আ,লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি: সংগৃহীত

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়, দেশের মানুষ সেবা পায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই এ দেশের মানুষ সত্যিকারভাবে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে। আর গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি র্অজনের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ এই আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।’

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার অভিযোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগকে শেষ করবার জন্য আইয়ুব খান চেষ্টা করেছে, ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ চেষ্টা করেছে, খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শিকল বাংলার মাটিতে জনগণের সাথে এমনভাবে প্রোথিত যে, এটাকে কখনো শেষ করতে পারেনি। বরং আজকে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, যে দল জনগণের কথা বলে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে গড়ে ওঠে সেই দলই হচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল সৃষ্টি হয় তাদের গোড়ায় কোনো মাটি থাকে না। ক্ষমতা ছাড়া তাদের কোনো অস্তিত্বই থাকে না।’

পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সেসময় ঘটনাচক্রে দুই বোনের বেঁচে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ছয়টা বছর দেশে আসতে পারিনি, দেশে আসতে দেওয়া হয়নি আমাদের। কারণ, পঁচাত্তরের পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। সংবিধানকে লঙ্ঘন করে, হত্যা, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়েছিল। আমাদের সামরিক বাহিনীর হাজার হাজার অফিসার, মুক্তিযুদ্ধ অফিসার তো কেউই নাই, এছাড়া কর্মরত হাজার হাজর অফিসার সবাইকেই প্রায় মেরে ফেলে। হাজার হাজার সৈনিককে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে জানতই না, ছুটিতে ছিল, কিন্তু তাদেরকেও হত্যা করা হয়। আর প্রতিরাতে ছিল কারফিউ। কারও স্বাধীনভাবে চলার অধিকার ছিল না। এই কারফিউ কিন্তু বহুবছর চলেছে। পঁচাত্তরের পর দশটা বছর খালি কারফিউ দিয়েই দেশটা চালানো হয়েছে। মানুষের স্বাধীনভাবে চলার পথ বন্ধ ছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়। একটা পর্যায়ে কতগুলো দল করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না, কথা বলার সুযোগ ছিল না, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। এভাবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/27/1553700932028.jpg

সে সময়ের ‘অবৈধ সরকারগুলোর’ সৃষ্ট একশ্রেণির ‘চাটুকার’ দলের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্যটা হল যখন দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল তখন অনেকেরই ভাল লাগেনি, যখন মার্শাল ল আসল, যখন কথায় কথায় ডান্ডার বাড়ি খেত তখন হুজুর হুজুর ডেকে খুবই যা কিছু করছে বেশ বেশ, এই বলে তোষামদি চাটুকারের দল সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই চাটুকারের দলই মিলিটারি ডিকটেটরদের পদলেহন করত। আর তাদের আমলটাকেই তারা খুব ভালভাবে দেখে। কারণ তখন যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারাই ক্ষমতায়। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হয়। অনেকে গণতন্ত্র রক্ষার নামে এদের সাথে হাতও মেলায়।
মার্শাল ল অর্ডিনেন্স দিয়ে যারা দেশ চালায়, প্রতিরাতে যেখানে কারফিউ থাকে, যতই রাজনৈতিক দল করতে দিক না কেন সে দেশে আবার গণতন্ত্র কীভাবে থাকে? আর গণতান্ত্রিক ধারাটা বা চলে কীভাবে সেটাই হচ্ছে আমার প্রশ্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম ওইদিন বিএনপির অর্থমন্ত্রী বলেছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাল না। তাহলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভিক্ষা করা যাবে না। এইছিল তাদের মানসিকতা। কারণ তারা তো বাংলাদেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করেনি। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি তারা আনবে কেন? ভিখারি জাতি হিসেবে থাকুক সেটাই তারা চেয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সময়কার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই দশ বছরে আজকে বাংলোদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে আমরা যখন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ জয় করেছি, সমুদ্রসীমার সমস্যা সমাধান করেছি, আমাদের স্থলসীমনা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি, এর সবকাজের ভিত্তি কিন্তু আমাদের জাতির পিতা ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এমনকি এখন আমাদের নেভীর সাবমেরিনও আছে। অর্থাৎ মহাকাশ থেকে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত আমাদের বিচরণ আমরা করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। যারা এর আগে ক্ষমতায় ছিল তারা করে নাই, করতে চায়ও নাই। বাংলাদেশ মর্যাদাকর আসনে অধিষ্ঠিত হোক এটাও তারা চায় না। ভোগবিলাসে গা ভাসিয়ে যে হানাদার বাহিনীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম, তাদেরই পদলেহন করেছে। এটাই তারা পেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলকু সেটা চায়নি।’

এ সময় জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সংগঠনকে শক্তিশালী ও উন্নত করার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিরুল আলম মিলন, এস এম কামাল হোসেন, অধ্যাপক মেরিনা জাহান।

   

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনুস আলী (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার খোর্দ্দ বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুস আলী কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দ বনগ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ৭টার দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুক্তার আলী ও তার লোকজন মিলে ইউনুস আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন, তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুস আলী জখম হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান।

তিনি আরও জানান, নিহত ইউনুস আলী ও মুক্তার আলী একে অপরের আত্মীয়। সম্পর্কে বেয়াই। তাদের উভয়ের ছেলে মেয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বিরাজ করছিল। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

