গোলেনুরের উৎসাহে বদলে যাচ্ছে বদলপুরের নারীরা



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
তানোরের বদলপুরে কাজ করছেন নকশি কাঁথার কারিগররা/ছবি: বার্তা২৪.কম

তানোরের বদলপুরে কাজ করছেন নকশি কাঁথার কারিগররা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সালে তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের বদলপুর গ্রামে গৃহবধূ হয়ে আসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে গোলেনুর বেগম। কৃষক স্বামীর নিজস্ব জমি নেই, পরের ক্ষেতে কৃষিকাজ করে যে আয়; তা দিয়ে সংসার চালানো দায়! বিয়ের এক বছর পর বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পান গোলেনুর। যিনি নকশি কাঁথার কাজের জন্য নারীদের খুঁজছিলেন। স্বামীর অভাবের সংসারে নিজেও অবদান রাখার প্রত্যয়ে কাজ নেন গোলেনুর। কাঁথা প্রতি মজুরি ঠিক হয় সাড়ে ৪০০ টাকা।

শুরুতে দুই/তিনটি কাঁথা নিয়ে এসে কাজ শুরু করেন তিনি। দুই মাসে তিনটি কাঁথা সেলাই ও ‘ফুল তোলা’র কাজ করে ১৩৫০ টাকা আয় হয় তার। বিষয়টি প্রতিবেশি নারীরা জানার পর তারাও কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেন। চাঁপানবাবগঞ্জের আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফায় নিজের জন্য ৫টি এবং প্রতিবেশি দুই নারীর জন্য ২টি করে ৪টি কাঁথা নিয়ে আসেন গোলেনুর। সংসার সামলে অবসরে নতুনদের শিখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও সেলাইয়ের কাজ করেন বাড়ির আঙিনায় বসে। শুরু হয় তানোরের প্রত্যন্ত বদলপুর গ্রামের নারীদের ভাগ্য বদলের গল্প।

গোলেনুরের উৎসাহে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে নকশি কাঁথা সেলাইয়ের কারিগর। কৃষি অধ্যুষিত তানোরের বদলপুর ও আশেপাশের গ্রামের অসংখ্য নারী গোলেনুরের কাছ থেকে নকশি কাঁথা নিয়ে সেলাইয়ের কাজে যুক্ত হয়। বর্তমানে দেড় শতাধিক নারী নকশি কাঁথার কাজ করছেন। ২০ থেকে ২৫ দিনে একটি কাঁথা সেলাই করে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করতে পারেন গ্রামের নারীরা। এতে গৃহবধূ ও্ই নারীরা যেমন খুশি, তেমনি খুশি স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/05/1562307264973.jpg

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বদলপুরে গোলেনুর বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠান, পেছনের পুকুরপাড়সহ চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কিশোরী, তরুণী, মধ্যবয়সী নারী এমনকি বয়োবৃদ্ধারাও নকশি কাঁথা সেলাই কাজ করছেন। গভীর মনোযোগ শৈল্পিক হাতে নিপুণভাবে সুঁই-সুতায় কাঁথায় গ্রাম-বাংলার নানা দৃশ্য তুলে ধরছেন তারা। এক-একটা কাঁথা তিন থেকে চার জন করে গ্রুপ করে গোল হয়ে বসে সেলাই করছেন। সেলাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে চলছে স্বামী-সন্তানের নিয়ে গল্প। কখনও সুখের আবার তা কখনও দুঃখের। গোলেনুরের বাড়িতে কাজ করা নকশি কাঁথার কারিগরদের দেখলেই যে কারও মনে পড়বে পল্লীকবি জসিমউদ্দিনের ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ এর কথা।

সেখানে গিয়ে দেখা গেল গোলেনুর বেগম ঘরের সামনে খুপড়ি রান্নাঘরে ভাত-তরকারি রাঁধতে ব্যস্ত। উঠান থেকে এক কিশোরী তাকে ভাবি সম্বোধনে ডেকে জানতে চাইছে, সেলাইয়ের কাজের একটি অংশের খুঁটিনাটি। রান্নায় মনোযোগী গোলেনুর মুখস্ত বিদ্যার মতো কিছু কথা আওড়ালো। তাতেই কাজ বুঝে নিল ওই কিশোরী!

রান্নাঘরে বসেই গোলেনুর বেগম জানালেন, তিনি অভাবে পড়ে এই কাজ শুরু করেন। তবে এখন এটার জন্য এই এলাকার মানুষ তাকে খুব সম্মান এবং শ্রদ্ধা করেন। এতে গ্রামের অসহায় নারীদের জন্য আরও কিছু করার জন্য প্রত্যয়ী হয়ে উঠছেন গোলেনুর।

তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাড়ির কর্তা সারাদিন মাঠে খাটে। আমরা বাড়িতে রান্না-বান্না করি। তারপর বসেই থাকি। এই কাজ করলে ক্ষতি কী? আমি শুরু করার পর অনেকে আগ্রহী হয়ে কাজ চেয়েছিল। কাঁথা এনে দিয়েছি, শিখিয়েও দিয়েছি। এখন শুধু বদলপুর না, তানোরের আরও অনেক গ্রামের মহিলারা কাঁথা নিয়ে এসে কাজ করছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/05/1562307284795.jpg

