হা‌তির‌ঝি‌লে উল্টোপথে চলাচ‌লে বাড়‌ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি



রা‌কিবুল ইসলাম, স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাতিরঝিলে উল্টোপথেই গাড়ি চলাচল করছে, ছবি: বার্তা২৪

হাতিরঝিলে উল্টোপথেই গাড়ি চলাচল করছে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পূর্ব ও প‌শ্চিমের যোগা‌যোগ মাধ্যম দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের চারপা‌শে নিত্য‌দিন বে‌ড়ে চল‌ছে উল্টোপ‌থে চালকদের চলাচ‌লের প্রবণতা। ফ‌লে প্রায়সই ছোটখাটো দুর্ঘটনার ঘটনা ঘ‌টে হা‌তিরঝি‌লে। উল্টোপথে চলাচ‌লের প্রভা‌বে হা‌তিরঝিলের স‌ঠিক প‌থে চলাচলকারী চালক‌দের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সে সঙ্গে উল্টোপথের চালকদের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হন সঠিক পথের চালকেরা।

সপ্তাহ ধ‌রে স‌রেজ‌মি‌নে দেখা যায়, হা‌তিরঝি‌লের বাড্ডা সং‌যোগস্থল, তেজগাঁও মহাখালী সং‌যোগস্থল, মধুবাগ সং‌যোগস্থল, মহানগর প্র‌জেক্ট সং‌যোগস্থল থে‌কে প্র‌তি‌দিনই উল্টোপ‌থে অসংখ্য গা‌ড়ি চলাচল করে।

মোটরসাইকেল, সিএন‌জি, মাইক্রোবাস থেকে শুরু করে সবধরনের গাড়িই প্রায় সময় উল্টোপ‌থে হাতিরঝিলে চলাচল করে। কখনও কখনও হঠাৎ দেখ‌লে ম‌নে হ‌বে, যেন দুই লে‌নের রাস্তায় চলাচল কর‌ছে গা‌ড়িগু‌লো। সাধারণ জনগণ এমন‌কি আইন- শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরাও ছু‌টে চ‌লে উল্টোপথে। ত‌বে অবাক হবার বিষয় ছিল পুলি‌শের ট্রাফিক সার্জেন্ট‌দেরও উল্টোপ‌থে চল‌ার প্রবণতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561473846837.jpg

হা‌তির‌ঝিল ঘুরে দেখা যায়, যেখা‌নে সারা ঢাকায় পু‌লিশ তৎপর মোটরসাইকে‌লের যাত্রী‌দের হেল‌মেট নি‌শ্চিত কর‌তে সেখা‌নে হা‌তির‌ঝি‌লে হেল‌মেটবি‌হীন বাইকা‌রের সংখ্যা অগণিত।

হা‌তির‌ঝি‌লের মহানগর প্র‌জেক্ট সংলগ্ন এক‌টি ডিপার্ট‌মেন্টাল স্টো‌রের মা‌লিক নাম প্রকাশ না করার শ‌র্তে বার্তা২৪.কম‌কে ব‌লেন, ‘স্থানীয় পোলাপান এমন যেন উল্টো আর স‌ঠিক সব পথই তা‌দের কা‌ছে স‌ঠিক। শুধু তারা নয় উবার, পাঠাও বা অন্য যেসব বাইক সা‌র্ভিস আছে তারাও চ‌লে উল্টোপ‌থে। ত‌বে মা‌ঝে মা‌ঝে সার্জে‌ন্টের কা‌ছে ধ‌রা প‌ড়ে অনেককে মামলা খে‌তেও দে‌খে‌ছি। কিন্তু পু‌লিশতো সবসময় থাকে না।'

‌তেজগাঁও সং‌যোগস্থ‌লের খুচরা দোকানী নাম প্রকাশ না করার শ‌র্তে বার্তা২৪.কম‌কে ব‌লেন, ‘সন্ধ্যার দিকে বাইক, সিএন‌জি, মাইক্রোবাসের উল্টোপ‌থে চলাচল শুরু হয়। যারা উল্টোপ‌থে চ‌লেন তারা খুব সতর্ক থা‌কলেও প্রায়ই এখা‌নে দুর্ঘটনা ঘ‌টে। য‌দিও এখন পর্যন্ত মারা যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা চ‌োখে প‌ড়ে‌নি। ত‌বে যেমনটা দে‌খি তা‌তে ক‌বে না জা‌নি কোন দুর্ঘটনায় কতজন মারা যায় আল্লাহ জা‌নে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561473864624.jpg

