অনিয়ম ও গাফিলতিতে ৪১০ বছরেও অপরিকল্পিত ঢাকা



আবু হায়াত মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাজধানী ঢাকা

রাজধানী ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

জনাকীর্ণ লোকালয় বা শহর হিসেবে ঢাকার ইতিহাস বেশ পুরনো। তবে রাজধানী হিসেবে ঢাকার বয়স প্রায় ৪১০ বছর। ১৬১০ সালে ঢাকাকে বাংলার রাজধানী করা হয়। এই দীর্ঘসময় পরও ঢাকা আজও অপরিকল্পিত নগরী হিসেবে পরিচিত। সেবা বঞ্চিত নগরবাসী, আছে নানা প্রতিকূলতাও।

নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, ঢাকা অপরিকল্পিত হওয়ার অন্যতম কারণ- উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়া, অনিয়ম ও গাফিলতি। বিশেষ করে গত দুই-তিন দশকে নগর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে অনিয়ম এবং গড়িমসি হয়েছে বেশি। তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ঢাকায় মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বড় বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ হচ্ছে।

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠায় বরাবরের মতো এ বছরও বৃষ্টিতে ঢাকার প্রায় সব এলাকায় তীব্র জলজট সৃষ্টি হয়। ঢাকার খাল ও পার্শ্ববর্তী নদীগুলো দখল হওয়ায় নগরীতে জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকার অদূরে নদ-নদী ও উন্মুক্ত জলাধার রক্ষায়ও নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563345346629.jpg

অন্যদিকে, গত ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে দুই সিটি কর্পোরেশন। এরপর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে রিকশা চালকরা। যদিও আন্দোলনের মুখে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এখন অনেকটা শিথিল। ওইসব সড়কে আবারও রিকশা চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ঢাকায় রিকশা চলাচল বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না দুই সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ধীর গতির যান চলাচলে আলাদা লেন করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তবে ঢাকার রাস্তায় রিকশার জন্য পৃথক লেন করা হবে কিনা- সে বিষয়ে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563345364374.jpg

ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তবে ড্যাপ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ পরিবেশ ও নগর পরিকল্পনাবিদদের।

জানা গেছে, মুঘল আমলে ঢাকা বাংলার রাজধানী হলেও বৃটিশ আমলেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করে এই শহরে। এরপর থেকে অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে ঢাকাকে বাংলার বিপণন কেন্দ্র ও বাজার হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯০০ শতকের শুরুর দিকে রমনা একায় সড়কসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ১৯৪৭ সালে শুরু হয় পাকিস্তানি শাসনামল। এরপর থেকেই বুড়িগঙ্গার পাড়কে দক্ষিণ ধরে উত্তরে দ্রুত বিস্তার শুরু করে রাজধানী ঢাকা। যা আজ শুধু উত্তরেই নয় চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563345169201.jpg

১৯৪৭ সালের পর পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী হিসেবে বিকাশ লাভ করে ঢাকা। ঢাকার প্রথম অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি। এরও আগে বসতি, বাণিজ্য ও ব্যবসা কেন্দ্রের বিস্তার ঘটে আজিমপুর, নিউমার্কেট, মতিঝিল, শাহবাগ ও তেজগাঁও এলাকায়।

পরবর্তীতে রাজধানী নগরী হিসেবে ঢাকার উন্নয়নে ১৯৯৩ সালে মহা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)। ১৯৭১ স্বাধীনতার পর স্বাধীন দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ডিটেইল প্ল্যান (ডিএমডিপি)। পরবর্তীতে এটিকে সংশোধন করে নামকরণ করা হয় ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)।

সেন্টার ফর আরবান স্ট্যাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ঢাকার উন্নয়নে ড্যাপের মতো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। সেজন্য নগরবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আইনের তোয়াক্কা না করে খাল ও নদীগুলো ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এর জন্য রাজউকসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৫৯ সালে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঢাকায় যে মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছিল তার অনেকাংশে বাস্তবায়ন হয়েছিল। যার ফর স্বরূপ এখনও ঢাকায় বসবাস করা যাচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সঠিকভাবে ড্যাপ বাস্তবায়ন না হলে ঢাকা অবাসযোগ্যের তালিকার নিচের দিকে নামতে থাকবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/17/1563345185655.jpg

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সারোয়ার জাহান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘নগরীর পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণের সময় পরিবেশ ও জলাধার রক্ষা আইনগুলো সঠিকভাবে না মানার কারণে ঢাকার এই দূরাবস্থা।’

ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান নগরীর বাইরে পাঠাতে হবে। ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখতে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

   

ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ঢাকার ১৮ ওয়ার্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, মৌসুম শুরু আগেই রাজধানীতে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রভাব। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের থেকেও বেশি।

গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার ঘনত্ব ও প্রজনন স্থান নিরীক্ষার জন্য মৌসুমপূর্ব জরিপ কাজ পরিচালনা করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপে বলা হয়েছে, জরিপকৃত তিন হাজার ১৫২টি বাড়ির মধ্যে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপা (কীটপতঙ্গের একটি জীবনপর্যায়) পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবনে, ২১ দশমিক ছয় শতাংশ স্বতন্ত্র বাড়িতে, ২১ দশমিক ৬ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবনে, ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সেমিপাকা বাড়িতে ও এক দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গায় মশার লার্ভা ও পিউপা পাওয়া গেছে।

এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। সাধারণত এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ১০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

জরিপ অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিতে রয়েছে।

উত্তর সিটিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ১২ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে ব্রুটো ইনডেক্স ৪৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ১৩ নম্বর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড, এগুলোতে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ৪০ শতাংশ। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৩১ নম্বর ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ, ১৭ নম্বর ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এরপর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৫২ নম্বর ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৩ নম্বর, ৫ নম্বর, ১৫ নম্বর, ১৭ নম্বর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ শতাংশ ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে।

;

এভারেস্টজয়ী বাবরের পা আজ পড়ছে দেশের মাটিতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন আগেই এভারেস্টের চূঁড়ায় পা পড়েছিল তার। সেখানেই শেষ নয়! এরপর ছুঁয়েছেন লোৎসের শৃঙ্গও। একই অভিযানে দুটি আট হাজারি পর্বতের মাথায় পা রাখা সেই বাংলাদেশি পর্বাতারোহী বাবর আলীর পা পড়ছে দেশের মাটিতে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে নেপাল থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বাবরের।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবর আলীর এভারেস্ট অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ডা. বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ে দেশের মানুষ এবং স্বজনদের মাঝে যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে, তা এক কথায় অতুলনীয়, অভাবনীয়! বাবরের শুভাকাঙ্ক্ষীদের আবদার রক্ষা করতে গিয়েই মূলত আমরা ৩ জুনের পরিবর্তে তাকে ২৮ মে দেশে ফিরিয়ে আনছি।'

গত ১৯ মে হালদা পাড়ের ছেলে ডা. বাবর আলী ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসাবে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহন করেন। এর দুইদিনের মাথায় ২১ মে তিনি বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম স্থান লোৎসে পর্বতের শিখরে আরোহন করেন। এর আগে কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুটি আট হাজারি শৃঙ্গে ওঠেননি।

দেশে ফেরার পর পর্বত আরোহীদের ক্লাব ভার্টিকাল ড্রিমার্স এবং বাবরের শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্যোগে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) হবে সেই আয়োজন।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন ৩৩ বছরের এই তরুণ।

;

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২ জুন ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি ও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

রেলমন্ত্রী বলেন, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ জুনকে ঈদের দিন ধরে আগামী ২ জুন আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

এর আগে, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রস্তাব দেয় হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, এবার ঈদের আগে ৫ দিন ট্রেনযাত্রা ধরা হতে পারে। যদিও গত ঈদে ছুটি বেশি থাকায় ৭ দিন ধরা হয়েছিল। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঈদুল ফিতরে সরকারি ছুটি ছিল প্রায় আট দিন। ঈদুল আজহায় ১৬-১৮ জুন সরকারি ছুটি। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন শুক্র ও শনিবার। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার অফিস করেই বাড়ির পথে ছুটবে মানুষ। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে ছুটি হবে কমপক্ষে পাঁচ দিনের।

;

চাল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা এলাকায় চাল ব্যবসায়ী বকুল বিশ্বাস (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, কে এম এমদাদুল হক ওরফে দুলু (৪০), আনোয়ার হোসেন (৪৫), সানোয়ার হোসেন ওরফে শুক্কুর (৩২), মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৪২), জাহিদ হাসান ওরফে জন্টু (৩৫) এবং মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির (৩৫)।

শিহাব করিম বলেন, কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা এলাকায় আলোচিত চাল ব্যবসায়ী বকুল বিশ্বাস (৫৫) কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকে গতকাল রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।

তিনি বলেন, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাল ব্যবসায়ী বকুল বিশ্বাস ও তার প্রতিবেশী আসামিদের সাথে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত ১৩মে রাতে ভিকটিম বকুল বিশ্বাস বাড়িতে বসে ছিল। তখন আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিকটিম ও তার বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। একপর্যায়ে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত বকুল বিশ্বাস এর ছেলে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় ৩১ জন আসামির নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্তে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল আসামিদেরকে ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;