ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে 'ভূমি শিক্ষা'



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা হ্রাস, ব্যবস্থাপনা সহজ করা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভূমিসংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আর প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

জানা গেছে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ‘জাতীয় পাঠ্যক্রমে ভূমিসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক একটি সেমিনার হয়। সেখানে আলোচনায় ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা হ্রাস, ব্যবস্থাপনা সহজতর ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভূমিসংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে ভূমি সচিব বরাবর চিঠি পাঠান ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আবদুল হাই। সেখানে বলা হয়, সেমিনারের আলোচনা ও সুপারিশকৃত বিষয়গুলো ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা যেতে পারে।

সুপারিশে বলা হয়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ভূমির প্রকৃতি, মুসলিম/হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের প্রাথমিক বিষয়, ভূমি সম্পর্কিত কোন সেবা কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অষ্টম শ্রেণিতে নামজারি, রেজিস্ট্রেশন আইন, ভূমি জরিপে সেবাগ্রহীতার নৈমিত্তিক কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত টার্মিনোলজিগুলো সংজ্ঞা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। অষ্টম-দশম শ্রেণিতে পাটিগণিতে উত্তরাধিকার আইনবিষয়ক একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

এছাড়াও অষ্টম থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এবং সমমানের পাঠ্যক্রমে ভূমি ব্যবস্থাপনার ইতিহাস, ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ভূমির শ্রেণি, অর্পিত সম্পত্তি, দেবোত্তর সম্পত্তি ইত্যাদি এবং ভূমি উন্নয়ন কর অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এসব সুপারিশ আমলে নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে।

এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, পাঠ্যবইয়ে ভূমিশিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব আসলেও সেখানে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে ভূমির প্রকৃতি, উত্তরাধিকার আইনের জন্য আলাদা অধ্যায় দেয়া হলেও সেটি শিক্ষার্থীরা কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে সেটাও দেখার বিষয়। কারণ ভূমি কিছু বিষয় স্বাভাবিকভাবেই একটু জটিল। তাই শিক্ষার্থীরা যতটুকু গ্রহণ করতে পারবে, সেটুকুই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইনকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এটি ভালো উদ্যোগ। তবে যেহেতু পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ এসেছে, সুতরাং সিদ্ধান্তটি এনসিটিবিকেই নিতে হবে।

আর গত ১৩ মার্চ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. নাজমুন নাহার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পরিচালক মো. আবদুল হাইয়ের চিঠিতে বলা হয়, একজন মানুষের জন্মের পর থেকে ভূমির সঙ্গে সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। কোনো ব্যক্তি যে পেশাতেই থাকুক না কেন, পৈতৃকসূত্রে বা ক্রয়সূত্রে জমির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্বদ্যিালয়ে অনেক কিছু শেখানো হয়। কিন্তু ভূমি সম্পর্কে আলাদা কোনো বিভাগ বা পাঠ্যসূচি স্কুল-কলেজের বইগুলোতে নেই। কীভাবে জমির হিসাব, নামজারি, জমাভাগ হয় তা অনেক মানুষই জানেন না। অনেক উচ্চশিক্ষিত ও গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করার পরও শুধু ভূমি সম্পর্কিত জ্ঞান না থাকার কারণে সরকারি বা ব্যক্তিগত জমির মালিকানা রক্ষা করতে ব্যর্থ হন।

এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা বার্তাটোয়েন্টাফোর.কমকে জানান, আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি, বিষয়টি ইতিবাচক। তাদের প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করেছি। পাঠ্যপুস্তকের কারিক্যুলাম ডেভলপের যে কাজ চলছে, সেখানে এটি উপস্থাপন করা হবে। কোন ক্লাসে কতটুকু দেয়া যায় সেটি আলোচনা হবে। কারিক্যুলাম ডেভলপের জন্য আমাদের স্টেকহোল্ডার যারা আছেন তাদের সঙ্গে ওয়ার্কশপ হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসব। তখন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, দেশের আগামী প্রজন্ম ভূমি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করুক সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছি যেন পাঠ্যপুস্তকে ভূমি বিষয়ে পড়াশোনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে এ বিষয়ে পাঠ্যক্রম চালু করলে শিক্ষার্থীরা ভূমি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। পাঠ্যবইয়ে ভূমি সম্পর্কে পড়াশোনা চালু করলে সাধারণ মানুষও এ বিষয়ে জানার সুযোগ পাবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সব বয়সী নাগরিকদের ভূমি ব্যবস্থাপনার ধারনা দিতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ 'ভূমি সেবা সপ্তাহ ও ভূমি উন্নয়ন কর মেলা- ২০১৯' এ ভূমি সম্পর্কে সচেতন করতে স্কাউট সদস্য এবং স্থানীয় তরুণদের ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করা হয়। এছাড়া, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বয়স ও শ্রেণি উপযোগী ভূমি শিক্ষা পাঠক্রম সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উদ্যোগ নেয়া হয়। আর বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইতোমধ্যে নিজ কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ভূমি বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করেছেন।

