চট্টগ্রামে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্য গ্রেফতার
এক থেকে দেড় ঘণ্টায় মধ্যেই রফতানিজাত মালামাল সরিয়ে পরিত্যক্ত কাপড় ঢুকিয়ে সরবরাহ করা একটি প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮জুন) বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নগরীর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মির্জা সায়েম মাহমুদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার মো. শাহজাজানের ছেলে মো. সাহাদাত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার মৃত শামছুউদ্দীন আহমেদের ছেলে মো. ওবায়দুল হক, মাদারীপুর জেলার চকরিয়া থানার এজাজুর মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া, ট্রাকের চালক ভোলা জেলার লালমোহন থানার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে রুবেল হোসেন ও বরিশাল জেলার মেহেদীগঞ্জ থানার শাহজাহান ডাক্তারের ছেলে মো. সুমন।
মির্জা সায়েম সাংবাদিকদের জানান, নগরীর বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই এলাকার ইসহাক ব্রাদার্সের কিছু মালামাল ফ্রান্সে রফতানি হওয়ার কথা ছিল। সিলটেক নামে এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এসব মালামাল ইউরোপে সরবরাহ করে। আটটি ট্রাকে মালামাল যাওয়ার কথা থাকলেও একটি ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়।
তিনি আরও বলেন, 'এরপরে আমরা বিভিন্নভাবে তদন্তের কাজ শুরু করি। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে আমরা জানতে পারি মালামালগুলো বায়েজিদ বোস্তামি থানার আমিন জুট মিলের পাশে রয়েছে। সেখানে অভিযানের পরে আমরা ৩৬০ কার্টন গার্মেন্টস সামগ্রী উদ্ধার করি। প্রত্যেকটি কার্টনে চার হাজার পিস করে জ্যাকেট রয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩৮ লক্ষ টাকা।'
তিনি আরও বলেন, 'এটি অনেক বড় একটি চক্র। খুব কম সময়ে এক দেড় ঘণ্টার মধ্যে এরা মালামাল বের করে সেখানে জুটস ও পরিত্যক্ত কাপড় ঢুকিয়ে ওজন ঠিক রেখে প্যাকেট করে। আমরা আধা ঘণ্টা পরে গেলে সেখানে কোনো কিছু পেতাম না। আমরা ধারণা করছি চক্রটির মধ্যে কেউ মালের সঙ্গে, কেউ পরিবহনের কেউবা কারখানার সঙ্গে জড়িত। আমাদের কাছে তথ্য আছে, রোজার মাসেও এরা ১১ বার বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল এমন করেছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা সবাইকে নজরদারির মধ্য রাখছি।'
ডিপস সেফারিটস প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, 'এমন পণ্যের চালান না হলে প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা ব্ল্যাকলিস্টে পড়ে যেতাম। বাংলাদেশ শিল্প কারখানা সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হত।' এক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।