গোলেনুর আরও বলেন, ‘কাঁথা এনে দিয়ে আমি একটা কাঁথায় গড়ে ১০০ টাকা করে কমিশন পাই। অথচ তারা (মহাজন) একখান কাঁথা ৫/৭ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায়ও বিক্রি করে। বিভিন্ন জেলায় চলে যায় এসব কাঁথা। ভালোগুলো দেশের বাইরেও যায়। সেগুলোর দাম ৫০ হাজারেরও বেশি হয়। খেটে মরি আমরা, লাভ খাই মহাজন। শোনা যায়, সরকারের লোকজন নাকি গরীব মহিলাদের সাহায্য দেয় কিংবা লোন দেয়। আমরা চেষ্টা করেও কোনো কিছু পাই না। কিছু পুঁজি হলে নিজেই কাঁথা বানিয়ে সেলাই করে বিক্রি করতাম। তাহলে ভালোভাবে সংসার চলতো।’

বাড়ির দক্ষিণ কোণের উঠানে কয়েকজন কিশোরীকে কাজ করতে দেখা যায়। জানা গেল তারা সবাই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সকালে ক্লাস করেন বিকেলে কাজ করে। ছুটির দিনে সারাদিনই কাঁথা সেলাইয়ের কাজ করে। যে টাকা পায়, তা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ হয়েও বাবাকে সহযোগিতা করে করতে পারে।

তাদেরই একজন তাসলিমা খাতুন। এই কিশোরী বলেন, ‘ভাবির (গোলেনুর) কাজ করা দেখে শিখেছি। সহজ কাজ। মাঠে আব্বারা যেমন খাটে, তার চেয়ে তো সহজ। একটু কাজ করলে টাকা পাওয়া যায়। পড়ার খরচটা হয়ে যায়। যা বাঁচে আব্বার হাতে দিয়ে দেই।’

গৃহবধূ লিপি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে আর এক মেয়ে। ওদের বাপ বাইরে বাইরে কাজ করে বেড়ায়। এখন নাটোরে আছে। যখন বাড়ি থাকে না, তখন ছেলে-মেয়েদের যে কিছু কিনে খাওয়াবো সেই টাকাও থাকত না। এখন ছেলেমেয়েদের এটা-ওটা খাওয়ার কিছু টাকা তো দিতে পারি।’

গৃহবধূ লিপির মতোই সংসারের খুঁটিনাটি জিনিস কেনা এবং স্বামীকে সহযোগিতার কথা জানালেন সাজিনুর বেগম, লায়লা পারভিন, সুমি আক্তারসহ নকশি কাঁথার অন্যান্য কারিগররাও।

এদিকে, মোবাইলে নকশি কাঁথার মহাজন চাঁপাইয়ের আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা নকশি কাঁথায় চাহিদানুযায়ী বিভিন্ন ছাপ দিয়ে তার ওপর দিয়ে নানা রঙের সুতোর কাজ করিয়ে থাকি। গ্রামের নারীরা অবসরে এটা সহজেই করতে পারে। তারা চুক্তি করে কাঁথা নিয়ে যায়। তানোরে এখন আমার প্রায় এক হাজার ৪০০ কাঁথা বিভিন্ন গ্রামের মহিলাদের কাছে দেয়া আছে। কাজ শেষে তারা টাকা নেবে আর কাঁথা দিয়ে যাবে।’

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘আমরা এই কাঁথা দেশে এবং বিদেশে বিক্রি করে থাকি। আমাদের এজেন্ট আছেন, তারা পাইকারি এবং খুচরা দরে কাজ অর্ডার করেন। সেই অনুযায়ী সরবরাহ করি। ৫ হাজার থেকে ৫০/৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত একটি কাঁথা বিক্রি করেছি আমি। তবে এখন দাম বেশি পেলেও চাহিদা কিছুটা কম।’

   

গরিব জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখলে লজ্জা লাগে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী উদ্যোগের ফসল এই মেট্রোরেল। বাংলাদেশকে স্মার্ট করতে হলে ঢাকাকে স্মার্ট করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেল এর ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখান থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় যাবো তখন গরিব গরিব চেহারার জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো দেখা যাবে। এসব দেখলে আসলেই লজ্জা লাগে। আমাদের এতো সুন্দর মেট্রোরেলের যুগে এমন জরাজীর্ণ বাসগুলো কি মালিক সমিতির লোকেরা দেখেন না? তারা কি বিদেশ যান না?

;

বগুড়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের (৪০) স্ত্রী আনু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) রাতে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন কৃষক।

রোববার (১৯ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান।

শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান।

এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু'জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলা সামান্য কেটে দেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের লাশ হেফাজতে নিয়ে আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হয়েছে, আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে গলায় সামান্য কেটে দেওয়া হয়।

ওসি আরো বলেন, গলায় যে যতটুকু কাটা দাগ রয়েছে, তাতে গলা কাটার কারণে তার মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে অটোচালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিরপুরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মিরপুর সাড়ে ১১-তে গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

;

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;