ইমিডিয়েট উত্তরবঙ্গের কয়লা খনির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মিট দ্যা এনার্জি রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মিট দ্যা এনার্জি রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমি মনে করি ইমিডিয়েট উত্তরবঙ্গের কয়লা খনিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তবে তা হতে হবে পরিবেশ ও স্থানীয়দের কথা বিবেচনা করে। আর সেই কাজটি শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার (২ মার্চ) এফইআরবি আয়োজিত মিট দ্যা এনার্জি রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানিকৃত কয়লার দর দুইশো ডলারের উপরে পড়ে। সেখানে দেশীয় কয়লা ১২০ ডলারের মধ্যে পাওয়া সম্ভব। আমরা চাচ্ছি বালাসীঘাট ব্যবহার করতে। সেখানে রেল লাইন রয়েছে। আরও একটি লাইন বসিয়ে উত্তরের কয়লা দক্ষিণে নিতে পারি। নদী ড্রেজিংয়ের জন্য একটি বরাদ্দ রাখলেও খরচ বেশি পড়বে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। ভবিষ্যতে কয়লায় কার্বন ট্যাক্স বসতে পারে এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০২৩ সালের দিকে বেজডলোড পাওয়ার প্লান্টগুলো উৎপাদনে আসবে। ব্যয়বহুল তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বসিয়ে দেওয়া হবে। তখন বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। আমরা ভাবছি তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০ হতে ১২ শতাংশ উৎপাদিত হবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সমন্বয়ের একটি প্রস্তাব দিয়েছি বিইআরসির উপর নির্ভর করছে। গতবার তো কোর্ট পর্যন্ত গড়েছে। দাম সমন্বয় না হলে কমফোর্ট হবে না বিদ্যুৎ খাতের জন্য।

গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ধীরগতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবসরে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই। মাল্ট্রিক্লেইন সার্ভের কাজ উপর মহলের সিদ্ধান্তে আপাতত বন্ধ, এটা না হলে বিদেশি কোম্পানি আসতে চাইবে না। সার্ভে করে যদি দেখাতে পারি সম্ভাবনার দিকগুলো তখন বিদেশি কোম্পানি আগ্রহী হবে। এটা না করতে পারলে আমরা পিছিয়ে যাবো।

স্থলভাগে অনুসন্ধানে দুর্বলতার জন্য জ্বালানি বিভাগকে দায়ি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের টেকনিক্যাল দুর্বলতা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগের কাজ করা উচিত। আমাদের বড় বাধা হবে নতুন টেকনোলজি না জানা। জ্বালানিতে লিডিংয়ের লোক ছিলো না, এখন লোক তৈরি করা হচ্ছে। প্রফেসনালিজম বাধা বলতে পারেন।

আইপিপি থেকে বিদ্যুতের দাম প্রসঙ্গে বলেন, বড়গুলো আসলে বুঝতে পারবো কেমন দর পড়ে। ইপিসি কন্টাক্ট্র কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক করা হচ্ছে।  এতে দর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সিএনজি সিলিন্ডার প্রসঙ্গ আলোচিত হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা অবশ্যই বিপজ্জনক। সিস্টেমে আনতে না পারলে এটা একটি বোম।  এখনকি আমরা এটা বন্ধ করে দেবো, না রেগুলেট করতে হবে। কে রেগুলেট করবে মন্ত্রণালয় নাকি বিইআরসি! আমার মনে হয় বিইআরসির হাতেই থাকা উচিত। মন্ত্রণালয় থাকবে পলিসি মেকার হিসেবে।

আমদানি নির্ভর গ্যাস খাত ঝুঁকিতে ফেলবে কিনা, বিশেষ করে দামের প্রসঙ্গে-জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদা খুবই ছোটো। কাতারের রিজার্ভ ১২শ টিসিএস, সারাবিশ্ব দীর্ঘদিন চলবে। শেলগ্যাস আসছে, কানাডা, আফ্রিকা গ্যাস উত্তোলন বাড়াবে। আমার মনে হয় এটা কোনো সংকট তৈরি করবে না।

এলএনজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে বলেন, ৮ ডলার দিয়ে কিনলেও ৭ সেন্টের মতো পড়ে। এরচেয়ে বেশি লাগছে ইন্ডিয়ার বিদ্যুতে। তাহলে নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে বেজডলোড বাড়লো এটা আমাদের জন্য ভালো। তবে আমি উদ্বিগ্ন আছি উদ্বৃত বিদ্যুৎ নিয়ে। এখনই আমার অনেক বিদ্যুৎ উদ্বৃত। ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা না হলে সমস্যা।

