রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত কুড়িগ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ, জনজীবনে দুর্ভোগ
ঘূর্ণিঝড় রিমালঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে গতকাল (সোমবার) থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে গতকাল বিকেল থেকে দমকা হাওয়ার সাথে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় থমকে যায় কুড়িগ্রামের জনজীবন।
গতকাল (২৭ মে) রাতের ঝড়ো বাতাসের কারণে রাত ১০টার পর থেকে বন্ধ থাকে প্রায় পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। মঙ্গলবার (২৮ মে) এখন পর্যন্ত (সকাল ১১ টা) জেলার ৯টি উপজেলার মাত্র ২ টিতে প্রায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে পেরেছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। অপরদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৯টি ফিডারের মধ্যে ৫টি ফিডার চালু করতে পেরেছে নেসকো। রাতে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস ও বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম জানান, 'গতকাল রাতের ঝড়ে প্রায় সব উপজেলার বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনের পরিস্থিতি দেখে তারপর চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার ১৫টি সাবস্টেশনের এর মধ্যে ১২টি চালু করা হয়েছে। তবে চালু হওয়া সাবস্টেশনগুলোর আওতায় সকল লাইন চালু নেই। আশা করছি দুপুর ২টা নাগাদ প্রায় সকল লাইন চালু করা সম্ভব হবে। এটা নির্ভর করবে লাইন কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর।'
নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) এর কুড়িগ্রাম অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, 'নেসকো'র অধীনে থাকা ৯টি ফিডারের ৫ টি চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত চালু করার কাজ চলছে।'
এদিকে রাত ১০টা থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় কুড়িগ্রাম শহরেই ছাত্রাবাসগুলোতে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জরুরী প্রয়োজনের পাশাপাশি খাবার পানির তীব্র সংকটে রান্না হচ্ছেনা ছাত্রাবাসগুলোতে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাতে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে আজকে (মঙ্গলবার) ঝড়ো হাওয়ায় সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে রংপুর আবহাওয়া অফিস। বুধবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।