কাঁচা চামড়ার বাজারে কেন এই দুর্দশা!



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
পড়ে আছে চামড়া, হচ্ছে না বিক্রি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পড়ে আছে চামড়া, হচ্ছে না বিক্রি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে ২০১৪-১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে কমছে কাঁচা চামড়ার দাম। তবে গেল কোরবানির ঈদে কাঁচা চামড়ার দাম বেশি মন্দা লক্ষ্য করা গেছে। ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৌসুমি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে ঠিক কী কারণে কাঁচা চামড়ার দাম নিম্নমুখী- তার স্পষ্ট কোনো জবাব জানা নেই ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের। উভয়ই একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।

মৌসুমি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁচা চামড়ার দামের বিষয়টি নির্ভর করে ফড়িয়া ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের ওপর। গত কয়েক বছর ধরে তারা কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টি করে বাজার থেকে অল্প দামে চামড়া কিনছেন। আর ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে নিজেদের অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি বার বার অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন আড়তদাররা।

হবিগঞ্জ থেকে রাজধানীর পোস্তায় আসা মৌসুমি চামড়ার ব্যবসায়ী মো. জিল্লুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আগে চামড়ার ব্যবসা এমন ছিল না। চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার কম বেশি লাভ হত। কিন্তু এখন ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা ছাড়া কারও পকেটে মুনাফার টাকা যায় না।'

কুমিল্লার হোমনা থেকে আগত মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল জানান, আগে গ্রাম থেকে চামড়া সংগ্রহের করে পোস্তায় বিক্রি করলে ভালো টাকা মুনাফা হত। কিন্তু গত দুই বছর ধরে আর মুনাফার মুখ দেখা যায় না। দিন দিন ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে কাঁচা চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পেছনে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাবি, ট্যানারি ও আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমাচ্ছেন। সাত লাখ পিস কাঁচা চামড়া কেনার কথা বলে ট্যানারি মালিকরা কিনেছেন মাত্র এক লাখ পিস।

কাঁচা চামড়ার বাজারে কেন এই দুর্দশা!

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'চামড়ার বাজারে কোনো সিন্ডিকেট হয় না। মূল সমস্যা হচ্ছে ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে। আমরা একেবারেই চামড়া কিনছি না, বিষয়টি তেমন নয়। কিন্তু আমরা যে পরিমাণ কিনতে চাচ্ছি, তা পুঁজির অভাবে পারছি না। সবার কাছে টাকা থাকলে বাজারে প্রতিযোগিতা থাকত, ফলে চামড়ার দামও বাড়ত।'

রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এ বছর চামড়া সংগ্রহে ট্যানারি মালিকদের ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

সরকারের কাছ থেকে এতো টাকা ঋণ নিয়েও আড়তদারদের টাকা কেন বকেয়া থাকে- এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মালিক সাখাওয়াত উল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আড়তদাররা আমাদের কাছে যে পরিমাণ টাকা পায় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা সত্য নয়। তারা ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকানোর জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আর সরকার যে টাকা ঋণ দিয়েছে তার থেকে গত বছরের ঋণের টাকা পরিশোধ করে আমরা পেয়েছি মাত্র ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া ইতোমধ্যেই সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে সাত হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি আমরা। আমাদের এতো সমস্যা থাকার পরেও আড়তদারদের কম টাকা দিচ্ছি না। কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে আমরা চামড়া কিনছি।'

ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্যানারি ও আড়তদাররা নানা বাহানা করে ঠিকই মুনাফা করছেন। কিন্তু নিজেদের ধন্ধের বিষয়টি দেখিয়ে দুই পক্ষই সিন্ডিকেট করে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকাচ্ছে।

আরও পড়ুন: এতিম-গরিবের হক মেরে দিলো চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট

আরও পড়ুন: চামড়ার বাজারে সিন্ডিকেট কারা!

আরও পড়ুন: চামড়ায় নিঃস্ব ফড়িয়ারা, লাভবান আড়তদাররা

   

প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে 'রেমাল', অবস্থান জানাল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এটি আজ মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে। এরপর শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে।

রেমালের সর্বশেষ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আবাওহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি সর্বশেষ গতকাল শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।

এদিকে এর প্রভাবে আজ দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরই পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের দেশের সব বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।‌

;

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় ১৫ জেলা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

;

শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে আইলার মতো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় আইলার মতোই ভয়ঙ্কর হবে। রেমালে রূপ নেওয়ার পর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।

এটি আজ মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে। এরপর শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে।

এ সময় উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।  ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫ ফুটের অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে। 

একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এর আগে, বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে।

বিডব্লিউওটি জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিডব্লিউওটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেনের সই করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।

আরও বলা হয়, এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তিমাত্রা হতে পারে ক্যাটাগরি-১। তবে আশা করা যায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি এটি গতিবেগ পাবে না। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে এটি তার পূর্ণ শক্তিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে। ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে এটি অতি প্রবল আকার ধারণ করে আঘাত হানতে পারে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় ১৫ জেলা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটার। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ পরিণত হয়েছে।

এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার

সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ: ০৭ (সাত) নম্বর) বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৬ (ছয়) নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি) থেকে অতিভারী (২৮৯ মি.মি) বর্ষণ হতে পারে।

এক নির্দেশনায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতেও বলা হয়েছে।

;