বাজেটে স্মার্টফোন আমদানিতে বর্ধিত কর প্রত‍্যাহার চায় বিএমবিএ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে মোবাইল ফোন আমদানিকারক, ডিস্ট্রিবিউটর ও উৎপাদনকারীদের সংগঠন বিএমবিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

জাতীয় প্রেসক্লাবে মোবাইল ফোন আমদানিকারক, ডিস্ট্রিবিউটর ও উৎপাদনকারীদের সংগঠন বিএমবিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানির উপর বর্ধিত ২৪ শতাংশ কর প্রত‍্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব‍্যবসায়ী এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মোবাইল ফোন আমদানিকারক, ডিস্ট্রিবিউটর ও উৎপাদনকারীদের সংগঠন বিএমবিএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএমবিএ'র সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, মোবাইল ফোন আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপের ফলে মোবাইল ব‍্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যেতে পারে। মোবাইল ব‍্যবহারকারীর সংখ্যা কমলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কমে যাবে ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ও কমে যাবে।

তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। শুল্ক ও ভ‍্যাটসহ চলতি অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ রয়েছে। তা বৃদ্ধি করে ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় যদি স্মার্টফোন আমদানির উপর অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপ করা হলে এর সঙ্গে জড়িত ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন, শিক্ষাব‍্যবস্থা, ডিজিটাল কৃষি উন্নয়ন, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত শুল্কের বর্ধিত কর কার্যকর হলে চোরাইপথে মোবাইল ফোন আমদানি বেড়ে যাবে ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে, এবং অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে। সাধারণ ব‍্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হবেন। প্রকৃত আমদানিকারক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবে এবং বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দাবি সমূহ বিবেচনা করে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানির উপর আরোপিত বর্ধিত কর প্রত‍্যাহার করে এ শিল্পকে এবং শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানাচ্ছি।

 

   

‘৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবার মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না। ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। দরিদ্র জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য সরকারের বরাদ্দও অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে দেশের স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এসডিজি অ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে আয়োজিত ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের অবস্থানপত্র শীর্ষক’ এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডিজি অ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন এগেইনস্ট পোভার্টি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস)।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও এনআরডিএস'র প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল বলেন, কোভিডের আগের ধারাবাহিকতায় বাজটে স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। মহামারির সময়ই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছিল। কিন্তু এরপরও বাজেটে এই খাত প্রত্যাশিত মনোযোগ পাচ্ছে না। টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও বাজেট ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় বরাদ্দ খুব একটা বাড়ছে না। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় করে, যা বৈশ্বিক গড় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে অনেক কম। সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে আব্দুল আউয়াল বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে একজন বাংলাদেশির বছরে ৮৮ ডলার খরচ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে মাথাপিছু খরচ হয় ৫৮ ডলার, যার বড় অংশই নাগরিকরা নিজেরা সংস্থান করেন। বাংলাদেশের জনগণ তাদের স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ নিজেরাই সংস্থান করতে বাধ্য হয়।

তিনি আরও বলেন, এটি অনেক পরিবারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক সংকট এবং এটি মানুষের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবাকে বিলম্বিত করে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশের নাগরিকরা তাদের স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ ভাগ নিজেকে ব্যয় করতে হয়।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নোয়াখালী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের ৬০০ নাগরিকের ওপর মতামত জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা গেছে ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন, ২১ দশমিক ৩ শতাংশ কোনো টিকা নেননি।

প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রান্তিক মানুষের অভিগম্যতার হার ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু অনেক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল । সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্পর্কে প্রান্তিক মানুষের সচেতনতার হার ভালো ৮৩ শতাংশ থাকা সত্বেও দুর্নীতি, স্বজনতোষন, হয়রানির কারণে বিপদাপন্ন মানুষের তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি।

লিখিত বক্তব্যে বেসরকারি সংস্থা বন্ধনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুজ্জামান মিলন ৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য সেবায় অভিগম্যতা সম্প্রসারণে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো অপরিহার্য। স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচির আওতা প্রসারিত করে এবং স্বাস্থ্যসেবা খরচের জন্য ভর্তুকি প্রদান করে স্বাস্থ্যের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয় কমানো যায়। সরকার আরও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা তৈরি করে, আরও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ ও পরিষেবাগুলোকে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারে। সরকার সব নাগরিকের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য শিক্ষা, কৃষি, এবং পানি ও স্যানিটেশনের মতো অন্যান্য সেক্টরের সাথে কাজ করে স্বাস্থ্যের সামাজিক নির্ধারকগুলোর সমাধান করতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত নারী অধিকার জোটের সদস্য সচিব মনোয়ার আক্তার মিনু।

;

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন। 

একইসঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ -এর মালিক গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

রোববার (১৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশন আজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একইসাথে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা। ক্যানোলা তেল রফতানি হতে পারে এদেশে, এ তেলের ফ্যাক্টরি এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে বলে জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, কমার্সিয়াল কাউন্সিলর দেবরা বইয়েস, এশিয়া-প্যাসিফিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের চিফ স্টাফ ব্র‍্যাড কোয়েল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিজি) খন্দকার মাসুদুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এসময় দু'দেশের বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন হবে, যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)।

;

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং বন্ধ রয়েছে যান চলাচল

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন। 

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশার চালকেরা লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়ে বাসে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত নেমে পড়েন। দুপুরের ওই ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা মিরপুর-১০ নম্বরে বিআরটিসি ও আলিফ পরিবহন ছাড়াও কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালান।

এদিকে, গণপরিবহনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিলেও পরে তারা আবারও ভাঙচুর চালায়। এদের পেছনে কেউ আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

;