হা‌তির‌ঝি‌লের নিরাপত্তার দ্বা‌য়িত্বরত আনসার সদস্য সাইফুল হো‌সেন বার্তা২৪.কম‌কে ব‌লেন, ‘এখা‌নে যারা উল্টোপ‌থে চ‌লে তারা সবাই সাধারণ পাব‌লিক তা নয়। আবার সবাই যে পু‌লিশ বা ক্ষমতাধর তাও নয়। কিন্তু সবাই এ প‌থে উল্টো চলার সাহস ক‌রে কারণ সন্ধ্যার দিকে এখা‌নে বাধা দেওয়ার কেউ থা‌কে না। ত‌বে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা যা‌তে না ঘ‌টে সেজন্য এখনই সময় সবার সতর্ক হওয়া। প্র‌য়োজ‌নে পু‌লি‌শের নিয়মিত পাহারা রাখ‌তে হ‌বে।’

স্থানীয় ও হা‌তির‌ঝি‌লের নিয়মিত যারা ঘোরাফেরা করেন তা‌দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হা‌তির‌ঝি‌লে ভোরবেলা আর সন্ধ্যার প‌র (অফিস ছুটির সময়টা) থেকে রা‌ত পর্যন্ত উল্টোপ‌থে চলাচ‌লের প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। তবে দিনভরই কম বেশি উল্টোপথে চালকেরা গাড়ি চালায় হাতিরঝিলে।

সন্ধ্যার প‌রে হাঁট‌তে আসা এক‌টি বেসরকা‌রি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না‌সির উদ্দীন বার্তা২৪.কম‌কে ব‌লেন, ‘কা‌কে কী বল‌ার আছে? এখা‌নে যখন উল্টোপ‌থে পু‌লিশ নি‌জেই চলাচল করে, তখন লজ্জা লাগে। এভা‌বে চল‌তে পা‌রে না। হা‌তিরঝিল ঢাকার গর্ব, এখা‌নে এমন অনিয়ম মে‌নে নেওয়া যায় না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561473981073.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চারা কিছু‌দিন নিরাপদ সড়ক নি‌য়ে আন্দোলন করার পর আমরা সবাই খুব স‌চেতন হ‌য়ে গেলাম, ব্যাপক তোড়জোড়। এরপর কী হ‌লো? সড়‌কে উল্টোপ‌থে চলা, এলো‌মে‌লো পা‌র্কিং, স্ট‌পেজবিহীন যাত্রী ওঠানামা সবতো ঠিকই চল‌ছে। পু‌লিশ শুধু হেল‌মেট খুঁজেন! আমা‌দের নি‌জের নিরাপত্তা যখন আমরা নি‌জেই বু‌ঝিনা তখন যতকথাই ব‌লি লাভ হ‌বে না।’

হা‌তির‌ঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর র‌শিদ বার্তা২৪.কম‌কে ব‌লেন, ‘আমা‌দের সাম‌নে যখন প‌রে আমরা আইনের আওতায় নি‌য়ে আসি তাদের। কিন্তু বিষয়টা মূলত ট্রা‌ফিক বিভা‌গের। আমা‌দের দ্বা‌য়িত্ব আইনশৃঙ্খলা দেখা, এসব দেখার জন্য ট্রা‌ফিক আছে। এখা‌নে দু’একজন ট্রা‌ফিক সা‌র্জেন্ট দি‌লে সবঠিক হ‌য়ে যা‌বে।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ট্রা‌ফিক প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ ক‌মিশনার ম‌ফিজ উদ্দীন বার্তা২৪.কম‌কে ব‌লেন, ‘আমার জানা ছিল না। ত‌বে উল্টোপ‌থে চলাচ‌লের ঘটনা ঘট‌লে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

বাসাবোতে তিন শ্রমিকের মৃত্যু

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মাদারিগঞ্জ থানার গুইনারবাড়ি এলাকার গোলাপ শেখের ছেলে আলতাবুর রহমান (৪০)। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পরিবার নিয়ে রাজধানীর বাসাবো মায়াকানন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। জীবন যুদ্ধে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে সঙ্গে করে ঢাকায় থাকলেও দুই সন্তান থাকতেন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় ফিরে সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন আলতাবুর। কিন্তু দিন পার হওয়ার আগে ফের বাড়ির পথে। তবে এবার নিথর দেহে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে চেপে।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় দিন আগে আলতাবুরের বড় বোন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বোনের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে যান। পাঁচদিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরেছিলেন। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে কাজ শুরুর আগেই ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে মারা যান।

