‘লক্ষ্য পূরণে তরুণদের একাগ্র হয়ে কাজ করতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংলাপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন / ছবি: বার্তা২৪

সংলাপে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কেউ জানতে চেয়েছেন মেয়র হওয়ার গল্প, কেউবা তৃণমূল থেকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পেছেনের কথা। কেউবা জানতে চেয়েছেন চট্টগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। এসবের উত্তর দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

শনিবার (৯মার্চ) ‘দৃষ্টি আড্ডা সাথে নগরপিতা’ শীর্ষক তারুণ্য সংলাপে মেয়রের সঙ্গে এক ছাদের নিচে মিলিত হয়েছিলেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। গল্প আর আড্ডায় সময় পার করেছেন তারা। নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন দৃষ্টি।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে শিশুরা পড়ালেখার সুযোগ না পেয়ে ভিক্ষাসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, এ ক্ষেত্রে মেয়রের পরিকল্পনার কথা জানতে চান ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সীমা চক্রবতী।

এ সময় নাছির উদ্দিন বলেন, ‘এর পেছনে যৌক্তিক অনেক কারণ রয়েছে। অনেক পরিবার চিন্তা করে তার ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করালে আরও অর্থ ব্যয় হবে। এ ক্ষেত্রে তারা সন্তানদের কাজে নামিয়ে দিচ্ছে। অনেকে গরীব বলে করছে না, এটা স্বভাব হয়ে গেছে তাই করছে। বিগত কয়েকবছর আগেও ৭৮ শতাংশ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থা করতো। বর্তমানে এ সংখ্যা ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমি মেয়র হিসেবে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার সম্মানি নেই না। কিন্তু সরকারিভাবে নিয়ম রয়েছে এই টাকা তুলতে হবে। আমি টাকাটা কখনো স্পর্শ করিনি। অনাথ, প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। আমি চেষ্টা করছি শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে।’

স্কুল-কলেজ শেষে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সেই সাথে গণপরিবহনে মেয়েদের হয়রানি, ঝামেলা পোহাতে হয়। মেয়েদের জন্য আলাদা পরিবহন চেয়ে ইসরাত জাহান শুসমিতা নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী মেয়রের মনোযোগ আর্কষণ করেন।

এ সময় নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এমন বাস প্রচলন করলেও এর তেমন কোনো সাড়া পড়েনি। পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, মূল্যবোধ মহিলা সিট ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু আমরা করছি না। আমি বাস পরিবহন মালিকদের অনুরোধ করব স্কুল চলাকালীন মেয়েদের জন্য আরও অধিক সিটের ব্যবস্থা রাখার জন্য। সেই সাথে আলাদা পরিবহনের বিষয়টিও বিবেচনা করব, মনিটরিং করব।’

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ছড়াকার জিন্নাহ ছড়ার মধ্যে দিয়ে জলাবদ্ধতা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, যততত্র রাস্তার খোড়াখুঁড়ি নিয়ে সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতা তুলে ধরেন। একইসাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ শুরুর বিষয়ে জানতে চান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/09/1552144488703.JPG

এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘মাস্টার প্ল্যান অনুযাীয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনা থাকে। সবার একই সাথে প্রকল্পের অর্থায়ন এবং কাজ শুরু হয়নি। এই কাজগুলো করতে গিয়ে রাস্তার কাজ করতে হয়। নদী দূষণ, খাল ভরাট কমিয়ে আনা সম্ভব হলে জলাবদ্ধতা কমে আসবে। আগামী দু থেকে তিন বছর নগরবাসীকে ধৈর্য ধরতে হবে। এরপর আমরা বাসযোগ্য সবুজ নগরী গড়ে তুলতে পারব।’

স্কুল থেকেই রাজনীতিক দিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দিন। সৎ, বিনয়ী এবং একক সিদ্ধান্তে অটল নাছির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছাড়াও, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি পদ-পদবী ছাড়াই দীর্ঘদিন আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, নগরীর মুসলিস হাইস্কুলে তিনি রাজনীতিক সচেতনতা লাভ করেন। চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তির পরে জোরেসরে রাজনীতি এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখেন। ৭০ এর পর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিষয়টি তাকে নাড়া দেয়। পরবর্তী সময়ে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকে বিপুল অর্থ এবং সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে যোগদানের আহ্বান জানায়। এমনকি ১/১১ এর সময় তাকে অনেকবার মেরে ফেলার পরিকল্পনা কথা জানান। মহানগরে আওয়ামী লীগের পদের জন্য ও তদিবির করেননি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই পর্যবেক্ষণ করে এবং বিচার করে দায়িত্ব দিয়েছেন।

