সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহে কচ্ছপ গতি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পুরনো ছবি

পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কচ্ছপ গতিতে চলছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ। যে কারণে মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকার দ্রুত ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করলে বাজারে দুই ধরনের প্রভাব পড়তো। চাষিরা লাভবান হতেন এবং মিল মালিকরা বাজার থেকে ধান সংগ্রহ করতেন। ফলে প্রতিযোগিতা তৈরি হতো এবং প্রান্তিক চাষিরা ধানের দাম পেতেন।

অভিযোগ আছে, ধান-কাটা ও মাড়াই শেষ হতে চললেও অনেক উপজেলায় ধান সংগ্রহ শুরুই হয়নি। অথচ গত ২৫ এপ্রিলথেকে ধান-চাল সংগ্রহের ঘোষণা দেয় সরকার। ঘোষণার এক মাসে (২২ মে পর্যন্ত) মাত্র ২ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহকর হয়েছে।

সরকার দ্রুততার সঙ্গে ধান-চাল ক্রয় শুরু করলে দু’ধরনের প্রভাব পড়তো বাজারে। একদিকে কিছু চাষি সরাসরি সরকারকে দিয়ে লাভবান হতে পারতো। অন্যদিকে মিল মালিকরা বাজারে নামতে বাধ্য হলে বাজারে প্রতিযোগিতার তৈরি হতো। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের সুযোগ কমে যেত। প্রান্তিক চাষিরা অনেকটা লাভবান হতো।

কিন্তু ধান-কাটা মাড়াই শেষ হতে চললেও অনেক উপজেলায় ধান সংগ্রহের কাজ শুরুই করতে পারেনি সরকার। অথচ সরকারিভাবে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করার ঘোষণা ছিল। ঘোষণা অনুযায়ী ১ মাস কাল অতিবাহিত হলেও (২২ মে পর্যন্ত) মাত্র ২ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।

খাদ্য অধিদফতরের (এমআইএসএন্ডএম বিভাগ) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, মৌসুমে সারা দেশের প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে (সর্বোচ্চ ৩ টন) দেড় লাখ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২ মে পর্যন্ত ২ হাজার ৫৪৩ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সাড়ে ১১ লাখ টন চালের বিপরীতে সংগ্রহ করা হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন।

ধান সংগ্রহের ধীরগতি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে প্রকৃত চাষিদের তালিকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় ধান সংগ্রহে বিলম্ব হয়েছে। এখন দ্রুতগতিতে ধান-চাল সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ২০টি মনিটরিং টিম মাঠে নামানো হয়েছে। কোথাও কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইচ্ছা করে ধান-চাল ক্রয়ে বিলম্ব করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

খাদ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক (সংগ্রহ) সাইফুল কবীর খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অর্থ বরাদ্দের কোনো সংকট নেই। পুরোদমে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি বিভাগ ইচ্ছা করেই কৃষদের তালিকা দিতে বিলম্ব করেছে। তাদের কাছেতো এটা রেডি থাকার কথা। তাদের ওয়েব সাইটেও এটা থাকা উচিত। কারণ আমরা ১০ টাকায় কৃষকদের অ্যাকাউন্ট করে দিয়েছি। সেই তালিকাটা হালনাগাদ করলেই তো হয়। এখানে নিয়ম হচ্ছে তারা স্লিপ দেবে, সেভাবে প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।’

ধানের দাম না পওয়ার প্রতিবাদে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন কৃষক ধানক্ষেতে আগুন দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও বাজারের কোনো উন্নতি হয়নি।

বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করলে সাধারণত বাজার উর্ধমুখী হয়। কিন্তু এবার সেটা না হওয়ায় ফড়িয়ারা সুযোগ নিচ্ছে। সরকার ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করে।

চলনবিল এলাকায় আমিনুল ইসলাম নামের একজন চাষি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হাওর ও চলনবিল অঞ্চলে এপ্রিলের শুরুতে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়। বন্যার সম্ভাবনা থাকায় ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শেষ হলেও কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারছেন না।’

বোরো ধান সংরক্ষণ করা খুবই কঠিন। আবার প্রান্তিক চাষিদের অর্থের প্রয়োজন। তাদেরকে ধান বিক্রি করেই মজুরি মেটাতে হয়। সে কারণে ধান ধরে রাখার সময় এবং সুযোগ অনেক প্রান্তিক কৃষকের থাকে না। তারা বাধ্য হন মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করতে। তাই অনেকেই মনে করেন বোরো ধান এপ্রিলের শুরু থেকে সংগ্রহ শুরু করা জরুরি।

আবার মিল মালিকদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করার অভিযোগও তুলছেন কেউ কেউ। অনেক গোডাউনে ধানের পরিবর্তে চাল নেওয়া হচ্ছে। এতে হতাশ হচ্ছে চাষিরা।

