হাসিনার দোসররা মাদরাসার ছাত্র দেখলে টার্গেট করে গুলি করত: সারজিস আলম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠন সারজিস আলম বলেন, বছরের পর বছর ধরে খুনি হাসিনার মাধ্যমে নানা ভাবে অত্যাচারিত হয়েছে এদেশের মানুষ। তার ক্ষমতার পিপাসার কাছে জিম্মি ছিল মানুষ, গোলাপগঞ্জের কাছেও জিম্মি হয়ে রয়েছিল এদেশের মানুষ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাসিনা খুনির দোসররা মাদরাসার ছাত্রকে দেখলে টার্গেট করে গুলি করত। তাই ছাত্ররা পাঞ্জাবি পাজামা না পড়ে টিশার্ট গায়ে দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। শুধু মাদরাসা নয়, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। যারা হাসিনার দোসরদের ভয়ে আন্দোলনে যেতে পারেনি তারা তাদের স্ত্রী সন্তান এবং স্বজনদের আন্দোলনে যেতে সহযোগিতা করেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি সম্মিলিত সামাজিক প্রয়াস আস সিরাজ আয়োজিত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সারজিস আলম বলেন, এতো জীবন দেওয়ার, রক্ত দেওয়ার আকাঙ্খা কোন ভাবেই পূরন হওয়ার নয়। আমরা আমাদের জায়গা থেকে যখন শহীদদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি তখন তারা চায় খুনি হাসিনা দোসরদের বিচার। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ এখনো দেশ দোসরমুক্ত হয়নি। কারণ দেশের অনেক রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দোসরদের মদদ দিচ্ছে। আমরা সংস্কারের কথা বলছি কিন্তু যারা এমন করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কথা বলছি না। তাদের বিরুদ্ধে কথা না বলতে পারলে অভ্যুত্থানের কোন সফলতা আসবে না। আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে তাদের কথা কেন বলতে পারছি না। প্রত্যেকটা বাজারে চাঁদাবাজির জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোন লাভ নেই। 

তিনি আরও বলেন, সে একদিনে খুনি হাসিনা হয়নি। যাকে টার্গেট করেছেন তাকেই মেরেছে। আগামীতে কাউকে এমন হতে দিব কি না তা আমাদের ওপর নির্ভর করবে। খুনি শেখ হাসিনা যা করেছে তার ফলাফল ২৪ এর অভ্যুত্থান। কেউ যদি ভূল পথে হাঁটেন তাদেরও পরিণতি এমন হবে। আমরা কাউকে ছাড়বো না, তাই বুক টান করে প্রতিবাদ করতে হবে। আমদের এ লড়াই বাংলাদেশকে সামনে রেখে হোক, মানুষের জন্য হোক।

বিজ্ঞাপন

আস সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড.মাহমুদুর রহমান এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.একে ফজলুল হক ভূঁইয়া।