দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে চলমান দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঢাকার মতিঝিলে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসে নেতৃবৃন্দ এ সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে দাওরায়ে হাদিসের প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে জরুরি আলোচনা হয় এবং বৈঠকের শুরুতে নেতৃবৃন্দ পেছনের সব পরীক্ষা বাতিল এবং সামনের সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন।

পরে পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত মতে ২৩ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়ে ৩ মে শেষ হবে। বৈঠকে প্রশ্নফাঁসরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন সংস্থাটির কো চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী। উপস্থিত আছেন সদস্য মুফতি রুহুল আমিন, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা শামসুদ্দিন জিয়া, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু প্রমুখ ।

উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ৮ এপ্রিল শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৮ এপ্রিল।

আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২৬ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

হাইয়াতুল উলইয়ার অধীনে ৬টি শিক্ষা বোর্ড হলো- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ, আজাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ, তানজিমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ এবং জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড।

প্রসঙ্গত জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে ১৯ সেপ্টেম্বর ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ পাস হয়।

আইন পাস হওয়ার পরে সংস্থাটির অধীনে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল করা হলো। 

   

ঘূর্ণিঝড় রেমাল

চট্টগ্রাম বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’র কারণে আবহাওয়া অধিদফতর ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করায় সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করেছে। এই সতর্কতা জারির পর বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বন্দরের ইয়ার্ড ও জেটির সব ধরনের কার্যক্রম।

রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত ঘোষণার পর সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। বন্দরের সব অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বহির্নোঙরে অবস্থানকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদে থাকা এবং বন্দরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বন্দর জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন সব ইকুইপমেন্ট একস্থানে জড়ো করে নিরাপদে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে একই কারণে রোববার দুপুর ১২ টা থেকে পরবর্তী ৮ ঘণ্টা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদফতর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহা বিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে রোববার (২৬ মে) সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৩০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থান করছে। এজন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

;

কক্সবাজারে ‘ঘূর্ণিঝড় বিলাস’!



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এখানে কোনো দুর্যোগ চলছে। হাজারও পর্যটক ও স্থানীয়রা নেমে পড়েছেন সৈকতে।

তাদের বাধা দিচ্ছেন লাইফগার্ড এবং সৈকতকর্মী। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তাদের সঙ্গে যেন চোর-পুলিশ খেলা চলছে! যেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কিছুই না তাদের কাছে।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্ট ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। পর্যটকদের উদ্দেশে বারবার মাইকিং এবং বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করলেও মানছেন না তারা।

এদেরই একজন মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ওসমান আলী জানালেন, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ে সাগরের উত্তাল ঢেউ দেখে ঘরে বসে থাকতে পারিনি। সে কারণে কক্সবাজার চলে এলাম ঘূর্ণিঝড় দেখতে! খুবই ভালো লাগছে!

এই পর্যটককে নিরাপত্তার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বললেন, আমরা তো সতর্কতা অবলম্বন করেই সমুদ্র নেমেছি। আপনাদের কী সমস্যা! আমরা নিরাপদে ভ্রমণ করছি! আমরা বুঝবো বাকিটা!

ঢাকার গুলশান ভাটারা থেকে ঘুরতে আসা আরেক পর্যটক ইসহাক গাজী বলেন, আমরা তো ১০ দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছি। এই অবস্থা হবে, সেটাতো জানি না। আমরা তিনদিনের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি। আমরা ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে গেছি। এখন সমুদ্র দেখতে আনন্দ লাগছে; আবার ভয়ও লাগছে।

বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র লাইফগার্ড রশিদ আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা একপাশ থেকে তুলে দিলে অন্যপাশ থেকে আবার পর্যটকরা নেমে পড়ছেন। আবার স্থানীয়রাও ঘূর্ণিঝড় দেখার জন্য সমুদ্র আসছেন। আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। সৈকতকর্মীরাও কাজ করছে কিন্তু কেউ পেরে উঠছে না। ব্যাপারটা যেন আমাদের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলা হচ্ছে!

