ঈদে মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাসসহ ৬ দাবি পোশাক শ্রমিকদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দাবি পোশাক শ্রমিকদের/ছবি: সংগৃহীত

দাবি পোশাক শ্রমিকদের/ছবি: সংগৃহীত

রমজানের ঈদে এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে কিন্তু আমাদের মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে পূর্বের মজুরি বা রেট দিয়ে বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের পক্ষে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টদায়ক, আমরা সারা সপ্তাহ কাজ করার পরে যেই মজুরি পাওনা হই, মালিকরা আংশিক একটা মজুরি পরিশোধ করে এবং বাকী টাকা মালিকদের কাছে থেকে যায়। আর ঐ আংশিক মজুরি দিয়ে আমাদের জীবন চলে না। ভাতের বিল, সকালের নাস্তা, সন্ধ্যার নাস্তা ও আনুষঙ্গিক খরচ করার পরে যে টাকা হাতে থাকে তা দিয়ে পরিবারকে চালাতে পারি না। এমতাবস্থায় বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি বৃদ্ধি ছাড়া পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে দুই বেলা দুই মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য ১৪/১৬ ঘন্টা কাজ করতে শ্রমিকরা বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু মালিকরা শ্রম আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত কাজে দ্বিগুণ মজুরি দিচ্ছে না। মালিকরা শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। প্রতি ঈদে এক মাসের মজুরি সমান ২টি উৎসব বোনাস প্রদানের কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা প্রদান করছে না। আবার শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। বিশেষ করে লোকাল গার্মেন্টসের মালিকরা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ৮-৯ মাস বেআইনিভাবে রেখে দিয়ে রমজান মাসের শেষের দিকে পরিশোধ করার কথা বললেও প্রতি বছর একটা অংশ কারখানায় তালা মেরে চলে যাওয়াসহ মুজুরি না দিয়েও পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে, কোন কোন ক্ষেত্রে বকেয়া থেকেও যায়।

বিজ্ঞাপন

এসময় তারা তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো:

বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাঁচার মতো ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, ৮ ঘন্টা কাজ ও অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে; রমজানের ঈদে এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করতে হবে; বেআইনি ও অমানবিকভাবে আটকে রেখে চাঁদ রাতে মজুরি পরিশোধ করার প্রথা বন্ধ করতে হবে; মাস শেষে পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরি পরিশোধ করতে হবে; কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চাকুরির নিশ্চয়তা, নারী শ্রমিকদের মজুরির বৈষম্য দূর করতে হবে; এবং রাত্রকালীন অতিরিক্ত ডিউটির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন ও নাইট এলাউন্স প্রদান করতে হবে।

ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী মজুরি বৃদ্ধি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ সুজনের সভাপতিত্বে এসময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মাহবুব আলম হানিফ, সদস্য হেলাল হোসেন, মনির হোসেন, দুলাল প্রমুখ।