ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার ভোজরডাঙ্গী এলাকা থেকে কামাল মৃধা (৪০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে নগরকান্দা থানা পুলিশ। এই নিয়ে দুই দিনে ফরিদপুরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। তিনি ওই এলাকার মৃত বিল্লাল মৃধার ছেলে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয়রা এই গ্রামে মাঠের মধ্যে রক্ত ও পাশে নতুন কবর দেখে সন্দেহ করে পুলিশকে খবর দিলে পরে রাত আটটার দিকে পুলিশ গলাকাটা মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় কামালের মরদেহ উদ্ধার করে।
কামালের ভাই জামাল মৃধা জানান, ৩০ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি থেকে চা খেতে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নগরকান্দা থানায় ২ জানুয়ারি জিডি করা হয়েছিল। তিনি কৃষি কাজ করতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনটি বিবাহ করেছিলেন। তবে কি নিয়ে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে কোন ধারণা দিতে পারেননি পরিবার।
এছাড়া শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরেও ফরিদপুরের গুহলক্ষীপুর মডেল টাউন থেকে গলাকাটা বস্তাবন্দি অবস্থায় মাটিতে পুঁতে রাখা আব্দুল হালিম শেখ (২৫) নামের এক রিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী পুলিশ।
নিহত আব্দুল হালিম শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার মৃত আব্দুর রব শেখের ছেলে।
একদিন আগে গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুরে থেকে ১৩ বছর বয়সী হুসাইন নামে এক কিশোর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
নিহত হুসাইনের বাড়ি শহরের চর টেপাখোলা ব্যাপারীপাড়া। তার বাবার নাম মৃত খোকা ব্যাপারী। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা গেছেন। উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে হুসাইনকে একটি নতুন রিকশা কিনে দেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
সেই রিকশা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে খুন হন হুসাইন। এ সময় তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় খুনিরা।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফর আলী মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।