সৈকতকর্মী শফিউল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করে যাচ্ছি। সবাইকে সমুদ্র সৈকত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য বলছি কিন্তু অনেকেই এ নির্দেশনা মানছেন না।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিস্থিতি দেখতে এসে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এ বিষয়ে বলেন, আমরা সৈকতের কিটকট, জেটস্কি, বিচবাইকসহ সব সেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

সৈকত এলাকা ছাড়ার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, সৈকতকর্মী, লাইফগার্ড কাজ করছে। এছাড়া পর্যটকদেরও অনুরোধ জানাচ্ছি এই বলে যে, আপনারা আমাদের এদিকে ব্যস্ত রাখবেন না। আমাদের পুরো জেলার মানুষের জন্য কাজ করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করুন।

;

উপকূলের মানুষের ঘুম নেই, বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্ক



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথায় মাটি ভর্তি জিয়ো ব্যাগ। কেউ বস্তায় মাটি ভরছেন, কেউ ব্যাগ সেলাই, কেউ বস্তা ভর্তি মাটি মাথায় করে বেড়িবাঁধে ফেলছেন। চাঁদনী রাতে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক নিয়ে নিজ স্বেচ্ছাশ্রমে দুর্বল রাস্তায় বস্তা ফেলানোর কাজ করে যাচ্ছেন উপকূ্লের মানুষেরা। দেখতে দেখতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুয়ারে কড়া নাড়ছে। কোনো ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত আনার কথা শুনলে খাওয়া দাওয়া ঘুম হারাম হয়ে যায় তাদের। নাকাল ভেড়ি বাঁধ নিয়ে রয়েছেন আতঙ্কে তারা। বাড়ি ঘর ছেড়ে এখন তাদের জায়গা হয়েছে রাস্তার বেড়িবাঁধে।

শনিবার (২৫ মে) গভীর রাতে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রাকাটি গ্রামে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ বলেন, এটা আমাদের গ্রাম। লোনাপানির বিরুদ্ধে লড়াইটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুনামির সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকাটা আমাদের জীবন। এক এক সময় এক এক আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে আছি। না রয়েছে ভালো বেড়িবাঁধ না রয়েছে ভালো জীবন এ জীবনটায় শুধু সংগ্রামের। বেড়িবাঁধ খারাপ থাকলে ও ঘূর্ণিঝড় না আসলে চোখে পড়ে না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা প্রশাসনের।

সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আসলাম গাজী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল যদি উপকূলে আঘাত হানে তাহলে আমাদের বাঁচার উপায় নাই। আমাদের বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজেহাল। হালকা বৃষ্টি বা জলোচ্ছ্বাস হলে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে তুলিয়ে যাবে এখানকার প্রায় চারটা গ্রাম। তাই স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় পাউবোর সাহয্য নিয়ে তাদের থেকে জিয়ো ব্যাগ নিয়ে সারা রাত কাজ করে যাচ্ছেন এখানকার মানুষ।

মানবতার ফেরিওয়ালা ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কম'কে বলেন, আম্পান, ইয়াসে প্রতাপনগরের এই এলাকাটা প্রায় দীর্ঘ ১০ থেকে ১১ মাস পানির নিচে তলিয়ে ছিল। সরকার এই এলাকার অনেক জায়গায় বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করলে ও ৪টা গ্রামে এখনো বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। যার কারণে চারটা গ্রাম খুবই ঝুকিপূর্ণ তার মধ্যে সুভদ্রাকাটি একটা। এখানকার বেড়িবাঁধ খুবই নাকাল। হালকা জলোচ্ছ্বাস বা বৃষ্টি হলে পানি প্রবেশ করে তুলিয়ে যাবে হাজার হাজার বাড়িঘর মাছের ঘের ফসলিজমিসহ অনেক কিছু।

তাই উপজেলা প্রশাসনের নিকট দাবি আশাশুনি প্রতাপনগরে সুভদ্রাকাটি, হরিশখালিসহ এসব এলাকা খুবই ঝুকিপূর্ণ। এসব এলাকা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এদিকে খেয়াল রাখার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।

;

রেমালের প্রস্তুতি দেখতে সিপিপি পরিদর্শনে যাবেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকি করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর পরিদর্শন করবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

রোববার (২৬ মে) বেলা ১টায় সিপিপি এবং বিকেল ৩টায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর পরিদর্শন করবেন তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকি করতে দুপুর ১টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যালয়ে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) পরিদর্শন করবেন এবং বিকেল ৩টায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর পরিদর্শন করবেন।

;