২৮ বছরে ঢাকার সবুজ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রাজধানী ঢাকায় গত ২৮ বছরে সবুজ এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ, অন্যদিকে জলাভূমিও নেমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী সম্মেলনে এই তথ্য জানা যায়।

বিআইপির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা শহরের সবুজ এলাকা এবং জলাভূমি কমেছে সেই সঙ্গে দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা শহর এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবও বাড়ছে। দেশে চলমান যে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তার মূল কারণ নগরে সুবজায়ন কমে যাওয়া।

বাংলাদেশের মতো ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ুর দেশে নগর পরিকল্পনায় সাধারণ মানদণ্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গত বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাড়ার কথা ছিল ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিআইপি-এর গবেষণা অনুযায়ী ঢাকায় কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে। ফলে সার্বিকভাবে ঢাকার পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে নেতিবাচকভাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল সরোয়ার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, শ্রমিকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, অবনতি হয়েছে কৃষি উৎপাদনে, ব্যাহত হয় শিল্প প্রক্রিয়া, তাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন অবকাঠামো।

তিনি আরও জানান, চলমান তাপপ্রবাহকে চরম আবহাওয়াগত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাপপ্রবাহ মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ২০২৪ সালে সমগ্র বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

অনুষ্ঠানে নগর গবেষণা কেন্দ্রে সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান স্থাপতি ইকবাল হাবীব।

;

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা ১১:৫৭ টায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।  

;

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁর সাহাগোলার ‘মটকা চা’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ আত্রাই উপজেলার সাহাগোলার মোড় স্টেশন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মটকা চা’। দুধ, চিনি ও বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এ চা খেতে প্রতিদিন স্টেশনে ভিড় করেন চা-প্রেমীরা। মাটির ছোট্ট হাড়িতে পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা।

সরেজমিনে শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সাহাগোলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মাটির তৈরি ছোট্ট পাতিল প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে জ্বলন্ত চুলায় গরম করা হচ্ছে, এবং উত্তপ্ত গরম হয়ে গেলে সেটিকে আবার নামিয়ে ভেতরে দুধ ঢালা হচ্ছে, এরপর বিভিন্ন ধরনের মসলা ও শেষে দেওয়া হচ্ছে দুধের সর। এভাবেই পরিবেশন করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে তৈরি মটকা চা।

জানা গেছে, দেশে প্রথম মটকা চায়ের আবির্ভাব ঘটে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘মটকা চা এবং মোমো’ ক্যাফেতে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এটির যাত্রা শুরু হয়। মাটির পেয়ালায় পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা। এই চায়ের মূল আকর্ষণ হলো মাটির পেয়ালা। ভিন্নধর্মী স্বাদের এই চা পান করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে যেতেন চা-প্রেমীরা। তবে এখন এই মটকা চায়ের বিস্তার দেশের অনেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। চায়ে নিজস্ব অনেক ইতিহাস থাকলেও মটকা চায়ের স্পষ্ট কোনো ইতিহাস অদ্যাবধি জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই মটকা চা প্রথমে রাজস্থান থেকে এসেছে। ভারতে প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ মটকায় চা পান করে। ভারতের মটকা চা ব্যাপক জনপ্রিয়। মূলত উৎপত্তিস্থল ভারতে।

মটকা চা খেতে আসা ছামিউল (২৮) বলেন, আমার বাড়ি নিয়ামতপুর উপজেলায়। শুনেছি সাহাগোলার মটকা চায়ের অনেক স্বাদ তাই কয়েক বন্ধু মিলে আজকে খেতে চলে এসেছি। চায়ের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। তবে স্থায়ী জায়গা যদি করা যেত তাহলে আরও দূর থেকে মানুষজন এসে নিরাপদে খেতে পারতো।


আফরিন বলেন, আজকেই প্রথম এসেছি এখানে। জায়গাটা অনেক সুন্দর, আর পাশেই রেল-স্টেশন আছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে। মটকা চা আমি আগেও খেয়েছি, তবে এটির আলাদা মজা পেলাম খেয়ে। আবারো আসবো খেতে।

খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক ভিড় এবং দোকানিও অনেক। আমার কাছে পরিবেশ ভালো লেগেছে, তবে চায়ের মান আরও উন্নতি করা দরকার।

এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আকমল বলেন, আমাদের এখানে এতো লোকসমাগম হতো না, কিন্তু যখন থেকে মটকা চা আর মালাই চা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই এলাকাটা বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। আমাদেরও ভালো লাগে, যখন দেখি দূর থেকে মানুষ চা খেতে আসে।

দোকানী আতাউল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ বছর আগে সাহাগোলায় সর্বপ্রথম মটকা চা আমি বানানো শুরু করি। এখন ১৫টির অধিক দোকান আছে সেগুলো তখন ছিল না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চা পরিবেশন করতে। ভালো লাগে বলেই অনেক দূর থেকে মানুষ এসে আমাদের চা খায়।

আরেক দোকানি রনি বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার বেশি ভিড় হয় এবং বিক্রি ভালো হয় বিধায় লাভও থাকে। এটি আমি ১ বছর ধরে বিক্রি করি। আতাউল ভাই শুরু করেছিল। লাভ মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সাহাগোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যেহেতু অনেক লোকজন আসেন। এখানে শুধুমাত্র চা বিক্রি হচ্ছে না, পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন বেড়াতেও আসছেন। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি।

;