‘সংসদে না এসে অন্য প্রার্থী দেওয়া বিএনপির দ্বিচারিতা’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আগারগাঁও‌য়ে মে‌ট্রো‌রেল অফিসে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আগারগাঁও‌য়ে মে‌ট্রো‌রেল অফিসে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে না এসে তার আসনে উপনির্বাচনের জন্য আরেক প্রার্থী দেওয়াকে বিএনপির দ্বিচারিতা বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁও‌য়ে মে‌ট্রো‌রেল অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলের চোখে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে; তাহলে দেশের জনগণ পরিস্থিতিটা কীভাবে মেনে নিচ্ছে- সেটাই বড় প্রশ্ন। বর্তমানে দেশের রাস্তার অবস্থা দেখুন; মানুষ নিরাপদ ও স্বস্তির যাত্রা চায়। এখন এর ঘাটতি হচ্ছে বলে জানা নেই। বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা নিকট অতীত বা বর্তমানে ঘটছে না যার জন্য পরিস্থিতিটাকে ভয়াবহ বলা হয়। আমার বিশ্বাস, দেশ আরো উন্নত হবে।’

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলব, আপনার এ ভয়েস আরো লাউড থেকে লাউডার হতো, যদি আপনি সংসদে যোগদান থেকে বিরত না থাকতেন,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'এটা তো আপনাদের দ্বিচারিতা। বগুড়াতে দেখলাম মির্জা ফখরুলের পরিবর্তে আরেক প্রার্থী দিয়েছেন। তিনি কি সংসদে শক্তিশালী মেসেজ দিতে পারবেন? দলের সেক্রেটারি জেনারেল পার্লামেন্টে থাকলে আপনারা তো ঘরে-বাইরে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে পারতেন।’

‘এই যে আপনাদের এই দ্বিচারিতার জবাবটা কে দেবে? আপনি যোগ দিলেন না, অথচ আপনার দলেরই আরেকজন মনোনীত হচ্ছেন, তাহলে?’ প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি বলছেন, এক নায়কের শাসন চলছে; তাহলে আপনি সংসদে থেকে এই কথাটা বলতেন। কথাটা দেশে-বিদেশে আরো লাউডার, স্ট্রংগার হতো। আপনি নিজেই তো গণতান্ত্রিক বা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছেন না। কাজেই এ অভিযোগ অবান্তর।'

তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়ার ইফতার নিয়ে রাজনীতি হবে তা প্রত্যাশা করিনি। দেখুন, ইফতারটা ধর্মীয় বিষয়। খুব বেশি টাকার সামগ্রী বেশিরভাগ মানুষ খায় বলে আমার জানা নেই। এটা নিয়ে রাজনীতি আশা করা যায় না। জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। এখন জেলে থাকলে তো জেলকোড মেনে নিতে হবে; আমরা যেই হই না।’

'তিনি জেলকোড অনুযায়ী কয়েদির সুবিধা ও অসুবিধা পাবেন। জেলকোড তো আর নতুন করা হয়নি, অনেক আগে থেকেই আছে। আমি তারপরও বলি, এই ৩০ টাকার ইফতার খেতে খালেদা জিয়া যদি অসন্তুষ্ট হন এবং তা যদি তার চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম হয়, তাহলে আমরা কর্তৃপক্ষকে বলতে পারি-যেন তার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা করে। এটা নিয়ে রাজনীতি বা বিতর্ক করার কিছু নেই,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আপনি ইফতার করবেন কতটুকু? অনেকে সামান্য পানি পান করেও ইফতার করে, অনেকে নামাজ পরে এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে। যদি মনে করেন, খালেদা জিয়া কষ্ট পাচ্ছেন; তাহলে আমরা অতিরিক্ত ব্যবস্থা করতে বলব।’

   

খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ভাঙন, প্লাবিত ২০ গ্রাম

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় কয়রায় জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধের ৩টি জায়গার বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের। ভেঙে গেছে মাটির তৈরি কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। রাতভর ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, রোববার দুপুর থেকে নদীর জোয়ারের চাপে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বেড়ি বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধের ওই ৩টি স্থানে সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে নোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম।

