চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে সন্তুষ্ট ইসি
![সংবাদ সম্মেলন করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ / ছবি: বার্তা২৪](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2019/Mar/31/1554039810956.jpg)
সংবাদ সম্মেলন করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ / ছবি: বার্তা২৪
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভাল হওয়ায় চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে একটি লোকও নিহত হয়নি। তবে কিছু আহত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য আমরা অনেকগুলো উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এমনকি পুলিশ সুপারকে (এসপি) আমরা প্রত্যাহার করেছি। কয়েকজনকে আমরা সাময়িক বরখাস্তও করেছি।’
চতুর্থ ধাপের ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনিয়মের কারণে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরে ১২টি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত কেন্দ্রগুলো হলো মুন্সীগঞ্জের তিনটি, ঢাকার ধামরাইয়ের একটি, কুমিল্লার চান্দিনায় চারটি, কুমিল্লার মেঘনায় দুটি ও কুমিল্লার হোমনার দুটি কেন্দ্র। বাকি কেন্দ্রগুলোয় মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় সাতজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মেয়াদে তাদেরকে আইনের আওতায় সাজা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ৪৯টি উপজেলাতে প্রায় ১২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছিলাম। ঢাকা ও স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে তিন শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেট আমরা নিয়োগ করেছিলাম। তার পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, এমন কি গ্রাম পুলিশও আমরা নিয়োগ করেছিলাম।’
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এর মধ্যে আমাদের যেসব কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে, সেসব কেন্দ্র তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করবে। আর যেসব উপজেলা স্থগিত করা হয়েছে, সেসব উপজেলা নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও তদন্ত করা হবে। পরবর্তীতে এর তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে ৩০ থেকে ৪০টি উপজেলায় নির্বাচন হবে।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসতে দেরি হয়। তৃতীয় ধাপে ইভিএমের ফলাফল রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (আরএমএস) আনতে চেয়েছিলাম। ইন্টারনেট ডাউন থাকার থাকার কারণে আমরা পারিনি। চতুর্থ ধাপে আমরা সেটি বাদ দিয়ে দিয়েছি। ম্যানুয়্যালিই ফলাফল আনা হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনেও ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়েছিল।’