ডাবল কেবিন পিকআপ পাচ্ছেন সহকারী ভূমি কমিশনাররা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০৬ জন সহকারী কমিশনাররা পাচ্ছেন ডাবল কেবিন পিকআপ। এজন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব পিকআপ কিনবে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এসব পিকআপ সরবরাহ করবে। ফলে প্রতিটি পিকআপ’র দাম পড়বে ৫০ লাখ টাকা।

বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দেশে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তার মাধ্যমেই বা সরকারি প্রতিষ্ঠান না থাকলে দেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বা দেশি প্রতিষ্ঠান না থাকলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পণ্য কিনতে হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে এসব গাড়ি সরবরাহের কাজ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিষ্ঠান এসব গাড়ি সরবরাহ করলে অর্থ জেনারেট হবে ও দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিলে ক্রয় ও দামের বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়।’

উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন এসিল্যান্ড বা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) পদ আছে ৫১১টি। তাদের জন্য ইতোমধ্যে ২৮৮টি মিৎসুবিসি এল-২০০ স্পোর্টার ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়ি কিনেছে সরকার। বাকি ২২৩ জনের জন্যও গাড়ি ক্রয়ে গত ৮ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি। এরই অংশ হিসেবে আজকের বৈঠকে ২০৬টি গাড়ি কেনার অনুমোদন দিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা বা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনায় সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) জন্য ৫১১টি কার্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে একটি করে ডাবল কেবিন পিকআপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ও প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ৬০ জন সহকারী কমিশনারের হাতে পিকআপ’র চাবি হস্তান্তর করেন।

   

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ জুন) সকালে আসামের শিলচর থেকে ট্রেনটি কলকাতার শিয়ালদহে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জেলা দার্জিলিং-এর জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অভিষেক রায় রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, বিধ্বস্ত গাড়ি থেকে অন্তত ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ির রাঙ্গাপানি স্টেশন এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। পেছন থেকে একটি মালবাহী ট্রেন সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মালবাহী ট্রেনটির একটি বগি যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপরে উঠে যায়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এলাকায় এইমাত্র একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে মর্মাহত হয়েছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ডিএম, এসপি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ও বিপর্যয় দলগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার, পুনরুদ্ধার ও চিকিৎসাসহায়তার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।’

দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য অনেক পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ব্যবহার করেন। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে অনেকে স্বস্তির জন্য দার্জেলিংয়ের পাহাড়ি এলাকা ভ্রমণ করছেন। এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটল।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অতিক্রম করে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দেয়। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের দল ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দিল্লির রেলওয়ে ওয়াররুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে।

তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনের অংশে কার্গো ভ্যান থাকায় হতাহতের সংখ্যা কমেছে। গার্ডের কোচ ও যাত্রী বগিগুলো সামনের দিকে ছিল।

;

উত্তরে ১৬ ওয়ার্ড বর্জ্য মুক্ত, তদারকিতে মাঠে মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উত্তরে ১৬ ওয়ার্ড বর্জ্য মুক্ত, তদারকিতে মাঠে মেয়র আতিক

উত্তরে ১৬ ওয়ার্ড বর্জ্য মুক্ত, তদারকিতে মাঠে মেয়র আতিক

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ১৬টি ওয়ার্ডের শতাভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। সেই সাথে তদারকিতে কাজ করছে মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্পোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিকেল ৬ টার মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। ওয়ার্ড সমূহ হলো- ০৩, ০৭, ১৫, ১৮, ১৯, ২০, ২৯, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৯, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৫১, এবং ৫৪।

এসময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

;

রাজধানীতে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত বেড়ে ১৫৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত ও মাংস কাটতে গিয়ে ছুরিতে কেটে ১৫৮ জন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তারা চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জন ডা. আমান।

তিনি বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানী বিভিন্ন এলাকা হতে সকাল থেকে বিকাল ৭টা পর্যন্ত আহত অবস্থায় আমাদের এখানে ১৫৮ জন এসেছেন। সবাইকে সেলাই ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৫৮ জনের মধ্যে একজনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত অবস্থায় ১৫৮ জন জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন গুরুতর হওয়ায় ভর্তি দেয়া হয়েছে। বাকিরা জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিয়েছেন।

;

বিকেল পাঁচটার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য মুক্ত হলো চট্টগ্রাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যমাত্রার আধা ঘণ্টা আগেই চট্টগ্রামের কোরবানির ঈদের বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেন (চসিক)।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা’তেই নগরীর প্রায় সমস্ত কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছে চসিক।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত অবস্থায় পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রথম ধাপের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন ঘোষণা করেন।

তবে চট্টগ্রামে অনেকে দুপুরের পর এবং সন্ধ্যায় কোরবানি করে থাকেন৷ এসব বর্জ্যও রাত আটটার মধ্যে পরিচ্ছন্ন করা হবে বলে জানান চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি।

মেয়র বলেন, বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগরীর সমস্ত কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মী কাজ করেছে। বিকেল সাড়ে ৪টাতেই নগরীর দিনে হওয়া কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।

নগরীতে অনেকে দুপুর বা সন্ধ্যায়ও কোরবানি দেন, আবার কিছু প্রান্তিক এলাকায় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা কিছুটা কঠিন। এসব বর্জ্য রাত আটটার মধ্যে পরিচ্ছন্ন করতে দ্বিতীয় ধাপে কাজ চলছে৷ নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণে দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুম চালু আছে৷ কোথাও কোন কোরবানির বর্জ্য থাকলে আমাদের জানালে তা পরিষ্কার করা হচ্ছে।

কোরবানির চামড়া প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সম্পদ চামড়া যাতে নষ্ট না হয়। এজন্য চামড়া ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আমরা সমন্বয় সভা করেছি। আশা করি কোন চামড়া নষ্ট হবেনা এবার।

এসময় মেয়রের সঙ্গে নগরীর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, হাসান মুরাদ বিপ্লব,আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান, মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাত, অনিক দাশগুপ্তসহ চসিকের কর্মকর্তারা।

;