এছাড়া অনেক এলাকায় বেড়িবাঁধ নিচু থাকায় সেইসব জায়গা দিয়ে পানি উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

কয়রার মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার (২৬ মে) মধ্য রাতের দিকে জোয়ারের চাপে এ ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত দুটি গ্রাম এবং কয়েকশ চিংড়ির ঘের তলিয়ে গেছে।

উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ৫-৭টি গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। এছাড়া নিচু বাঁধ ছাপিয়ে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি জানান, ইউনিয়নের সিংহেরকোণা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া নয়আনি এলাকার বাঁধের নিচু জায়গা ছাপিয়ে সারারাত পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। এতে অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য চিংড়ির ঘের ও পুকুর ডুবে যাওয়ায় মাছ ভেসে গেছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম তারিক উজ জামান জানান, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে প্রাথমিক খবর পেয়েছি। এছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমালে রাজধানীতে হাঁটু পানি, তীব্র যানজট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রবল তাণ্ডবের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। সকাল থেকে রিমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা। জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযট।

সোমবার (২৭ মে) সকাল ৮ টা থেকে ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজিপাড়াসহ ওয়াসা রোডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জলাবদ্ধতা ও যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। হাঁটু পানি ডিঙিয়ে স্কুল কলেজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিশুরা।

জলাবদ্ধতা ও যানজটের সুযোগ নিচ্ছে রিকশা ও সিএনজি চালকরা। কাজের প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও সিএনজির দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে। 

সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযট

বেসরকারি চাকরিজীবী রেহানা বেগম বলেন, ‘দুই তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু অবধি পানি উঠে গেছে। মেট্রো করে অফিস যাই, সেটিও বন্ধ আছে। সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নাই। "

গোলাম রব্বানী নামের আরেক পথচারী বলেন, ‘হালকা বৃষ্টিতেই আমাদের জলাবদ্ধতায় পড়তে হয় সিটি কর্পোরেশনের কোনো দায়িত্ব নেই। এসব নিরসনে কোনো ব্যবস্থা নেয় না কেউ। আমরা শুধু ভোগান্তিতে পড়ি।’

স্কুল ছাত্র ওয়াসী বলেন, ‘আমাদের অবস্থা খারাপ; এভাবে তো স্কুল যাওয়া যায় না। ক্লাস টেস্ট আছে, তাই ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছি।’

জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও সিএনজির দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে

এদিকে মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় বাসে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে শেওড়াপাড়া থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দেখা যায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার অফিসগামী কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ।  

শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডে জলাবদ্ধতা ও রাস্তা খোড়া থাকার কারণে ওয়াসা রোডের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে হাঁটু পানি ডিঙিয়ে অনেককে অফিস যেতে দেখা গেছে।

;

চট্টগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হালিশহরে কথিত তিন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এ ঘটনায় মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন চৌধুরী (৫৯) নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

রোববার (২৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে হালিশহর থানাধীন গুলবাগ আবাসিক এলাকার গোল্ডেন টাচের বিপরীত পাশে রূপালী ভবন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আখি আক্তার (৩৩), মো. কামরুল হাসান (৪২) ও মো. জহির উদ্দিন (৪৯)। তারা প্রত্যেকে হালিশহর থানা এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে অন্যায়ভাবে জিম্মি করে মারধর করে। এরপর সাধারণ জখম করে, ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও আদায়, চুরি এবং নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানসম্মান ক্ষুন্ন করার ভয় দেখায়।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৩ লাখ টাকা আদায় করে। এ সময় বাদীর কাছে থাকা একটি দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। যার বাজারমূল্য ২ লাখ টাকা।

;

দ্রুতই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত হলে দ্রুতই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে অনেক বেশি, বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, বৈদ্যুতিক লাইন, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের পাশে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দলীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগদ অর্থ প্রদানের জন্য জেলাপ্রশাসক কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;