ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’: পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’: পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’: পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ প্রবল বেগে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বরে মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।  

রোববার (২৬ মে) আবহাওয়া অফিসের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এটি আজ মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে। এরপর শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

   

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, আহত ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটিতে খয়রাবাদ সেতুর ঢালে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি বাসের সাথে পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

এ সময় চালকসহ ৪ জন যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বরিশালের ফায়ার সার্ভিস, নলছিটি থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঝালকাঠি নলছিটি থানার এসআই শহিদুল আলম বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

;

উৎপাদন বাড়লেও রংপুরে মাছের ঘাটতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
মাছ বাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

মাছ বাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে গত ৫ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। তারপরও বিভাগটিতে মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এ অঞ্চলে বছরে মাছের চাহিদা ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে চলতি বছর উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টন। সেই হিসেবে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩২ হাজার মেট্রিক টন।

পানি মিঠা ও সুস্বাদ হওয়ায় রংপুর অঞ্চলের নদ-নদী, খাল-বিলে একসময় ২০০ প্রজাতির মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। কালের বিবর্তনে জলবায়ুর পরির্বতন ও পরিবেশগত কারণে প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের মাছের অপর্যাপ্ততায় রয়েছে নানামুখী সমস্যা। বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাদ্যের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

মৎস্য বিভাগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে মাছের একাধিক অভয়াশ্রম। বিশেষ করে দেশি মাছ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আগামী দুই এক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে মাছের ঘাটতি থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার উজানে বাঁধ নির্মিত হওয়ায় এ অঞ্চলে জলশূন্যতা বিরাজ করছে। দিনাজপুর অঞ্চলের কাঁকর ও বালিযুক্ত মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম। সর্বত্রই প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

তবে এই অঞ্চলে পানি স্বাদু হওয়ায় খুব দ্রুত মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ। মৎস বিভাগ তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে শতাধিক নদী, খাল প্রায় ৪ লাখ হেক্টর, ৮৩৭টি বিলে ৪০ হাজার ২৮৮ হেক্টর, ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭০২টি পুকুরে ১২ হাজার ২৬৯ হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়। এছাড়া বর্ষাকালে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ হয়। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় দেড় কোটি ওপর মানুষের বসবাস।

শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মিলে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিনে মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম। সেই হিসেবে একজন মানুষের প্রতিবছর মাছের চাহিদা প্রায় ২২ কেজি। কিন্তু চাহিদা অনুয়ায়ী মাছ খেতে পারছে না এই অঞ্চলের মানুষ। ফলে সারা বছরই মাছের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের সৃষ্টি পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় জলাশয়গুলোতে পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। দারি, টিলা, কালা বাটা, ঘোড়া, পুঁটি, বোল, চিতল, গজার, রিটা, বট শিং, ঘাউড়া, সালবাইম, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা ইত্যাদি দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসলেও কিছু কিছু দেশি মাছের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে।

রংপুর মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলে মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশি পাবদা, টেংরা, শিং, মাগুর ইত্যাদি মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মৎস্য অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও মেরামত, সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলছে।

এছাড়া মৎস্যকে যান্ত্রিকীকরণের প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে মাছের ঘাটতি থাকবে না।

;

নীলফামারীতে মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার করল পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে পড়ে থাকা একটি মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার বাজেডুমরিয়া ক্যানেল বাজার এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে শিশুরা খেলছিল। এসময় একটি মাইন সদৃশ বোমা পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে শিশুরা আশেপাশের লোকজনকে জানায়। স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে মাইন সদৃশ বোমা দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে সেটি নিরাপত্তা বেস্টুনি দিয়ে ঘিরে রেখে পুলিশের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় একটি মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ এপ্রিল একই জায়গায় ক্যানেলের পাশে পতিত জমি খননের সময়ে একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। পরে সেটি বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে নিষ্ক্রিয় করেন।

;

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে। সুশাসনের ক্ষেত্রেও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অবদান রাখবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এক ধরণের প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণ থাকছে। এ বিষয়গুলো আরো জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়গুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করে আমরা বাইরে নিয়ে আসতে চাই। সুশাসনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো আরো বেশি জনসাধারণকে জানানো দরকার। তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হবে যে, সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ প্রক্রিয়াগুলো শুরু করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং আওতাধীন ১৩টি দপ্তর-সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

;