পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক

‘প্রফেসর ফারুকের গবেষণা নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির সহায়ক’



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত (পাস্তরিত) দুধে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়োমেডিকেল রিচার্স সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক গবেষণা নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এই গবেষণা নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য বিভ্রান্তকর বলে মনে করে বেসরকারি এই সংগঠন।

সোমবার (১৫ জুলাই) সংগঠনটির চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুধের পরীক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৩টি প্যারামিটার নির্ধারণ করলেও বাংলাদেশে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) মাত্র নয়টি অনুজীব ও ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করে থাকেন। প্রফেসর এ বি এম ফারুক ১৮টি প্যারামিটার অ্যান্টিবায়েটিক, কলিফর্ম, ব্যাকটেরিয়া ও ডিটারজেন্ট পরীক্ষা করেছেন; যাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক চার ধরনের অ্যান্টিবায়েটিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ বিভাগ নমুনা সংগ্রহ ও গবেষণা তথ্য সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশ করার বিষয়ে প্রশ্ন তুললেও নমুনা সব সময় গ্রাহক পর্যায় (বাজার) থেকে সংগ্রহ করার বিধান। কারণ উৎসস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে নমুনায় প্রকৃত তথ্য বের হয়ে আসবে না।

‘উন্নত দেশগুলোতে ২৩টি প্যারামিটারে দুধের পরীক্ষা করার বিধান থাকলেও বিএসটিআই -এর সীমাবদ্ধতা ও সক্ষমতা না থাকায় দেশে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও গবেষণা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করলে দেশে মুক্ত চিন্তা, মত প্রকাশ ও স্বাধীনতা খর্ব হবে।’

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাবির প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক ফারুক নিতান্তই জাতির বিবেকের তাড়নায় গবেষণাটি সম্পাদন করেছেন। আর ঢাবি জাতির বিবেক হিসাবে যেকোনো ক্রান্তিকালে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পাস্তুরিত দুধ নিয়ে যখনই নানা তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে, তখনই তিনি এগিয়ে এসেছেন জাতিকে দিক নির্দেশনা দিতে। সেকারণে তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ।

‘অধ্যাপক ফারুক গবেষণায় পাস্তুরিত তরল দুধের সমস্যাগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি তরল দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করলে তার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে বলেও উল্লেখ করেছেন। তার গবেষণায় যে সমস্ত অসংগতি ও দুর্বলতা ফুটে উঠেছে, তা সংশোধনে নজর না দিয়ে প্রাণিসস্পদ বিভাগ, বিএসটিআই ও দুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উল্টো তাকে নানাভাবে হেনস্তা, হয়রানি ও হুমকি প্রদান করে দেশের ১৬ কোটি ভোক্তার নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির বিষয়কে ভয়াবহ হুমকিতে ফেলে দিচ্ছে।’

‘অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যসম্পাদনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছেন। সে জায়গায় গবেষণা তথ্য জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করায় উল্টো প্রবীণ অধ্যাপকের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করা, কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।’

হাইকোর্ট যে চার প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরিতে পাস্তুরিত তরল দুধ পরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন সেগুলো হলো- জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর-বি) এবং সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।

এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিএসটিআইকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাজার থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করে সংগৃহীত নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, ব্যাকটেরিয়া, কলিফর্ম, অ্যাসিডিটি, স্টাইফলোকাস্টেস ও ফরমালিন আছে কি-না, তা পরীক্ষা করে চারটি গবেষণাগারকে আলাদাভাবে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে, এটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানায় ক্যাব।

উল্লেখ্য, বাজারে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোয় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পরীক্ষার ফলাফল গত ২৫ জুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিচার্স সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেখান যে, পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতেই লেভোফ্লক্সাসিন ও সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ছয়টি নমুনায় এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের চারটি নমুনায় ডিটারজেন্ট এবং অপাস্তুরিত দুধের একটি নমুনায় ফরমালিন পাওয়া গেছে বলে জানান এই গবেষক।

পাস্তুরিত দুধের ব্র্যান্ডগুলো হলো- মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ, ইগলু, ইগলু চকোলেট ও ইগলু ম্যাংগো।

পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির কথা জানানোর পর পরীক্ষার মান নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এর মধ্যেই দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন গবেষকরা। বাজার থেকে সংগৃহীত ১০টি নমুনার সবগুলোতেই অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার কথা জানান গবেষক আ ব ম ফারুক।

প্রথমবারের মতো এবারো পাঁচটি কোম্পানির সাতটি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের ও তিনটি খোলা দুধের নমুনা একই জায়গা থেকে সংগ্রহ করে নিয়ম অনুযায়ী একই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারো সব নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে।

অ্যান্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল চারটি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে প্রথমবার ছিল না, এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দু’টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)। ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে চারটি, ছয়টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তিনটি এবং একটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দু’টি।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, যুগ্ম সম্পাদক আবু মোশারফ রাসেল, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।

   

বাসাবোতে তিন শ্রমিকের মৃত্যু

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও নিথর দেহে বাড়ির পথে আলতাবুর!

