভিরাম এই চরটিকে ঘিরে দেখা দিয়েছে পর্যাটনের বিপুল সম্ভাবনা। পর্যটকরাও আসছেন নিয়মিত। ছইলার চরকে পর্যটন করপোরেশেনের আওতায় নিয়ে স্থানটির উন্নয়ন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া গ্রামে বিষখালী নদীতে এক যুগ আগে ৪১ একর জমি নিয়ে জেগে ওঠে বিশাল চর। যা এখন ৬১টি একরে পরিণত হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ছইলা গাছ থেকে চরটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ছৈলার চর’ নামে। ছৈলা ছাড়াও এখানে কেয়া, হোগল, রানা, এলি, মাদার, আরগুজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। ছৈলা একটি লবণ সহিষ্ণু বন্য প্রজাতির বৃক্ষ।
উপকূলীয় নদী তীরবর্তী চরে প্রকৃতিগতভাবে জন্মে ছৈলার গাছ। ছৈলা গাছের শেকড় মাটির অনেক গভীর অবধি যায় তাই সহসা ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে কিংবা উপড়ে পড়ে না। ফলে উপকূলীয় এলাকায় প্রকৃতিবান্ধব গাছ হিসেবে ছৈলা বনবিভাগের সংরক্ষিত বৃক্ষ। এই গাছের টক জাতীয় ফল কাঁচা, পাকা ও রান্না করা অবস্থায় খাওয়া যায়।
ছৈলা গাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিশেষ করে শালিক, ডাহুক আর বকের বসবাস। এখানে কোনো হিংস্র প্রাণী না থাকায় এবং সহজ ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারণে সারা বছর ধরেই ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় থাকে। পর্যটকদের কাছে চরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে রোপণ করা হচ্ছে নানা প্রজাতির গাছ। একইসঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বিশ্রামাগার, শিশুদের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২০১৫ সালে ছৈলার চর স্থানটি পর্যটন স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চরের একদিকে ২০ একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ডিসি ইকোপার্ক। এ পার্কের মধ্যে রয়েছে একটি নয়নাভিরাম লেক। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ভ্রমণ পিপাসুদের নদীর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য করেছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে ছৈলার চরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুইটি রেস্ট হাউজ।
প্রত্যেক শীত মৌসুম শুরু হলেই বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী পিকনিক করতে আসেন ছৈলার চরে। এছাড়া, পরিবার-পরিজন নিয়েও প্রতিবছর চরটিতে পিকনিক করতে আসেন অসংখ্য মানুষ। এ চরকে কেন্দ্র করে কয়েক’শ বেকার মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। তবে, এই চরকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজন পর্যটন করপোরেশনের সহযোগিতা।
কিভাবে যাবেন: ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে কাঠালিয়া উপজেলায় যেতে পারি দিতে হবে ৩৫ কিলোমিটার পথ। সেখান থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পরেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ছৈলার চর। যেকোন যানবাহনে ছৈলার চর যাওয়া যাবে। সড়ক ও নৌ পথে প্রতিদিনই শত শত মানুষ যাচ্ছে ছৈলার চরের নৈসর্গ দেখতে।
চরে বেড়াতে আসা পর্যটক নুরনবী তালুকদার বলেন, ছৈলার চরে প্রায়ই ঘুরতে আসি। এখানে রয়েছে মৌমাছির মৌচাক ও ছৈলার বাগান। নদীর মনোরম পরিবেশ দেখে মনটা ভরে যায়। রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ছৈলার বাগান। এখন আর সুন্দরবন যেতে হবে না। আমাদের একখণ্ড সুন্দরবন হচ্ছে ছৈলার চর।
বনের মধ্যে ঘুরছিলেন শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম, তার সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। রবিউল বলেন, কাঠালিয়া উপজেলার মধ্যে এতো সুন্দর একটি স্থান রয়েছে, এটা আগে জানতাম না। এখানে এসে ভালোই লাগলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ছৈলার চরের চারপাশে নদী ও খাল রয়েছে। নদীও দেখা যায় বনের সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায় একসঙ্গে। এখানে বন থাকলেও হিংস্র কোনো প্রাণী নেই। নান্দনিক এই স্থানটিতে বেশি করে পর্যটকদের আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঝালকাঠির পাশ্ববর্তী বরগুনা জেলার বাসিন্দা প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, আমি বিদেশে বসে ছৈলার চরের বিষয়ে জানতে পেরেছি। তখন থেকেই এখানে ঘুরতে আসার ইচ্ছা ছিল। দেশে এসে পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি। অনেক ভালো লাগলো। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটিয়ে গেলাম।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ কাঠালিয়া সদর ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর-ই- আলম ছিদ্দিকী বলেন, এখানে দেশি ও বিদেশি পর্যটক ঘুরতে আসে, নদীর বুকে জেগে ওঠা চরকে এতো সুন্দর করে সাজানোর জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ। নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করলে এখানে অনেক পর্যটক আসবে বলে আমার ধারণা।
ছৈলার চর এলাকার বাসিন্দা মো. মনির খান বলেন, একসময় অবহেলিত একটি জায়গা ছিল এটি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিসি লেক, একাধিক গোলঘরসহ অনেক স্থাপনা ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ছৈলার চরকে দেখতে পাবো। আমরা এলাকাবাসী পর্যটকদের সেবায় সব সময় নিয়োজিত আছি।
ছৈলার চরের স্থানীয় দোকানদার মো. হেমায়েত আকন বলেন, এখানে আগে তেমন কিছু ছিল না, এখন বসার জন্য বেঞ্চ, দোলনা, টয়লেট, খাবার বিশুদ্ধ পানি রয়েছে। আমি এখানে সব সময় থাকি। এখানের যাবতীয় কাজ করি ও ফুলের গাছে নিয়মিত পানি দেই। ইউএনও স্যার ছৈলার চরে ‘আশার আলো যুব সমাজ কল্যাণ সমবায় সমিতি’ করে দিয়েছেন। যেখানে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা এই সংগঠনের সদস্য। তারাও চরটিকে সংরক্ষণের চেষ্টা করেন। সাধারণ মানুষ বা কোনো পর্যটক আসলে তাদের গাইড হিসেবে কাজ করে এবং তাদের সহযোগিতা করে। প্রতিদিন এখানে ৩০০-৪০০ মানুষ ঘুরতে আসেন।
কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ছৈলার চরকে আকর্ষণীয় করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ছাড়াও আশেপাশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন ছৈলার চরে বেড়াতে আসেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এই ছৈলার চর এক সময় দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আমি মনে করি।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা প্রদানের লক্ষ্যে গণমানুষের কাছে ছুটে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। এই অভ্যুত্থানে যেমন দেশের প্রত্যেক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। আমরা মনে করি এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আকাঙক্ষার প্রতিফল ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের কাছে ছুটে যেতে চাই। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সব পেশাজীবী মানুষের মাঝে জনসংযোগ চালাবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে এই কাজটি করবে।