র‌্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

‘অপরাধী আত্মসমর্পণ করলে স্বাভাবিক জীবনের ব্যবস্থা হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুরনো ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত কোনো ব্যক্তি যদি আত্মসমর্পণ করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে চায়, তাহলে তাদের জন্য সরকার সে ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আমাদের সব সময় এটাই আহবান থাকবে যে, যারাই সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তারা যদি আত্মসমর্পণ করে, অবশ্যই তাদের জীবনযাপন করার জন্য যথযাথ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। দেশে শান্তি বজায় থাকুক, দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচুক, সেটাই আমরা চাই।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুন্দরবনে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের জীবনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সুন্দরবন এলাকা আমাদের একটা বিশাল সম্পদ। কিন্তু প্রতিনিয়ত এখানে মানুষগুলো নানা রকম দুর্ভোগ পোহাতেন এবং এই বনদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত হতেন। র‌্যাব সদস্যরা সেখানে বিরাট একটা সাফল্য অর্জন করে। ওই এলাকা আমরা দস্যুমুক্ত করার জন্য ২০১২ সালে একটা টাস্কফোর্স তৈরি করে দিয়েছিলাম এবং প্রায়ই আমাদের যৌথ বাহিনী সেখানে একত্রে অভিযানও পরিচালনা করতো। সুন্দরবন এলাকায় জলদস্যুদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলতে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে প্রায় ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি এবং পরিবারের সাথে সুন্দরভাবে জীবনযাপন যেন করতে পারে, তার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করছে। একটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। আগে দস্যুর সন্তান হিসেবে তারা যে অপমানিত হতো, সেটা এখন হচ্ছে না। তারাও একটা সম্মানজনক জীবন পাচ্ছে।

মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে সরকারপ্রাধান বলেন, মাদক একটা বিষাক্ত জিনিস; কেমিক্যাল দ্বারা তৈরি। মাদক সেবনের ফলে একেকটা জীবন অকালে ঝড়ে যাচ্ছে। একেকটা পরিবার আজকে কষ্ট পাচ্ছে। ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। দেশও ধ্বংসের মুখে যায়। যে কারণে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এটা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমাদের যুব সমাজ তারা যেন মাদকাসক্ত না হয় সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে। ঠিক যেভাবে আমরা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত করে জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা অর্জন করেছিলাম, ওইভাবে আমাদের একটা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সে দিকে লক্ষ্য রাখতে র‌্যাবের প্রতি আহবানন জানান শেখ হাসিনা। বলেন, যারা অন্যায় করবে, তারা যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে, নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়।

র‌্যাব সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আপনারা সবাই বিভিন্ন বাহিনী থেকে এসেছেন, বিভিন্ন পরিবার থেকে এসেছেন। কাজেই দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হলে এর সুফল কিন্তু প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যরা পাবেন। গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নত হবে।

তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন দেশে শান্তি ছিল না। মানুষ নিরাপদে চলতে পারতো না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ছিল দেশ। অন্তত আমি এটুকু দাবি করে বলছি, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে শান্তি ফিরেছে। দেশের মানুষ এখন নিরাপদে উন্নত জীবনযাপন করছে। জঙ্গিবাদের ঘাঁটি ভেঙে দিয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে আমাদের। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে তুলনামূলকভাবে। আমরা এখন একটি সুখি সমৃদ্ধ দেশে বাস করছি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

   

গরিব জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখলে লজ্জা লাগে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী উদ্যোগের ফসল এই মেট্রোরেল। বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেল এর ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় যাবো তখন গরিব গরিব চেহারার জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখা যাবে। এসব দেখলে আসলেই লজ্জা লাগে। আমাদের এতো সুন্দর মেট্রোরেলের যুগে এমন জরাজীর্ণ বাসগুলো কি মালিক সমিতির লোকেরা দেখেন না? তারা কি বিদেশ যান না?

;

বগুড়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের (৪০) স্ত্রী আনু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন কৃষক।

রোববার (১৯ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান।

শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান।

এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু'জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলা সামান্য কেটে দেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের লাশ হেফাজতে নিয়ে আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হয়েছে, আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে গলায় সামান্য কেটে দেওয়া হয়।

ওসি আরো বলেন, গলায় যে যতটুকু কাটা দাগ রয়েছে, তাতে গলা কাটার কারণে তার মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে অটোচালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিরপুরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মিরপুর সাড়ে ১১-তে গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

;

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;