পঞ্চগড়ে সূর্যের দেখা নেই, তাপমাত্রা ১১. ৩ ডিগ্রিতে
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বছরের প্রথম দিন থেকে জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। মেঘলা আকাশ আর ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। ভোর রাত থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা । তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসের কারণে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে।
তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এ অঞ্চলের রিকশা চালক, দিনমজুর , পাথর শ্রমিক ও চা শ্রমিকরা।
নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষেরই কেবল দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। গতকাল ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত সড়ক মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজের ফাঁকে প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। প্রচন্ড শীতে এরই মধ্যে পঞ্চগড় জেলা জুড়ে শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছেন অনেকেই, তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। শীত বস্ত্রের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা আকুতি জানায়।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কাল বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ অঞ্চলে শীত মৌসুম আসার পর থেকে এই দুই দিন থেকে শীতের তিব্রতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গত কাল সারাদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। আজকেও এখনো পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
অটোরিকশা চালক শাহিন বলেন, প্রচন্ড শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বেড় হচ্ছেন না । পেটের তাগিদে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আকাশে মেঘ এবং বায়ু নিষ্ক্রিয়তা থাকার কারণে তাপমাত্রাটা একটু বেশি থাকলেও পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ যাচ্ছে। আবারও তাপমাত্রা নিম্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।