গ্যাসের অবৈধ সংযোগ প্রসঙ্গে বলেন, এলএনজি ৩০০ এমএমসিএফডি ব্যবহার করছে চট্টগ্রাম। ঢাকায় আসছে ১৫০ এমএমসিএফডি। ঢাকায় আসাগুলোর কোনো হদিস পাচ্ছি না।

ঢাকা শহরের সব পাইপলাইন পরিবর্তন করা হবে। এতেই সব ধরা পড়বে। আর পাইপগুলো অনেক পুরনো এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৮০ থেকে ১২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে। এই বিনিয়োগ আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখন অনেক বড় বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব আসছে। যার এর আগে লক্ষ্যণীয় নয়। মাজদা আমাদের সোলারে বিনিয়োগ করতে চায়, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করতে চায়।

জ্বালানি তেল নিয়ে আর ভাবছি না। এখন যা আছে আর চলমান প্রকল্প যথেষ্ট। ভবিষ্যতে ইলেক্ট্রিক্যাল গাড়ি আসছে। চীনের একটি প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরে সফলভাবে পরিচালনা করছে। আমরাও ইলেক্ট্রিক্যাল বাস, ট্রেনের বিষয়ে ভাবছি।

   

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু গাছও উপড়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই এলাকার শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

;

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিন বছর বয়সী শিশু সাদ বাবু ওই গ্রামের হাবিব-মৌসুমী দম্পতির একমাত্র ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকায় খেলতে খেলতে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিখোঁজ হয় শিশু সাদ্। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটির মা নিজেই তাদের বাড়ির পিছনে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।

;

লোভের ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় একটি ভবনের ৫ম তলায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অফিস চালু করে কয়েকজন মিলে। সেই এনজিওতে সদস্য হয়ে ঋণ নিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয় অসহায়-নিরীহ নারীদের। গত ১ মাস ধরে এভাবেই বিভিন্ন প্রলোভনে জামানত ও সঞ্চয়ের নাম করে সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ২৬ লাখ টাকারও বেশি। পরে ঋণ না পেয়ে ওই অফিসের দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিলে বেরিয়ে আসে প্রতারণার ছক।

শনিবার (১৮ মে) বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকার তারেক বিল্ডিংয়ের ৫ম তলা থেকে তাদের আটক করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন, মেহেদী হাসান সবুজ (৩৫) এবং মো. জাফরুল হাসান খান (২৮)। এরমধ্যে সবুজ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের হাওলাদার বাড়ির হালিম হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে বন্দর টিলা এলাকায় থাকেন তিনি। আর জাফরুল বাগেরহাট জেলার সরণখোলার চালিতাবুনিয়ার খান বাড়ির মো. আসলাম হোসেন খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর অক্সিজেন কাঁচাবাজার এলাকায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি এনজিওর অফিস খুলে অভিযুক্তরা। গত এক মাস ধরে ওই এলাকার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও’র সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাদের আরো কয়েকজনকে সদস্য করার কথা বলে। পরে সদস্য হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা অফিসে গেলে অভিযুক্তরা তাদের জানায়, এককালীন ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিলে সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার সঞ্চয় দিলে ২ লাখ টাকা ঋণ দিবে। এছাড়াও সদস্যদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিবিৎসা ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নেয়। ভুক্তভোগীরা প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জামানত দেয়। পরে তাদের একটি সঞ্চয় ও ঋণ পাস বই দেয় অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বইতে কাজ আছে বলে নিয়ে যায় এবং জানায় ১৮ মে তাদের ঋণ দেওয়া হবে।

সেই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৮ মে (শনিবার) সকালে ওই এনজিও অফিসে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ঋণ দিবে বলে এ রকম অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ঋণের টাকা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান সবুজ এবং মো. জাফরুল হাসান খানকে আটক করে ভুক্তভোগীরা থানায় নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় আরো দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

পরে এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন সদস্য তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনের কাছ থেকে সদস্য ফিসহ বিভিন্ন কারণে জামানত হিসাবে টাকা নেয়। পরে আটককৃতদের দেখানো মতে অফিস থেকে ১২৭টি সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বই এবং ৫৭৬টি সদস্য আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘প্রথমে অসহায়-নিরীহ মানুষের কাছে গিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়ে বিশ্বাস অর্জন করতো তারা (অভিযুক্ত)। পরে ঋণ দিবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে জামানত নিতো। এভাবে তারা বাদী ও বাদীর পরিচিত সদস্যদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং আরো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে জামানত ও সঞ্চয়ের নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ওই এনজিওর সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। তবে সদস্যরা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পরে সদস্যরা ওই এনজিও’র সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এক সদস্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

;

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;