শুধু আলতাবুর নয় রাজধানীর সবুজবাগ থানার আহমেদবাগ ফাস্ট লেন মায়াকানন মসজিদের পেছনের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ১০ তলায় কাজ করতে গিয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আলতাবুর ও মো. অন্তরের মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মফিজুল ইসলাম (২০)কে উদ্ধার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।


শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত তিন জনের কারোই স্বজন উপস্থিত নেই। কয়েকজন পরিচিত, বন্ধু ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় এসেছেন। তাদের কাছ থেকে নিহত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করা মিন্ত্রী মো. হালিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতকাল ভবনের বাইরের দিকে প্লাস্টার করার জন্য বাঁশ দিয়ে মাচা বানানো হয়েছে। আজ সকালে প্লাস্টারের কাজ শুরুর আগে পানি দেওয়ার জন্য আলতাবুর, মফিজ ও শান্ত মাচার ওপরে যান। হঠাৎ মাচার একটি বাঁশ ভেঙে তারা দুই ভবনের মাঝে পড়ে যায়। কপাল খারাপ ছাড়া কিছুই বলার নেই।

তিনি আরও বলেন, আলতাবুর ছয়দিন পর আজ সকালে কাজে আসেন। তার বড় বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। গতকাল রাতে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসেন। আজ সকালে কাজে এসে পানি দিতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময়ে আমি নিচে ছিলাম ওরা ওপরের দিকে ছিলো। নিচে পড়ে যাওয়ার পরপরই মৃত্যু হয় আলতাবুর ও অন্তরের। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মফিজুর।

নিরাপত্তা বেল্ট ব্যবহার করতেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। আমরা কোনো বেল্ট ব্যবহার করতাম না। কেউ কখনো এগুলো ব্যবহার করতে দেয়নি।

রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করা মফিজুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তার কয়েকজন বন্ধু ছুটে এসেছেন ঢামেকের মর্গের সামনে। তারা বন্ধুর লাশের অপেক্ষা করছেন। মফিজুরের বন্ধুরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মফিজুর তিন মাস আগে বিয়ে করেছে। তার বাবাও একজন রাজমিস্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সদর থানার চরপাড়া এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। গতকাল রাত ১০ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাসায় গেছে। সকালে কাজে এসে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

একই ঘটনায় নিহত অন্তরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার তাড়াটিয়া চরপাড়া এলাকায়। তিনি রাজমিন্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

তিন শ্রমিকের ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, বাসাবোর মায়াকানন এলাকায় ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আলতাবুরের স্ত্রী আফরোজা। মামলায় অবহেলা জনিত কারণে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

;

থানচির দুর্গম পাহাড়ে ১১ বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থান‌চির তিন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থুইসাপাড়ার দুর্গম জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ সময় পাহাড়িদের ১১টি বসত ঘর পুড়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) ১০ টার দিকে থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডে থুইসাপাড়ায় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। তবে, বিজিবি সদস্যদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে পাহাড়ি বাড়িঘর ও তাদের অন্যান্য সম্পদ।

আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পাহাড়ি মানুষ আহত হয়েছেন। তা‌দের বিজিবি ক্যাম্পের মেডিক্যাল সহকারী তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে।

বি‌জি‌বির জনসং‌যোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়‌টি নিশ্চিত ক‌রে বলেন, বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) অধীনস্থ জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিজিবির সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গি‌য়ে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার ক‌রে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজিবির কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সাতটি বসতঘর পুড়ে গেলেও রক্ষা পায় কমপক্ষে ১৫‌টিরও বেশি বসত বাড়ি ও অন্য সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে।

২ নম্বর তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, থুইসা পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।

থানচি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইসমাইল মিয়া জানান, তিনি একজনের মাধ্যমে জেনেছেন যে তিন্দু ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা থুইসাপাড়ায় ১১টি বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এলাকাটি দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে সময়মতো খবর পাওয়া যায়নি।

;

মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জে বজ্রপাতে রেদওয়ান আহমদ (১২) নামে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেদওয়ান নোয়াগ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার নোয়াগ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাবার সঙ্গে রেদওয়ান ও তার আরেক ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে রেদওয়ানের শরীরে আঘাত করে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (মিডিয়া) মফিদুল হক সজল।

তিনি জানান, বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশু রেদওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে আর কেউ আহত হননি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

তীব্র দাবদাহে চার বিভাগে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে কয়েক দিন ধরে চলছে গরমের দাপট। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। এ অবস্থায় আবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এ ছাড়া গত এপ্রিলে বেশ কয়েকবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

এর আগে আবহাওয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

;