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মাদারিগঞ্জ থানার গুইনারবাড়ি এলাকার গোলাপ শেখের ছেলে আলতাবুর রহমান (৪০)। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পরিবার নিয়ে রাজধানীর বাসাবো মায়াকানন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। জীবন যুদ্ধে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে সঙ্গে করে ঢাকায় থাকলেও দুই সন্তান থাকতেন গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় ফিরে সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন আলতাবুর। কিন্তু দিন পার হওয়ার আগে ফের বাড়ির পথে। তবে এবার নিথর দেহে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে চেপে।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় দিন আগে আলতাবুরের বড় বোন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বোনের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে যান। পাঁচদিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকায় ফিরেছিলেন। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে কাজ শুরুর আগেই ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে মারা যান।

শুধু আলতাবুর নয় রাজধানীর সবুজবাগ থানার আহমেদবাগ ফাস্ট লেন মায়াকানন মসজিদের পেছনের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ১০ তলায় কাজ করতে গিয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই আলতাবুর ও মো. অন্তরের মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মফিজুল ইসলাম (২০)কে উদ্ধার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।


শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত তিন জনের কারোই স্বজন উপস্থিত নেই। কয়েকজন পরিচিত, বন্ধু ও দূর সম্পর্কের আত্মীয় এসেছেন। তাদের কাছ থেকে নিহত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করা মিন্ত্রী মো. হালিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গতকাল ভবনের বাইরের দিকে প্লাস্টার করার জন্য বাঁশ দিয়ে মাচা বানানো হয়েছে। আজ সকালে প্লাস্টারের কাজ শুরুর আগে পানি দেওয়ার জন্য আলতাবুর, মফিজ ও শান্ত মাচার ওপরে যান। হঠাৎ মাচার একটি বাঁশ ভেঙে তারা দুই ভবনের মাঝে পড়ে যায়। কপাল খারাপ ছাড়া কিছুই বলার নেই।

তিনি আরও বলেন, আলতাবুর ছয়দিন পর আজ সকালে কাজে আসেন। তার বড় বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। গতকাল রাতে জামালপুর থেকে ঢাকায় আসেন। আজ সকালে কাজে এসে পানি দিতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময়ে আমি নিচে ছিলাম ওরা ওপরের দিকে ছিলো। নিচে পড়ে যাওয়ার পরপরই মৃত্যু হয় আলতাবুর ও অন্তরের। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান মফিজুর।

নিরাপত্তা বেল্ট ব্যবহার করতেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। আমরা কোনো বেল্ট ব্যবহার করতাম না। কেউ কখনো এগুলো ব্যবহার করতে দেয়নি।

রাজমিস্ত্রীর সহকারীর কাজ করা মফিজুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তার কয়েকজন বন্ধু ছুটে এসেছেন ঢামেকের মর্গের সামনে। তারা বন্ধুর লাশের অপেক্ষা করছেন। মফিজুরের বন্ধুরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, মফিজুর তিন মাস আগে বিয়ে করেছে। তার বাবাও একজন রাজমিস্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সদর থানার চরপাড়া এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। গতকাল রাত ১০ টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাসায় গেছে। সকালে কাজে এসে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

একই ঘটনায় নিহত অন্তরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার তাড়াটিয়া চরপাড়া এলাকায়। তিনি রাজমিন্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

তিন শ্রমিকের ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, বাসাবোর মায়াকানন এলাকায় ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন আলতাবুরের স্ত্রী আফরোজা। মামলায় অবহেলা জনিত কারণে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

;

থানচির দুর্গম পাহাড়ে ১১ বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থান‌চির তিন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থুইসাপাড়ার দুর্গম জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এ সময় পাহাড়িদের ১১টি বসত ঘর পুড়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) ১০ টার দিকে থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডে থুইসাপাড়ায় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। তবে, বিজিবি সদস্যদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে পাহাড়ি বাড়িঘর ও তাদের অন্যান্য সম্পদ।

আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পাহাড়ি মানুষ আহত হয়েছেন। তা‌দের বিজিবি ক্যাম্পের মেডিক্যাল সহকারী তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে।

বি‌জি‌বির জনসং‌যোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়‌টি নিশ্চিত ক‌রে বলেন, বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) অধীনস্থ জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ থুইসাপাড়ায় পাহাড়িদের রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিজিবির সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে গি‌য়ে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার ক‌রে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজিবির কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সাতটি বসতঘর পুড়ে গেলেও রক্ষা পায় কমপক্ষে ১৫‌টিরও বেশি বসত বাড়ি ও অন্য সম্পদ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে।

২ নম্বর তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, থুইসা পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।

থানচি উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইসমাইল মিয়া জানান, তিনি একজনের মাধ্যমে জেনেছেন যে তিন্দু ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা থুইসাপাড়ায় ১১টি বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এলাকাটি দুর্গম এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে সময়মতো খবর পাওয়া যায়নি।

;

মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জে বজ্রপাতে রেদওয়ান আহমদ (১২) নামে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেদওয়ান নোয়াগ্রামের মাসুক আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার নোয়াগ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাবার সঙ্গে রেদওয়ান ও তার আরেক ভাই বাড়ির পাশে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে রেদওয়ানের শরীরে আঘাত করে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (মিডিয়া) মফিদুল হক সজল।

তিনি জানান, বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশু রেদওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে আর কেউ আহত হননি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

তীব্র দাবদাহে চার বিভাগে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে কয়েক দিন ধরে চলছে গরমের দাপট। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। এ অবস্থায় আবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জারি করা হয়েছে হিট অ্যালার্টের সতর্কতা।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের স্বাক্ষর করা সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এ ছাড়া গত এপ্রিলে বেশ কয়েকবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

এর আগে আবহাওয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

;