গাংনীতে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাংনীতে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩

গাংনীতে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩

মেহেরপুরের গাংনীর যুবদল নেতা আলমগীর হত্যায় জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়াারি) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের একটি টিম বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আলমগীরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা।

 শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে গ্রেফতার ৩ জনকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চৌগাছা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে ও গাংনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বিপ্লব (৩৬), বাশবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আউয়ালের ছেলে যুবদল নেতা মফিকুল ইসলাম (৩৯) ও কোদাইলকাটি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আলমগীর (৪০)। 

র‌্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ জানান, গাংনী থানাধীন বাশবাড়িয়া উত্তরপাড়ার মহিউদ্দিনের ছেলে ও গাংনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীরকে বুধবার দিবাগত রাতে ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠে জবাই করে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার পরপরই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনিদের পরিচয় ও অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রায় ৪ বছর আগে নিহত আলমগীর আসামি মফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন। এ টাকা ফেরত না দিয়ে বছর দেড়েক আগে সে বিদেশ চলে যায়। কিছুদিন আগে আলমগীর দেশে ফেরত আসে। বারবার টাকা ফেরত চাইলেও সে টাকা দিতে গড়িমশি করে। বিষয়টি মফিকুল তার বন্ধু রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও অপর আসামি আলমগীরকে জানায়। নিহত আলমগীরের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে খুনের পরিকল্পনা করে তারা।

আসামি রবিউল ইসলাম বিপ্লব নিহত আলমগীরকে টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে বুধবার সন্ধ্যার ডেকে নিয়ে মফিকুলসহ মড়কা বাজারে যায়। সেখানে অবস্থানরত অপর আসামি আলমগীর ও তার একজন সঙ্গীকে আলাদা একটি মোটরসাইকেল যোগে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালী মাঠে যায়। মফিকুলের নিকট হতে ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাইলে আলমগীরের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে আসামিরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে আলমগীরের মাথায় আঘাত করে মুখ এবং হাত পা বেঁধে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। তারা আলমগীরের মরদেহটি একটি বাবলা গাছের গোড়ায় বেঁধে রেখে চলে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খুনের ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য একটি চিরকুট লিখে আলমগীরের মরদেহের পাশে রেখে আসে। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, আলমগীর খুনের তিন আসামিকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।