২০১৫ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেন তিনি। দায়িত্বের বিষয়ে তিনি জানান, সব সময় জনগণের জন্য রাজনীতি করেছেন। কখনো মেয়র হবেন এমন পরিকল্পনা করেননি। প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন। মেয়র বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর সবুজ ও বাসযোগ্য নগরীর শপথ নিয়েছি। ২০১৯ সালের মধ্যে সুবজ ও গ্রিন সিটি নগরবাসীকে উপহার দিতে পারব। এ লক্ষ্যে সকলের সহায়তা, পরামর্শ, এবং সম্পৃক্তা চাই।’

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে তরুণদের রাজনীতি বিমুখতা নিয়ে কথা বলেন মেয়র। এটিকে নেতৃত্ব সংকট বলেও দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক তরুণ ফেসবুকে আই হেইট পলিটিক্স লিখেন, গাল মন্দ করেন। আমি তাদের দোষ দিব না, এর দায়ভার আমাদের। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি না করে, নিজেদের লাভের জন্য রাজনীতি করলে এর সুফল জনগণ পাবে না। প্রতিটি নাগরিককে রাজনৈতিক সচেতন হতে হবে, রাজনীতির বাহিরে কেউ নয়। বরং সৎ, একাগ্র এবং মানুষের কল্যাণে রাজনীতিতে ব্রত হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাফল্যের জন্য পদ-পদবীর প্রয়োজন নেই, নিজের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলে স্বপ্ন বাস্তবে প্রতিফলন ঘটবে।’

আরও পড়ুন

ট্রেনের বগি নিয়ে চবি ছাত্রলীগের রাজনীতি, বিব্রত মেয়র

   

বান্দরবানে নিহত ২ কেএনএফ সদস্যের পরিচয় মিলেছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
বান্দরবান

বান্দরবান

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নিহত দুই সদস্যের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় নিহতদের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহত কেএনএফ সদস্যরা হলেন, বান্দরবান জেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসিন্দা পেন খুপ বমের ছেলে লাল নু বম (২২) এবং একই এলাকার বেথানীপাড়ার বাসিন্দা জার থাং পুই বমের ছেলে থাং পুই বম (১৪)।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মো. রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারনপাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। এপর্যন্ত মোট ৮৬ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৮৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত কেএনএফের মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে।

;

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুদ্দেশ হওয়ার পাঁচ বছর পর নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছেন ভারতীয় নাগরিক শেভরন কুমার (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শূন্য রেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।

শেভরন কুমার ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জের দেবনাথ ঋষির ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন বাংলাদেশের নাটোর জেলা পুলিশের হাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হন। এসময় আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেভরন সেখানেই কারাবন্দি ছিলেন। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা কারাগারেও ২ বছর ছিলেন শেভরন।

সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেয়া হয়। কিন্ত সেদিন তার কোনো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। এসময় তাকে কারাগারেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্র সাংবাদিক ও অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় শেভরন কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।

দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্র সাংবাদিক মো. শামসুল হুদা, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন।

শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, আমি গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

চিত্রসাংবাদিক মো. শামসুল হুদা বলেন, শেভরনের দেওয়া ঠিকানাটা ভুল ছিল। তারপর ৩০ দিনের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা খুঁজে পায়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে শিশুসহ মাকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুসহ তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. করিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাকে আটক করা হয়েছে। তবে কখন, কোথায় থেকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।

রাত ১০টায় বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেয়ামত উল্লাহ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক আছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী এজাহার সাবমিট করতেছে। এজাহার হাতে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

;

সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে আনিশবা (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনিশবা একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম লিটনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় শিশুটি বাহিরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। পরবর্তীতে বাড়ির পুকুরে আনিশবাকে ভাসতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;