‘মানবপাচারকারী’ ফারুক মুন্সির বিচার চায় এলাকাবাসী
মাদারীপুরের শিবচরে ফারুক মুন্সী নামে এক মানবপাচারকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে শিবচর উপজেলার শেখপুর বাসস্ট্যান্ড এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা গেছে, শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি এলাকার রাজ্জাক মুন্সির ছেলে ফারুক মুন্সী এলাকার বিছান মাতুব্বর, রমজান মোড়ল ও সুমন মিয়াসহ প্রায় ৮/৯ জন যুবককে লিবিয়া দিয়ে ইতালি নেওয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে প্রথমে ১৫ লাখ টাকা চুক্তি করে তাদের লিবিয়া নেন। পরে সেখানে তাদের আটকে রেখে বিভিন্নভাবে তাদের কাছে থেকে আরো ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন। ভুক্তভোগী পরিবার এই টাকা দিলেও গত দুই বছর যাবত তাদের সন্তানদের কোন খোঁজ পাচ্ছে না।ইতোমধ্যে ফারুকের সাথে ওই পরিবারগুলো যোগাযোগ করলেও তাদের বিষয় তিনি জানেন না বলে জানান। এছাড়া এবিষয়ে জানতে ফারুক ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী পরিবার লোকজনকে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন। তাই ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মানবপাচারকারী ফারুক মুন্সির বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী সুমনের বাবা তফছের উদ্দিন বলেন,ফারুক আমার ছেলেকে ইতালী নেওয়ার কথা বলে প্রথম আমার কাছে থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়। এরপর ছয় লাখ টাকা নেয় তার পরে তিন লাখ তার পরে ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ লাখ পঁচিশ হাজার টাকা নেয়।। ছেলে এখন নিখোঁজ।আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী রমজান মোড়লের বাবা আনোয়ার মোড়ল বলেন, আমার ছেলেকে লিবিয়া দিয়ে ইতালী নেওয়ার কথা বলে প্রথম ৫ লাখ নেয়। পরে সাত লাখ দেই পরে আবার দেই দুই লাখ।এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে সাত লাখ ৪০ হাজার দেই। মোট ২১ লাখ ৪০ হাজর দেই। নেওয়ার পরে আমার ছেলে কই আছে কোন যোগাযোগ নেই। ছেলে নিখোঁজ।সব সাক্ষী আছে।
ভুক্তভোগী বিছান মাদবরের মা লিপিয়া বোগম বলেন, আমার ছেলেকে ইতালী নেওয়ার কথা বলে প্রথম সাড়ে ৯ লাখ টাকা নেয়।এরপর নেয় ৯ লাখ,পরে আবার ৬ লাখ করে দুই বার ১২ লাখ।পরে আবার নেয় ২ লাখ মোট ৩১ লাখ ৫০ হাজার। পরে আবারও ৬০ হাজার নেয় বিকাশে। পরে সে আবার ৬ লাখ চাইলে আমি তা না দিতে অস্বীকার করি। পরে ফারুক আমার ছেলেকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সাড়ে ১২ লাখ টাকা দিয়ে মাফিয়াদের কাছে থেকে উদ্ধার করি। আমি সাড়ে ৮ টাকা দিয়ে গেম করিয়ে ছেলেকে ইটালী পাঠাই। এসব টাকা আমি আমার মা তার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে। ধার দেনা করি।সে আমার ছেলেকে নিখোঁজ রাখে ৪ দিন আমি ওর বিচার চাই।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রতন শেখ বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।