রাশেদ খান মেননের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে: জমিয়ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জরুরি বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ: ছবি: বার্তা২৪.কম

জরুরি বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ: ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের দেওয়া বক্তব্যের কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাশেদ খান মেনন ইসলাম, আলেম-উলামা, ইসলামি শিক্ষা ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর বিদ্বেষ ও ষড়যন্ত্র থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এক্সপাঞ্জ (প্রত্যাহার) করতে হবে এবং তাকে অনতিবিলম্বে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমির সভাপতিত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সহ-সভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফি, আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমি, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমি, অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমি, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসঊদ প্রমুখ।

বৈঠকে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, কওমি মাদরাসাসমূহ সরাসরি দেশের জনগণের সাহায্য-সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। কওমি মাদরাসায় কোরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা ও পূর্ণ ইসলামি শিক্ষাদানের পাশাপাশি সৎ জীবনযাপন, সামাজিক সহাবস্থান এবং আদর্শ দেশ ও জাতি গঠনের শিক্ষা দেওয়া হয়। সৎ, যোগ্য ও ধর্মপ্রাণ নাগরিক তৈরির কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাশেদ খান মেনন ‘বিষবৃক্ষ’ বলে আলেম-উলামা, ছাত্র সমাজ ও কোটি কোটি মানুষের মনে আঘাত দিয়েছেন। মূলতঃ তিনি এমন উসকানিমূলক ঘৃণাব্যঞ্জক বক্তব্য দিয়ে দেশবিরোধী কোনো চক্রের হয়ে গোলযোগ তৈরির ষড়যন্ত্র করছেন।

জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন। দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফির নেতৃত্বে এই সংগঠনটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ঈমান-আকিদা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে। এই সংগঠনের ব্যানারে দেশের আলেম সমাজ ও কোটি কোটি তওহিদি জনতা ঐক্যবদ্ধ। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নেও এই সংগঠনটির সরব ভূমিকা সর্বমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত। অথচ রাশেদ খান মেনন সংসদে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয় এই বৃহৎ সংগঠন এবং এর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির বিরুদ্ধেও জঘন্য কটূক্তি করেছেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবমাননা করেছেন। তিনি গণমানুষের আদর্শিক চিন্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, রাশেদ খান মেননকে অনতিবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সংসদের কার্যবিরণী থেকে তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। অন্যথায় তওহিদি জনতা এসব কটূক্তি, অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।

বৈঠকে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টায় জমিয়তের পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাশেদ খান মেননের ঘৃণাব্যঞ্জক বক্তব্যের প্রতিবাদে সমমনা ইসলামি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক আহবান করেছে।

   

বগুড়ায় ভটভটি উল্টে স্কুলছাত্র নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার আদমদিঘীতে বাবার সঙ্গে কোরবানির গরু আনতে গিয়ে ভটভটি উল্টে আহোনা আবিদ দোহা (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল ৭ টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে আদমদীঘি থানার বাবলা তলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দোহা আদমদিঘী থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের সাইদুজ্জামান তোতার ছেলে এবং নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, সাইদুজ্জামান তোতা তার ছেলেকে সাথে নিয়ে খামারে রেখে আসা কোরবানির গরু আনতে ভটভটি যোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাবলাতলা নামক স্থানে মোড় ঘোরার সময় ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ভটভটির নিচে চাপা পড়ে সাইদুজ্জামান ও তার ছেলে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে আদমদিঘী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দোহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ভটভটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

পুনর্গঠিত বিএনপিকে অভিনন্দন, শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান হানিফের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
পুনর্গঠিত বিএনপিকে অভিনন্দন, শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান হানিফের

পুনর্গঠিত বিএনপিকে অভিনন্দন, শান্তির পক্ষে কাজ করার আহ্বান হানিফের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিকে অভিনন্দন জানিয়ে শান্তির পক্ষে কাজ আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নতুন করে পুনর্গঠিত হয়েছে তাদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও শান্তির পক্ষে তারা কাজ করবে। অতীতের মতো সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে দেশ গড়ার কাজে সরকারকে সহায়তা করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে মানুষের মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা আশা করি, সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।

কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশ নেন।

নামাজ শেষে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মাহবুবউল আলম হানিফ।

;

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ: মির্জা আব্বাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ: মির্জা আব্বাস

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ: মির্জা আব্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তিনি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রয়েছেন। কি হবে আল্লাহ জানেন।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার নামাজ শেষে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমরা দেশবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাই। তিনি যেনো সুস্থ হয়ে ওঠেন। খালেদা জিয়া নিজেও দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির বহু নেতাকর্মী জেলে অবস্থান করছে, বহু নেতাকর্মীর ফুটপাতে থাকে, যারা পুলিশের ভয়ে ফুটপাতে থাকে। তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি যদিও সমবেদনা জানানো ছাড়া কিছু করার নেই। ঈদ শব্দের অর্থ খুশি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে খুশি নেই। ঈদের প্রকৃত আনন্দ ছিল খালেদা জিয়ার শাসনামলে।

তিনি বলেন, মানুষ না খেয়ে মারা যাবে তবু কথা বলার অধিকার। আজকের দিনের কামনা হোক সমস্ত ভয়ভীতিকে কোরবানি দিয়ে এই সরকারকে মোকাবিলা করার তৌফিক দিক।

;

ঈদের দিনও রিকশার প্যাডেল চালাতে হয় তাদের!