 

   

মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সংসদ সদস্য, ৭৫'র প্রতিরোধ যোদ্ধা ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সদ্য প্রয়াত মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সম্মুখে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে,গত চার দিন আগে ঢাকার বাসায় অসুস্থ হয়ে যান মানু মজুমদার। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

উল্লেখ্য, মানু মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে। তার শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের মন্তলা গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর আগে কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় বাড়ি করে সেখানে ও ঢাকায় বসবাস করতেন।

মানু মজুমদার নেত্রকোনা-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরে তাকে কারাবন্দি করা হয়। দীর্ঘসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

;

নজরদারির অভাবে অধিকাংশ সবজির চড়া দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নজরদারির অভাবে বেশির ভাগ সবজির দাম চড়া বাজারে। সরবরাহের কোন ঘাটতি না থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। একই সাথে মাছ মাংসের বাজারের লেগেছে বাড়তি দামের প্রভাব। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি তাই দাম একটু বেশি।

শুক্রবার ( ২৪ মে ) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায় গেলো সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

এখনো বাড়তি ডিমের দাম

এদিকে সবজির বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিছের দাম ৫০ টাকা। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০ করে কেজি। সেই সাথে লাউ প্রতি পিছ ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা,জালি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কেজি।

এছাড়া পেঁয়াজের আমদানি শুরু হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পরেনি। এখনো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ কেজি। এদিকে কিছুটা বেড়েছে আদার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা করে।

বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০

তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগী ২৩০ টাকা, আর লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

মাছের বাজারে মাছের পর্যন্ত আমদানি থাকলেও বিভিন্ন অযুহাতে এখনো বাড়তি মাছের দাম। বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকা করে।

মাছ ব্যবসায়ী জলিল বার্তা ২৪ কে বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে কম সরবরাহ রয়েছে মাছের। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাছের ওজনের কম দেয়ায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের ঘাটতি হয়। তাই পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের হেরফের তুলনামূলক বেশি থাকে।

লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে

মহাখালী ডিওএইচ থেকে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন মামুন। মামুন বলেন, আমি যে বাসায় কাজ করি তাদের পুরো সপ্তাহের বাজার আমি করি। আগে স্যার টাকা যা দিত তাই দিয়ে সপ্তাহের বাজার শেষ করে হাতে আরও টাকা থাকতো। কিন্তু এখন আর ব্যাগ ভরে বাজার করা সম্ভব হয়না। তাই দিন দিন বাজারের জন্যে যে বাজেট আছে তা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। এছাড়া তার অভিযোগ বাজার তদারকির যারা দায়িত্বে আছের তারা ঠিকঠাক তদারকি করছেন না। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও সব পণ্যের দাম চড়া। 

;

চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি যদি আরও শক্তি অর্জন করে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এটি ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটির গতিপথ কি হবে বা কোথায় আঘাত হানবে তা এখনো সুস্পষ্টভাবে জানাতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা। 

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কারণ আবহাওয়াবিদদের মতে এ সময় রেমাল আঘাত হানতে পারে।

তাপমাত্রা অনুসারে বলা যায়, শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাত ও পরের দিন রোববার (২৬ মে) তাপমাত্রা কমতে পারে।

;

এমপি আনারের মাংস কেটে তৈরি হয়েছে কিমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহের একাংশ বুধবার (২২ মে) উদ্ধারের একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালায় সিআইডি।

মোট ছয়টি গাড়িতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এদিন রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত জিহাদকে নিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি করে সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানিয়েছে, এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়। কিমা করার জন্য মুম্বাই থেকে কসাই এনে মাংস কাটায় হত্যাকারীরা।

পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে তার জন্য বারাসাত আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

;