কক্সবাজারে গণধর্ষণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও আলোক প্রজ্জ্বলন
কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রীজ সংলগ্ন প্যারাবনে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে কক্সবাজারে মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন এবং উদীচী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে উদীচীর কক্সবাজার জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দেব বলেন, বর্তমানে নারীরা নিরাপদ নয়। একজন নারীকে কিভাবে ৮/১০ জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করতে আসেনি। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
যুব ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতি শহিদুল্লাহ শহিদ বলেন, ওই নারীর ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা না হলে ওসিকে পদত্যাগ করতে হবে। এঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি এবং সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
পরিবেশ আন্দোলনের নেতা করিম উল্লাহ কলিম বলেন, বর্তমানে নারীরা রাস্তাঘাটে নিরাপদ নয়। তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর এ ধরনের ঘটনা পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সুনামও ক্ষুন্ন করছে।
এসময় ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন এবং উদীচীর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মহেশখালীর ছাত্র-জনতা এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন স্তরের সচেতন মানুষ কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্জ্বলন করেছে। এসময় তারাও এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তির দাবি জানান।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রীজ সংলগ্ন প্যারাবনে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে তার বোনের আকদ্ অনুষ্ঠান শেষে রাত ১০টার দিকে বদরখালী স্টেশন থেকে অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বদরখালী- মহেশখালী ব্রীজের মাঝখানে গিয়ে সিএনজি চালক যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বলে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন জানিয়ে ভুক্তভোগী বলেন, পরে আবারো সিএনজি স্টেশনে আসার পথে কয়েকজন যুবক তাকে ব্রীজ সংলগ্ন প্যারাবনে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ১০জন যুবক তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন।