ডেঙ্গুর প্রভাবে রক্তের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে



রেজা-উদ-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকে চলছে রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকে চলছে রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রক্তের চাহিদা। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের রক্তে প্রায়ই প্লাটিলেটের (অণুচক্রিকা, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে) মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায় বলে তাদের শরীরে বাইরে থেকে প্লাটিলেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

রোগীর জীবন বাঁচাতে তাই রোগীর স্বজনরা দ্বারস্থ হচ্ছেন ব্লাড ব্যাংকগুলোতে। ন্যূনতম মূল্যে রোগীদেরকে চাহিদা মতো রক্ত কিংবা রক্তদাতা সরবরাহের চেষ্টা করছে ব্লাড ব্যাংকগুলো। তবে হঠাৎ করে রক্তের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ব্লাড ব্যাংক ছাড়াও ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেও অনেকে রক্ত সংগ্রহ করছেন।

রাজধানীর একাধিক ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টার ঘুরে রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় গুণ রক্তের চাহিদা বেড়েছে। সকারি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক হোক কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক সবখানেই একই অবস্থা।

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের একটি বড় সংগঠন বাঁধন। বাঁধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ডোনার হিসেবে রক্ত দেন। বাঁধনের ঢাবি শাখার সভাপতি আহসান উল্যাহ পাঠান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘রক্তের প্রয়োজন হলে সবসময় চাহিদা অনুসারে ডোনার জোগার করে দিই। কিন্তু গত একমাসে রক্তের চাহিদা এত বেড়েছে যে এখন ডোনার জোগার করতে হিমশিম খাচ্ছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564569420181.gif

কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক রক্ত সংরক্ষণ করে। রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রতিনিয়ত সেখানে ভীর লেগেই আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক রোগীর স্বজন ডোনার না পেয়ে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সংরক্ষণ করা কিছুটা পুরনো রক্তও এখান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুস্থ মানুষের রক্তে প্লাটিলেটের হার প্রতি ১০০ মিলি লিটারে দেড় লাখ থেকে চার লাখ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে প্লাটিলেট এক লাখের নিচে চলে আসে। প্লাটিলেট ২০ হাজারের নিচে নেমে এলে কোনো ধরনের আঘাত ছাড়াই শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে, যেমন- নাক বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, মলের সঙ্গে রক্ত আসা ইত্যাদি।

সংগৃহীত রক্ত থেকে প্লাটিলেট পৃথক করতে তা নিতে হয় ট্রান্সফিউশন সেন্টারে। প্লাটিলেট যেহেতু যথাসম্ভব দ্রুত সময়ে রোগীর শরীরে প্রবেশ করাতে হয় তাই স্বজনদের দ্বারা সরবরাহকৃত রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষণ শেষে প্লাটিলেট সংগ্রহ করে স্বজনদের হাতে দিচ্ছে ট্রান্সফিউশন সেন্টারগুলো।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর স্বজনদের ভিড় লেগে রয়েছে। যাদের অনেকেই প্লাটিলেট সংগ্রহের জন্য এসেছেন।

রক্ত সংগ্রহে আসা মনিরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'মেয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডোনার নিয়ে এসে ক্রস ম্যচিং করিয়ে রক্ত দেওয়া হয়েছিল। রক্ত থেকে প্লাটিলেট পৃথক করা হয়েছে সেটাই নিতে এসেছি। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মতো।'

দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সেখানে ভিড় কিছুটা কম। একই চিত্র মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন সেন্টারেরও। তবে রক্তের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564569437005.gif

রক্ত থেকে প্লাটিলেট সংগ্রহে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এর মধ্যে প্লাটিলেট অ্যাপহেরেসিস, র‌্যানডম ডোনার প্লাটিলেট ও সিঙ্গেল ডোনার প্লাটিলেট পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত। পদ্ধতি ও হাসপাতাল ভেদে প্লাটিলেট পৃথকীকরণ খরচও ভিন্ন ভিন্ন।

জানতে চাইলে রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখার ইনচার্জ ডা. জাহিদুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘২০০ মিলি লিটার প্লাটিলেটকে এক ইউনিট বলা হয়। আমরা দুটি পদ্ধতিতে এক ইউনিট রক্তের প্লাটিলেট সংগ্রহ করে থাকি। এর একটি হল অ্যাপহেরেসিস পদ্ধতি, যেটা অনেকটা ডায়ালাইসিসের মতো। এতে খরচ হয় ১৫ হাজার ৮০০ টাকা।’

‘আরেক পদ্ধতিতে চারজন ডোনারের থেকে এক ইউনিট প্লাটিলেট সংগ্রহ করা যায়। এতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। খরচ হয় চার হজার ৭০০ টাকা।’

ডা. জাহিদ বলেন, 'রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যে চাহিদা থাকে তার সঙ্গে গত এক মাসের পরিস্থিতির তুলনা করলে সেটি প্রায় পাঁচগুণ। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৭৫ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করেছি।'

   

লালমনিরহাটে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তিস্তা নদীতে চার বন্ধু মিলে গোসল করতে গিয়ে জিহাদ (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে ) বিকেলে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মুন্সির বাজার তিস্তা পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জিহাদ মিয়া উপজেলার কাশিরাম গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন, আজ বিকেলে বাড়িতে না জানিয়ে চার বন্ধুর সঙ্গে তিস্তা নদীতে গোসল করতে যায় জিহাদ। গোসল করে সবাই উঠে এলেও জিহাদকে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অনেক সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে বন্ধুরা। পরে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জিহাদকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

;

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে নরসিংদীতে চারজন, টাঙ্গাইলে দুইজন ও গাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়। বার্তা২৪.কমে'র জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর...

নরসিংদী

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়া ও শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- চরাঞ্চল আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। তারা সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ নূর হোসেনের স্ত্রী।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

পুরো খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

;

পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পুকুরে লরি, মৃত্যু বেড়ে তিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা বিমানবন্দর সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পুকুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছে আরও তিনজন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাসফিয়া আক্তার (২০) নামের এক তরুণী।

এর আগে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে পতেঙ্গায় বাটারফ্লাই পার্কের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি লরির ধাক্কায় পুকুরে চাপা পড়েন তাসফিয়া, তার স্বামী আনিসুজ্জামান সানি, বোন নুসরাত (৩৫) ও বোনের ৪ বছর বয়সী ছেলে নাজমুস সাবিকসহ ৬ জন পথচারী। পরে স্থানীয়দের সহযোহিতায় তাসফিয়া ও তার স্বামী সানিসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক সানিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে পুুকুরে লরির নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ সাবিককে রাত ১২টায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আর আহত অবস্থায় এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাসফিয়ার বোন নুসরাত, মো. ইমরান (৮) ও নুরুল আমিন (২১)।

জানা গেছে, তিন মাস আগে বিয়ে করেন সানি-তাসফিয়া। শুক্রবার পতেঙ্গার নাজির পাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন তারা। এদিন বড়বোনের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেভাল এলাকায় ঘুরতে যায় তারা। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফুটপাত ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। ওই সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো লরিটি তাদের চাপা দিয়ে বাটারফ্লাই পার্কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়েছে। চালকের সহকারী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, লরিটি মূলত চালক সহকারী কামাল হোসেন চালাচ্ছিল। এক পর্যায়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের উপর দিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।

;

ঝিকরগাছায় যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের ঝিকরগাছায় জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যৌতুকবিহীন ৫০ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এসসিআই বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে ও এসসিআই আরব আমিরাতের অর্থায়নে যশোরের ঝিকরগাছা গাজীরদরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্সে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।

খুলনা বিভাগের অসহায়, এতিম ও আর্থিক সংকটে বিবাহ হচ্ছে না, এমন ৫০ জোড়া পাত্র-পাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য বরকে একটি করে ভ্যানগাড়ি ও কনেকে একটি করে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে সংসার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও দেওয়া হয়েছে।

গণবিয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্স গাজীরদরগাহ ঝিকরগাছার পরিচালক মুফতি নাসিরুল্লাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।

গণবিয়ের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান বলেন, যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে যৌতুক উচ্ছেদের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের প্রকৃত আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে কলুষমুক্ত করতে হবে।

এসময় যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

;