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদের দিনও রিকশার প্যডেল চালাতে হয় তাদের!

ঈদের দিনও রিকশার প্যডেল চালাতে হয় তাদের!

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের খুশি-আনন্দ পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে পারে না সবাই। কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়িতে যান। আবার কেউ বাড়তি রোজগারের আশায় ঘর ও পরিবার ছেড়ে পড়ে থাকেন কংক্রিটের এই মায়াহীন শহরের বুকে। অন্যের আনন্দে রোজগার বাড়ে তাদের।

এমনই একজন রহিম মিয়া। বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও। তিন ছেলে মেয়েসহ পাঁচ জনের সংসার। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মাত্র তিনি নিজেই। রাজধানী শ্যমলী এলাকার একটি রিকশা গ্যরেজে থাকেন তিনি। পরিবেশের জন্য সদস্যরা থাকেন বাড়িতে।

রহিম মিয়া পেশায় একজন রিকশাচালক। রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকায় পরিবার চলে তার। ধর্মীয় বড় উৎসব ঈদুল আজহা হলেও পরিবারের কাছে ফেরেননি তিনি। ঈদের দিন সড়কে বের হলেই ভালো রোজগারের আশায় পরিবার ছেড়ে রাজধানীতেই থেকে গেছেন। শুধু রহিম মিয়াই নয়, নিম্নবিত্ত পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারের খেটে খাওয়া শত শত মানুষ বাড়তি রোজগারের আশায় পরিবার রেখে ঈদ করছেন ইট-কংক্রিটের এই নগরীর রাস্তায়।


রহিম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, রিকশা চালিয়ে খাই মামা। ময়মনসিংহের গফরগাঁও এ আমার বাড়ি। বাড়িতে দুই ছেলে এক মেয়ে ও আপনাগো মামি থাকে। আমি রিকশা চালিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠাই মামা, সেই টাকাই সংসার চলে।

ঈদ করতে বাড়িতে যান নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাগো কি আর ঈদ আছে। একদিন বসে থাকলেই লস। এক বেলা না খেয়ে থাকলে কেউ খাবার দিবে না। ঈদের দিন রাস্তায় খুব বেশি গাড়ি থাকে না। অনেকের রিকশায় ঘুরতে বের হয়। ভাড়াও একটু বেশি হয়। তাই আর বাড়িতে যাইনি।

রহিমের আশা, নগরীর উচ্চবিত্তরা ঈদ আনন্দে ঘুরতে বের হলে কিছু বাড়তি রোজগার হবে তাদের। নগরীর মানুষ যত বেশি আনন্দ উপভোগ করতে রাস্তায় বের হবে, ঘুরতে যাবে এত বেশি রোজগার হবে তাদের।

এখন পর্যন্ত কত টাকা রোজগার হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকালে নামাজের আগে ও পরে কয়েকজন যাত্রী পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মতো ভাড়া হয়েছে।


টাঙ্গাইলের বাসিন্দা আমান। রাজধানীর বুকে দীর্ঘদিন রিকশা চালান তিনি। আমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদের দিন রিকশা চালালে বেশি ভাড়া হয়। অনেকে বকশিসও দেন। সবাই ঘুরতে বের হয়। রাস্তায় গাড়ি কম থাকে তাই আমাদের ভালো হয়। বেশি টাকা ইনকামের আশায় সময় বাড়িতে যায় না।

আরেক রিকশাচালক জীবন। এক মেয়ে ও বৌকে নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের একটি বস্তিতে থাকেন তিনি। রিকশা চালিয়ে পরিবার চালান জীবন। পরিবারের একটু স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপনের জন্য জীবনের স্ত্রী করেন অন্যের বাসায় গৃহিণীর কাজ।

জীবন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বউ মেয়ে নিয়ে ঢাকায় থাকি। ঈদ করতে বাড়িতে গিয়ে আর কি হবে। ঢাকায় থাকলে ঈদের দিনও রিকশা চালালে ভালো উপার্জন হয়। আর আপনাগো মামি যে বাসায় কাজ করে সেখান থেকে আমাদের কোরবানির গোস্ত দেয়। আমরা সেগুলো রান্না করে খেতে পারি। কিনে খাওয়ার সামর্থ্য তো আমাদের নেই।

;