ফরিদপুরে টিকটক বানানোর কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ, আটক ৬

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টিকটক বানানোর কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ/ছবি: সংগৃহীত

টিকটক বানানোর কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ/ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় টিকটক বানানোর কথা বলে ডেকে এনে এক তরুণীকে গণধর্ষনের পর নগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগে উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত ৬ জন যুবককে আটক করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় আটক হওয়া যুবকদের মোবাইলে ধারণ করা নগ্ন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

পুুলিশ জানায়, ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভুক্তভোগি টিকটকার ওই তরুণীকে (২০) নতুন টিকটক ভিডিও তৈরীর জন্য আকরাম নামের এক টিকটকার ভাঙ্গা উপজেলায় ডেকে আনেন। ওই তরুণীকে উপজেলার ঘারুয়া গ্রামে একটি বাড়িতে আটকে রেখে প্রথম দফায় প্রলভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আকরাম হোসেন তা ভিডিও করে ব্লাকমেইল শুরু করেন। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণীকে আকরাম ও তাঁর সহযোগী দুই যুবক ৩ জানুয়ারী উপজেলার বাবলাতলা বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়াবাসায় স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে ওঠেন।

বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আনারুদ্দিনের ছেলে ছাইদুল মোল্লাসহ তাদের আরও ৫/৭ সহযোগীরা আকরামসহ ওই তরুণীকে বসতঘরে আটকে রাখে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী তরুণী ও আকরামকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করে এবং মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।

একপর্যায়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল শুরু করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন ইউপি সদস্যের ছেলে ও তাঁর সহযোগীরা। পরবর্তিতে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু টাকাও দেয় আকরাম। টাকা পেয়ে চলে যায় ছাইদুল ও তাঁর সহযোগীরা।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ আরও জানায়, ওই রাতেই ওই তরুণীকে দুই দফায় ধর্ষণ করে আকরাম ও তাঁর সহযোগী জুয়েল মোল্লা। পরবর্তীতে এই ঘটনা থানা পুলিশ জানতে পারলে গভীররাতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী ও তরুণীসহ ৬ যুবককে আটক করে পুলিশ।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকসেদুর রহমান জানান, ওই তরুণী অভিযোগ দিয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত ৬ যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এতে ধর্ষণের দুইটি মামলা ও পর্ণগ্রাফি আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।