উপেজলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ / ছবি: বার্তা২৪

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেও উপেজলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম।

তিনি বলেছেন, ‘বেশ কয়েকটি দল এ নির্বাচনে না আসলেও অনেক জায়গায় দুই থেকে ছয়জনের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কমিশন কোনো নির্বাচনকে ছোট করে দেখেন না। সব নির্বাচনে প্রার্থী থাকে। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।’

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিসময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ১৮মার্চ দ্বিতীয় ধাপে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে কবিতা খানম বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত থাকে। আমরা চাই না, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি না হোক। কেউ যাতে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।’

নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচন একজন জনপ্রতিনিধির এবং স্থানীয় প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে ভোট শেষের পরবর্তী সময় পর্যন্ত নাগরিকের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। সহকারী রিটার্নিং, পিসাইডিং, পোলিং কর্মকর্তারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন। আপনারা প্রতিটি প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে ভাবুন। কোনো পেছনের রাজনৈতিক কিংবা অবস্থানগত পরিচয় পার্থক্য খুঁজবেন না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে কবিতা বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগের আইনশৃঙ্খলা সভায় বলেছি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সহায়তা করতে প্রস্তুত। আপনাদের জনবল প্রয়োজন হলে দ্বিধা করবেন না, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। নির্বাচনকে সকল ধরনের বির্তকেরে ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। কোনো ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।’

পার্বত্য তিনটি জেলায় সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মেতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।

সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা সভাপতিত্ব করেন। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম ও সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।

   

বান্দরবানে নিহত ২ কেএনএফ সদস্যের পরিচয় মিলেছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
বান্দরবান

বান্দরবান

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নিহত দুই সদস্যের পরিচয় মিলেছে। তাদের মরদেহ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় নিহতদের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহত কেএনএফ সদস্যরা হলেন, বান্দরবান জেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসিন্দা পেন খুপ বমের ছেলে লাল নু বম (২২) এবং একই এলাকার বেথানীপাড়ার বাসিন্দা জার থাং পুই বমের ছেলে থাং পুই বম (১৪)।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মো. রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যারনপাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। এপর্যন্ত মোট ৮৬ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৮৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত কেএনএফের মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে।

;

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

পাঁচ বছর জেল খেটে দেশে ফিরল ভারতীয় নাগরিক

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুদ্দেশ হওয়ার পাঁচ বছর পর নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছেন ভারতীয় নাগরিক শেভরন কুমার (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শূন্য রেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।

শেভরন কুমার ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জের দেবনাথ ঋষির ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন বাংলাদেশের নাটোর জেলা পুলিশের হাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হন। এসময় আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেভরন সেখানেই কারাবন্দি ছিলেন। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা কারাগারেও ২ বছর ছিলেন শেভরন।

সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেয়া হয়। কিন্ত সেদিন তার কোনো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। এসময় তাকে কারাগারেই ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্র সাংবাদিক ও অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় শেভরন কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।

দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্র সাংবাদিক মো. শামসুল হুদা, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন।

শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, আমি গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

চিত্রসাংবাদিক মো. শামসুল হুদা বলেন, শেভরনের দেওয়া ঠিকানাটা ভুল ছিল। তারপর ৩০ দিনের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা খুঁজে পায়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।

;

চট্টগ্রামে শিশুসহ মাকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুসহ তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. করিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাকে আটক করা হয়েছে। তবে কখন, কোথায় থেকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।

রাত ১০টায় বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেয়ামত উল্লাহ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক আছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী এজাহার সাবমিট করতেছে। এজাহার হাতে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

;

সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে আনিশবা (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনিশবা একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম লিটনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় শিশুটি বাহিরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। পরবর্তীতে বাড়ির পুকুরে আনিশবাকে ভাসতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;