এদিকে, লোকাল সাপ্লাই ডিপোর (এলএসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকদের  অভিযোগ, ডিপোতে ধান নিয়ে গেলেও বলা হয় আদ্রতা ঠিক নেই, গোড়াউনে জায়গা নেই। আবার অনেক সময় মিলারদের সঙ্গে যোগসাজসে টিআর কাবিখারচালানে কাগজ ট্রানজেকশন দেখানো হয়। অর্থাৎ মিলাররা প্রকল্প চেয়ারম্যানের কাগজ কিনে নেন কমদামে।এরপর সেই চালপ্রথমে বের করা দেখানো হয়, আবার পরক্ষণেই গুদামে লোড দেখানো হয়। প্রকৃত অর্থে চাল লোড-আনলোড করা হয় না।শুধু কাগজে কলমে বিতরণ ও ক্রয় দেখানো হয়। ফলে বাজারে প্রভাব কম পড়ে। কঠোর মনিটরিং ছাড়া এটা রোধ করা কঠিন।

চলতি মৌসুমে ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার ৪৭ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এতে ১ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সরকারিভাবে খাদ্য মজুদের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র সাড়ে ২১ লাখ টন। বর্তমানে ১১ লাখ ৩১ হাজার টন চাল, ২ হাজার ৫৪৩ টন চাল ও ২ লাখ ৯৭ টন গম সরকারি গুদামগুলোতে মজুদ রয়েছে বলে খাদ্য অধিদফতর জানিয়েছে।

   

বগুড়ার কোল্ড স্টোরেজে লক্ষাধিক ডিম মজুদ, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে এক লাখেরও বেশি ডিম মজুদ রাখার দায়ে বগুড়ার সাথী হিমাগার ইউনিট-২ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। সেইসঙ্গে ডিমগুলো দুই দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বিকেল ৪টায় বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের ঘোরাধাপ এলাকার সাথী হিমাগার ইউনিট-২ এ অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মোঃ আবু তাহেরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে বেলা ১১টায় বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ৩০ হাজার ডিম মজুদ রাখার দায়ে ডিম ব্যবসায়ী হাসেন আলীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শাজাহানপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাইম এই অভিযান পরিচালনা করে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বগুড়ার মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মোঃ আবু তাহের বলেন, দুইটি কোল্ড স্টোরেজে যারা ডিম মজুদ করে রেখে ছিলো তারা প্রত্যেকেই অতি মুনাফার লোভে এটা করেছিলো। মজুদের কারণে ডিমের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। আমাদের এরকম অভিযান প্রতিদিন চলবে।

বগুড়া সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদে আমরা প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে অবৈধ মজুদ ১ লাখ ৮ হাজার ৬১০ পিস ডিম পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন ডিম ব্যবসায়ীকে ডেকে সাথে সাথে ৪০ হাজার ডিম বিক্রি করা হয়েছে। বাকী ডিমগুলো আজ এবং আগামীকালের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার বন্ধু মিলে গোসল করতে গিয়ে জিহাদ (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে ) বিকেলে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সির বাজার তিস্তা পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জিহাদ মিয়া উপজেলার কাশিরাম গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন, আজ বিকেলে বাড়িতে না জানিয়ে চার বন্ধুর সঙ্গে তিস্তা নদীতে গোসল করতে যায় জিহাদ। গোসল করে সবাই উঠে এলেও জিহাদকে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অনেক সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে বন্ধুরা। পরে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

;

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে নরসিংদীতে চারজন, টাঙ্গাইলে দুইজন ও গাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়। বার্তা২৪.কমে'র জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর...

নরসিংদী

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়া ও শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তারা সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ নূর হোসেনের স্ত্রী।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

;

পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পুকুরে লরি, মৃত্যু বেড়ে তিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা বিমানবন্দর সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও তিনজন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাসফিয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে পতেঙ্গায় বাটারফ্লাই পার্কের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি লরির ধাক্কায় পুকুরে চাপা পড়েন তাসফিয়া, তার স্বামী আনিসুজ্জামান সানি, বোন নুসরাত (৩৫) ও বোনের ৪ বছর বয়সী ছেলে নাজমুস সাবিকসহ ৬ জন পথচারী। পরে স্থানীয়দের সহযোহিতায় তাসফিয়া ও তার স্বামী সানিসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক সানিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে পুুকুরে লরির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ সাবিককে রাত ১২টায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আর আহত অবস্থায় এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাসফিয়ার বোন নুসরাত, মো. ইমরান (৮) ও নুরুল আমিন (২১)।

জানা গেছে, তিন মাস আগে বিয়ে করেন সানি-তাসফিয়া। শুক্রবার পতেঙ্গার নাজির পাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন তারা। এদিন বড়বোনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেভাল এলাকায় ঘুরতে যায় তারা। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফুটপাত ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। ওই সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো লরিটি তাদের চাপা দিয়ে বাটারফ্লাই পার্কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। চালকের সহকারী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, লরিটি মূলত চালক সহকারী কামাল হোসেন চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের উপর দিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।

;