রাশেদ খান মেননের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে: জমিয়ত
![জরুরি বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ: ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2019/Mar/06/1551880192938.jpg)
জরুরি বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ: ছবি: বার্তা২৪.কম
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের দেওয়া বক্তব্যের কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাশেদ খান মেনন ইসলাম, আলেম-উলামা, ইসলামি শিক্ষা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর বিদ্বেষ ও ষড়যন্ত্র থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এক্সপাঞ্জ (প্রত্যাহার) করতে হবে এবং তাকে অনতিবিলম্বে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমির সভাপতিত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সহ-সভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফি, আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমি, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি, অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমি, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসঊদ প্রমুখ।
বৈঠকে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, কওমি মাদরাসাসমূহ সরাসরি দেশের জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। কওমি মাদরাসায় কোরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা ও পূর্ণ ইসলামি শিক্ষাদানের পাশাপাশি সৎ জীবনযাপন, সামাজিক সহাবস্থান এবং আদর্শ দেশ ও জাতি গঠনের শিক্ষা দেওয়া হয়। সৎ, যোগ্য ও ধর্মপ্রাণ নাগরিক তৈরির কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাশেদ খান মেনন ‘বিষবৃক্ষ’ বলে আলেম-উলামা, ছাত্র সমাজ ও কোটি কোটি মানুষের মনে আঘাত দিয়েছেন। মূলতঃ তিনি এমন উসকানিমূলক ঘৃণাব্যঞ্জক বক্তব্য দিয়ে দেশবিরোধী কোনো চক্রের হয়ে গোলযোগ তৈরির ষড়যন্ত্র করছেন।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন। দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফির নেতৃত্বে এই সংগঠনটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ঈমান-আকিদা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে। এই সংগঠনের ব্যানারে দেশের আলেম সমাজ ও কোটি কোটি তওহিদি জনতা ঐক্যবদ্ধ। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নেও এই সংগঠনটির সরব ভূমিকা সর্বমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত। অথচ রাশেদ খান মেনন সংসদে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয় এই বৃহৎ সংগঠন এবং এর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির বিরুদ্ধেও জঘন্য কটূক্তি করেছেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবমাননা করেছেন। তিনি গণমানুষের আদর্শিক চিন্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, রাশেদ খান মেননকে অনতিবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সংসদের কার্যবিরণী থেকে তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। অন্যথায় তওহিদি জনতা এসব কটূক্তি, অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।
বৈঠকে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টায় জমিয়তের পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাশেদ খান মেননের ঘৃণাব্যঞ্জক বক্তব্যের প্রতিবাদে সমমনা ইসলামি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক আহবান করেছে।