ঈদের বিকেলে ঘোরাঘুরিতে আনন্দ নগরবাসীর



রেজা-উদ্-দৌলাহ্ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
হাতিরঝিলে মানুষের ভিড়, ছবি: বার্তা

হাতিরঝিলে মানুষের ভিড়, ছবি: বার্তা

  • Font increase
  • Font Decrease

'আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে
জানি নে, জানি নে'

এই রবীন্দ্র সঙ্গীত যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর মননে বেজে ওঠে। কিন্তু এবার সেটি কিছুটা আগেই ধরা দিল। ঈদের দিন যেখানে বেজে ওঠার কথা নজরুলের সেই বিখ্যাত গান ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ সেখানে মানুষের মনে ঠোঁটে জায়গা করে নিয়েছে রবীন্দ্র সঙ্গীত। আর এ জন্য অবশ্য দোষ দিতে হবে প্রকৃতিকেই। রবীন্দ্র-নজরুল চিরায়ত বিতর্কে আমরা না যাই। কেননা বৃষ্টি ভেজা ঈদের দিন, মানুষের ঈদ আনন্দকেও শীতল করে দিয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559743736604.jpg
সকাল থেকেই আকাশের ছিল মন খারাপ, ছবি: বার্তা২৪

 

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর বাংলাদেশে আজ মঙ্গলবার (৫ জুন) উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে রাতভর চলে বিভিন্ন নাটকীয়তা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে সপ্তাহজুড়েই দেশের আকাশসীমায় ছিল কালো মেঘের আনাগোনা। কখনো ছিল ভারী বৃষ্টি, আবার পরক্ষণেই ভ্যাপসা গরম, সেই সঙ্গে সূর্যের ক্ষিপ্ততা। মঙ্গলবার সারাদিন আকাশের মন খারাপ ছিল। কিন্তু তাতে যে চাঁদ দেখা যাবে না সেটা কারো ভাবনাতেও ছিল না। তাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চাঁদ দেখার খবর না পাওয়ায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা দিল, বৃহস্পতিবার ঈদ। কিন্তু ততক্ষণে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি, নাগেশ্বরী থেকে চাঁদ দেখার খবর ঢাকা এসে পৌঁছে।

এদিকে, পার্শ্ববর্তী ভারত পাকিস্তানেও চাঁদ দেখা গেছে। দুই ঘণ্টা পর কমিটির আবারো মিটিং! এবার ঘোষণা পাল্টে জানিয়ে দিল বুধবারই পালিত হবে ঈদ। অবসান হয় চাঁদ দেখা নিয়ে নাটকীয়তা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559743889365.jpg
আকাশের মন ভালো হতেই হাতিরঝিলে মানুষের ঢল নামে, ছবি: বার্তা২৪

 

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকেই ভারী বর্ষণ শুরু হয় রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায়। সকাল থেকে বৃষ্টি আরও তীব্রতর হয়। বৃষ্টির তীব্রতায় ঈদের নামায পড়তে গিয়েও জনদুর্ভোগে পড়ে মুসল্লিরা।

সড়কগুলো পানি ওঠায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ঈদের নামাজ শেষ হলেও দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি রাজধানীবাসীকে অঘোষিত গৃহবন্দী করে রাখে। টেলিভিশন দেখে কিংবা বই পড়ে, পরিবারের সঙ্গে গল্প করেই গৃহবন্দীর সময়টা উপভোগ করেন নগরবাসী। কারও কারও বাসায় পোলাও মাংসকে অঘোষিত এক যুদ্ধে হারিয়ে ডাইনিং টেবিলের জায়গা দখল করে নেয় খিচুরি,মাংস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559743980103.jpg
সোহরাওয়াদী উদ্যানে কেউ দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, ছবি: বার্তা২৪

 

তবে, বিকেলের পর থেকে ভালো হতে থাকে আকাশের মন। কমতে থাকে কান্না। সেই সুযোগে প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে শুরু করেন। ভাঙে অঘোষিত কারাবন্দীর সাজা!

বিকেল থেকে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সোহরাওয়াদী উদ্যান, রমনা, শাহবাগ, হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায় অনেক মানুষ বের হয়েছেন। ঘুরে বেড়াতেই তাদের আনন্দ। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী রং বেরংয়ের নতুন পোশাক পড়ে মুক্ত পরিবেশের শীতল হওয়া গায়ে মাখিয়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেলফি বন্দী করে রাখছেন নিজেদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559744142045.jpg
ঘুরতে এসে পরিবার নিয়ে একটি সেলফি না হলে যে ঈদটাই পানসে লাগবে, ছবি: বার্তা২৪

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা যায়, খোলা মাঠে লাল-নীল দুই দলে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলায় মেতে উঠেছেন কয়েকজন। বিবাহিত-অবিবাহিতদের মধ্যকার এই খেলা অনেকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন। উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরের পাশে সারি সারি বেঞ্চ। বেঞ্চগুলোতে মানুষজন বসে আছেন, আড্ডা দিচ্ছে। একটা বেঞ্চও খালি পাওয়া ছিল দুষ্কর। বেঞ্চে যারা জায়গা পায়নি তারা গিয়ে উঠেছেন স্বাধীনতা চত্বরের বেদীতে। সেলফি ও ছবি তোলাতেই তাদের মূল আকর্ষণ। কেউ কেউ আবার টিকেট কেটে স্বাধীনতা জাদুঘরের ভেতরেও ঢু মেরে আসছেন।

