শিল্পমেলার উদ্বোধন

বৃহৎ শিল্প গড়ে তোলার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিল্পমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

শিল্পমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে উল্লেখ করে দেশের উন্নয়নে বৃহৎ শিল্প গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দেশে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের অনেক বিকাশ হয়েছে। কিন্তু বৃহৎ শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেনি। তাই যাতে বৃহৎ শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যায়, সে জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’

রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শিল্পমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পায়নের জন্য ব্যাংকের সুদের হার কমানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ব্যাংকের সুদ কমানোর উদ্যোগ নিলাম, ব্যাংকগুলোকে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধাও করে দিলাম। কিছু ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশে নামাল। অন্য ব্যাংকগুলো করল না। তারা সুযোগ চাইল কিন্তু সুদের হার কমাল না। এখন তাদের দিকে নজর দিতে হবে। তারা ঠিকঠাক মতো ভ্যাট দেয় কি-না দেখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ৭৮ লাখ শিল্প-কারখানা বেসরকারিখাতে রয়েছে। বিদ্যুৎ-বিমান, হেলিকপ্টার, শিল্প-কারখানা, টেলিভিশন-রেডিও বলেন ব্যবসা-বাণিজ্যের সব খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা চাই বেশি বেশি বিনিয়োগ হোক, কর্মসংস্থান হোক।'

কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেয় না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা শিল্প-কারখানা ঠিকই স্থাপন করেন, কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন না। বর্জ্যের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, নদী নষ্ট হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কিছু টাকা খরচ হবে। এখানে শিল্প-মালিকদের কার্পণ্য কেন সেটা আমার একটা প্রশ্ন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ না করার প্রবণতা অনেকের মধ্যে রয়েছে। এই প্রবণতা দূর করতে হবে। ঋণ ফেরত দিলেই ব্যাংকগুলো সহজেই সুদের হার কমাতে পারবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ব্যাংক-বীমা করেছে। তাদের সুযোগ-সুবিধাও দিয়েছে। কৃষকরা এখন ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন না। শিক্ষকরা ব্যাংক থেকে বেতন নিচ্ছেন।’

শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদীপথ বৃদ্ধি করছি, বিভিন্ন নদী খনন ও ড্রেজিং করছি। রাজশাহী, সৈয়দপুর বিমানবন্দর চালু করে দিচ্ছি। ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে চাই, আধুনিক করতে চাই। ছেলে-মেয়েরা অনেকে লেখাপড়া করে কৃষক হতে চায়। আজকে মিঠাপানির মাছ তৃতীয় স্থান অধিকার করে আছে। সেই সঙ্গে মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, কুঁচেসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী রফতানির সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘বেশি বেশি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠুক। তবে কৃষি জমি নষ্ট করে এখানে-সেখানে শিল্প গড়ে উঠুক, আমি তা চাই না। কৃষির দরকার আছে, কারণ কৃষির মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হবে। আবার শিল্পায়নও চাই। কারণ শিল্পায়ন ছাড়া কোনো দেশ উঠে দাঁড়াতে পারে না।‘

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। যারা শিল্পপতি আছেন, আপনারা যা উৎপাদন করেন সবকিছু তো রফতানির জন্য নয়; দেশের বাজার তৈরি করতে হবে। এ বাজারটাকে আপনাদের ধরতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।

   

বাসাবোতে তিন শ্রমিকের মৃত্যু

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মাদারিগঞ্জ থানার গুইনারবাড়ি এলাকার গোলাপ শেখের ছেলে আলতাবুর রহমান (৪০)। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পরিবার নিয়ে রাজধানীর বাসাবো মায়াকানন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। জীবন যুদ্ধে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে সঙ্গে করে ঢাকায় থাকলেও দুই সন্তান থাকতেন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় ফিরে সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন আলতাবুর। কিন্তু দিন পার হওয়ার আগে ফের বাড়ির পথে। তবে এবার নিথর দেহে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে চেপে।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় দিন আগে আলতাবুরের বড় বোন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বোনের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে যান। পাঁচদিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরেছিলেন। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে কাজ শুরুর আগেই ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে মারা যান।

শুধু আলতাবুর নয় রাজধানীর সবুজবাগ থানার আহমেদবাগ ফাস্ট লেন মায়াকানন মসজিদের পেছনের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ১০ তলায় কাজ করতে গিয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আলতাবুর ও মো. অন্তরের মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মফিজুল ইসলাম (২০)কে উদ্ধার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।


শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত তিন জনের কারোই স্বজন উপস্থিত নেই। কয়েকজন পরিচিত, বন্ধু ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় এসেছেন। তাদের কাছ থেকে নিহত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করা মিন্ত্রী মো. হালিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতকাল ভবনের বাইরের দিকে প্লাস্টার করার জন্য বাঁশ দিয়ে মাচা বানানো হয়েছে। আজ সকালে প্লাস্টারের কাজ শুরুর আগে পানি দেওয়ার জন্য আলতাবুর, মফিজ ও শান্ত মাচার ওপরে যান। হঠাৎ মাচার একটি বাঁশ ভেঙে তারা দুই ভবনের মাঝে পড়ে যায়। কপাল খারাপ ছাড়া কিছুই বলার নেই।

তিনি আরও বলেন, আলতাবুর ছয়দিন পর আজ সকালে কাজে আসেন। তার বড় বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। গতকাল রাতে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসেন। আজ সকালে কাজে এসে পানি দিতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময়ে আমি নিচে ছিলাম ওরা ওপরের দিকে ছিলো। নিচে পড়ে যাওয়ার পরপরই মৃত্যু হয় আলতাবুর ও অন্তরের। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মফিজুর।

নিরাপত্তা বেল্ট ব্যবহার করতেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। আমরা কোনো বেল্ট ব্যবহার করতাম না। কেউ কখনো এগুলো ব্যবহার করতে দেয়নি।

রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করা মফিজুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তার কয়েকজন বন্ধু ছুটে এসেছেন ঢামেকের মর্গের সামনে। তারা বন্ধুর লাশের অপেক্ষা করছেন। মফিজুরের বন্ধুরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মফিজুর তিন মাস আগে বিয়ে করেছে। তার বাবাও একজন রাজমিস্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সদর থানার চরপাড়া এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। গতকাল রাত ১০ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাসায় গেছে। সকালে কাজে এসে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

একই ঘটনায় নিহত অন্তরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার তাড়াটিয়া চরপাড়া এলাকায়। তিনি রাজমিন্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

তিন শ্রমিকের ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, বাসাবোর মায়াকানন এলাকায় ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আলতাবুরের স্ত্রী আফরোজা। মামলায় অবহেলা জনিত কারণে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

;

থানচির দুর্গম পাহাড়ে ১১ বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থান‌চির তিন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থুইসাপাড়ার দুর্গম জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ সময় পাহাড়িদের ১১টি বসত ঘর পুড়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) ১০ টার দিকে থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডে থুইসাপাড়ায় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। তবে, বিজিবি সদস্যদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে পাহাড়ি বাড়িঘর ও তাদের অন্যান্য সম্পদ।

আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পাহাড়ি মানুষ আহত হয়েছেন। তা‌দের বিজিবি ক্যাম্পের মেডিক্যাল সহকারী তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে।

বি‌জি‌বির জনসং‌যোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়‌টি নিশ্চিত ক‌রে বলেন, বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) অধীনস্থ জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিজিবির সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গি‌য়ে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার ক‌রে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজিবির কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সাতটি বসতঘর পুড়ে গেলেও রক্ষা পায় কমপক্ষে ১৫‌টিরও বেশি বসত বাড়ি ও অন্য সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে।

২ নম্বর তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, থুইসা পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।

থানচি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইসমাইল মিয়া জানান, তিনি একজনের মাধ্যমে জেনেছেন যে তিন্দু ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা থুইসাপাড়ায় ১১টি বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এলাকাটি দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে সময়মতো খবর পাওয়া যায়নি।

;

মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জে বজ্রপাতে রেদওয়ান আহমদ (১২) নামে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেদওয়ান নোয়াগ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার নোয়াগ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাবার সঙ্গে রেদওয়ান ও তার আরেক ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে রেদওয়ানের শরীরে আঘাত করে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (মিডিয়া) মফিদুল হক সজল।

তিনি জানান, বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশু রেদওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে আর কেউ আহত হননি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

তীব্র দাবদাহে চার বিভাগে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে কয়েক দিন ধরে চলছে গরমের দাপট। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। এ অবস্থায় আবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এ ছাড়া গত এপ্রিলে বেশ কয়েকবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

এর আগে আবহাওয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

;