চলে গেলেন ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পলান সরকার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পলান সরকার, ছবি: সংগৃহীত

‘আলোর ফেরিওয়ালা’ পলান সরকার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আলোর ফেরিওয়ালা’, ‘সাদা মনের মানুষ’, একুশে পদকপ্রাপ্ত পলান সরকার আর নেই। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। কিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।

পলান সরকার ১৯২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের পর নাম ছিল হারেজ উদ্দিন সরকার। তবে তাঁর মা তাঁকে ‘পলান’ নামে ডাকতেন।

মাত্র পাঁচ মাস বয়সে তাঁর বাবা হায়াত উল্লাহ সরকার মারা যান। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর অর্থনৈতিক সংকটে লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। এরপর তাঁর নানা ময়েন উদ্দিন সরকার মা মইফুন নেসাসহ পলান সরকারকে রাজশাহীর বাঘা থানার বাউসা গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন পলান সরকার।

ছোটবেলায়ই তিনি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন। অন্যদেরও বই পড়তে উৎসাহ দিতেন। ১৯৯০ সাল থেকে বাউসা হারুন অর রসিদ শাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিবছর যারা মেধাতালিকায় প্রথম দশটি স্থান অর্জন করতো, তাদের বই উপহার দিতেন পলান সরকার।

এরপর অন্য শিক্ষার্থীরাও তাঁর কাছে বইয়ের আবদার করলে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি তাদেরও বই দেবেন, তবে তা ফেরত দিতে হবে। এক সময় গ্রামের মানুষও তাঁর কাছে বই চাইতে শুরু করে। এভাবেই শুরু হয় বই পড়ার আন্দোলনের ভিত।

১৯৯২ সালে ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত হওয়ায় পলান সরকারকে হাঁটার অভ্যাস করতে হয়। তখনই তাঁর মাথায় এক অভিনব চিন্তা আসে। তিনি স্কুলকেন্দ্রিক বই বিতরণের প্রথা ভেঙে বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি তিনি বইও উপহার দিতেন। এছাড়া যারা তাঁর চাল-কলে দেনা পরিশোধ করে তাদেরও তিনি বই উপহার দিতেন।

প্রথমে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষই জানতো পলান সরকারের এই অসামান্য শিক্ষা আন্দোলনের গল্প। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে পলান সরকারকে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ হিসেবে তুলে ধরা হয়। এরপর থেকে তিনি এই উপাধিতে পরিচিতি পান।

২০০৯ সালে রাজশাহী জেলা পরিষদ তাঁর বাড়ির আঙিনায় একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে। সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১১ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘একুশে পদক’ লাভ করেন পলান সরকার। ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘ইমপ্যাক্ট জার্নালিজম ডে’ উপলক্ষে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার দৈনিকে তাঁর উপর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

তাঁর জীবনের ছায়া অবলম্বনে বিটিভির জন্য গোলাম সারোয়ার দোদুল নির্মাণ করেন ঈদের নাটক ‘অবদান’। বিনামূল্যে বই বিতরণ করে সবার মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য ‘ইউনিলিভার বাংলাদেশ’ পলান সরকারকে ‘সাদা মনের মানুষ’ খেতাবে ভূষিত করে।

পলান সরকার নয় সন্তানের জনক। এদের মধ্যে ছয়জন ছেলে, তিন মেয়ে। কিছু দিন আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন।

   

মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সংসদ সদস্য, ৭৫'র প্রতিরোধ যোদ্ধা ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সদ্য প্রয়াত মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সম্মুখে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে,গত চার দিন আগে ঢাকার বাসায় অসুস্থ হয়ে যান মানু মজুমদার। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

উল্লেখ্য, মানু মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে। তার শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের মন্তলা গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর আগে কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় বাড়ি করে সেখানে ও ঢাকায় বসবাস করতেন।

মানু মজুমদার নেত্রকোনা-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরে তাকে কারাবন্দি করা হয়। দীর্ঘসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

;

নজরদারির অভাবে অধিকাংশ সবজির চড়া দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নজরদারির অভাবে বেশির ভাগ সবজির দাম চড়া বাজারে। সরবরাহের কোন ঘাটতি না থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। একই সাথে মাছ মাংসের বাজারের লেগেছে বাড়তি দামের প্রভাব। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি তাই দাম একটু বেশি।

শুক্রবার ( ২৪ মে ) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায় গেলো সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

এখনো বাড়তি ডিমের দাম

এদিকে সবজির বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিছের দাম ৫০ টাকা। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০ করে কেজি। সেই সাথে লাউ প্রতি পিছ ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা,জালি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কেজি।

এছাড়া পেঁয়াজের আমদানি শুরু হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পরেনি। এখনো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ কেজি। এদিকে কিছুটা বেড়েছে আদার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা করে।

বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০

তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগী ২৩০ টাকা, আর লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

মাছের বাজারে মাছের পর্যন্ত আমদানি থাকলেও বিভিন্ন অযুহাতে এখনো বাড়তি মাছের দাম। বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকা করে।

মাছ ব্যবসায়ী জলিল বার্তা ২৪ কে বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে কম সরবরাহ রয়েছে মাছের। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাছের ওজনের কম দেয়ায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের ঘাটতি হয়। তাই পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের হেরফের তুলনামূলক বেশি থাকে।

লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে

মহাখালী ডিওএইচ থেকে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন মামুন। মামুন বলেন, আমি যে বাসায় কাজ করি তাদের পুরো সপ্তাহের বাজার আমি করি। আগে স্যার টাকা যা দিত তাই দিয়ে সপ্তাহের বাজার শেষ করে হাতে আরও টাকা থাকতো। কিন্তু এখন আর ব্যাগ ভরে বাজার করা সম্ভব হয়না। তাই দিন দিন বাজারের জন্যে যে বাজেট আছে তা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। এছাড়া তার অভিযোগ বাজার তদারকির যারা দায়িত্বে আছের তারা ঠিকঠাক তদারকি করছেন না। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও সব পণ্যের দাম চড়া। 

;

চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি যদি আরও শক্তি অর্জন করে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এটি ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটির গতিপথ কি হবে বা কোথায় আঘাত হানবে তা এখনো সুস্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা। 

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কারণ আবহাওয়াবিদদের মতে এ সময় রেমাল আঘাত হানতে পারে।

তাপমাত্রা অনুসারে বলা যায়, শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাত ও পরের দিন রোববার (২৬ মে) তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

এমপি আনারের মাংস কেটে তৈরি হয়েছে কিমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহের একাংশ বুধবার (২২ মে) উদ্ধারের একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালায় সিআইডি।

মোট ছয়টি গাড়িতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এদিন রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত জিহাদকে নিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি করে সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানিয়েছে, এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়। কিমা করার জন্য মুম্বাই থেকে কসাই এনে মাংস কাটায় হত্যাকারীরা।

পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে তার জন্য বারাসাত আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

;