এখানেই কথা হল চাকরিজীবী রানা আহমেদের সঙ্গে। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিকেল বেলা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঘুরতেই আনন্দ। কিন্তু সারাটা দিন বেরসিক বৃষ্টির কারণে মাটি হয়ে গেছে সব।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559744252542.jpg
নিজ পরিবারের তিন রাজকন্যা নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বাবা-মা, ছবি: বার্তা২৪

 

পাশেই কিছু মানুষ ভিড় করেছেন উদ্যানের শিখা চিরন্তন অংশে। জ্বলন্ত অগ্নিশিখার সামনে দাঁড়িয়ে তারা ছবি তুলে ফ্রেমবন্দী করছেন ঈদের বিকেলকে।

উদ্যান থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে গেলে দেখা যায় কিছুটা ভিড় রয়েছে সেখানে। ঈদের দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা। তাই ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে জাদুঘরে ঘুরতে এসেছেন।

এখানে কথা হল আব্দুল মালেক দম্পতির সঙ্গে। মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন তারা। তারা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবার ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তাই শহরে ঈদ করছি। মেয়েকে নিয়ে জাদুঘর ঘুরতে এসেছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559744346382.jpg
জাতীয় জাদুঘরে এসেছেন অনেকেই, ছবি: বার্তা২৪

 

শাহবাগ থেকে হাতিরঝিলে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। তবে সেখানে মানুষের উপস্থিতি ছিল আরও বেশি। হাতিরঝিলের এফডিসি মোর থেকেই ঘুরতে বের হওয়া মানুষের সরব উপস্থিতি। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারে চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটেই তারা এসেছেন হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিছুটা সময় একান্তে কাটাতে। হাতিরঝিলের মধুবাগ ও মহানগর ব্রিজেও ছিল মানুষের ঢল।

হাতিরঝিলে কথা হয় দুই বন্ধু আসিফ ও শাহানের সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমরা এমনিতেই হাতিরঝিলে ঘুরতে আসি। আড্ডা দেওয়ার জন্য এটা অনেকের প্রিয় জায়গা। আর ঈদের দিন বিকেলে আড্ডা আর ঘোরাঘুরি তো করতেই হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559744420569.jpg
বৃষ্টি থামতেই ঈদকে উপভোগ করতে বেড়িয়ে পড়েন অনেকেই, ছবি: বার্তা২৪

 

ঈদের খুশিতে সবকিছুর দাম দ্বিগুণ!

ঈদের দিনে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালারা ঈদের খুশিতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। যেন দাম বাড়ানো হচ্ছে ঈদের আনন্দ! অনেক ক্রেতা হাসিমুখে সে দাম মেনে নিলেও, কারো কারো মধ্যে ছিল অস্বস্তি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুনের দামাদামি করছিলেন কয়েকজন অভিভাবক। প্রতিটি ৩০ টাকায় বিক্রি করছিলেন ফেরিওয়ালা। কয়েকজন অভিভাবক জানালেন, দাম প্রায় দ্বিগুণ। শুধু বেলুনই নয়, উদ্যানের চায়ের দোকানে লাল কিংবা দুধ চায়ের জন্য দাম গুনতে হয়েছে ১০ টাকা করে। রিকশা ভাড়াও ছিল বেশি বেশি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559744490439.jpg
ঈদের খুশিতে দাম বাড়িয়ে ভালোবাসার বেলুন বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা, ছবি: বার্তা২৪ 

 

একই চিত্র ছিল হাতিরঝিলেও। সেখানে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করছিল রাসেল। স্বাভাবিক দাম ১০ টাকা হলেও আজকে দিন ২০ টাকায় বিক্রি করছিল সে। জানালো, ঈদের দিন হিসেবে বেচাকেনা খারাপ। বৃষ্টির দিন মানুষ কম বের হয়েছে।

   

গরিব জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখলে লজ্জা লাগে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী উদ্যোগের ফসল এই মেট্রোরেল। বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেল এর ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় যাবো তখন গরিব গরিব চেহারার জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখা যাবে। এসব দেখলে আসলেই লজ্জা লাগে। আমাদের এতো সুন্দর মেট্রোরেলের যুগে এমন জরাজীর্ণ বাসগুলো কি মালিক সমিতির লোকেরা দেখেন না? তারা কি বিদেশ যান না?

;

বগুড়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের (৪০) স্ত্রী আনু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন কৃষক।

রোববার (১৯ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান।

শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান।

এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু'জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলা সামান্য কেটে দেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের লাশ হেফাজতে নিয়ে আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হয়েছে, আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে গলায় সামান্য কেটে দেওয়া হয়।

ওসি আরো বলেন, গলায় যে যতটুকু কাটা দাগ রয়েছে, তাতে গলা কাটার কারণে তার মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে অটোচালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিরপুরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মিরপুর সাড়ে ১১-তে গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

;

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;