ইউরোপ চামড়া না কিনলে ব্যবসা চাঙা হবে না



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
পুরান ঢাকার আড়তে চামড়া, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পুরান ঢাকার আড়তে চামড়া, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টি। তবে এ বৃষ্টি রাজধানীবাসীর মনে শীতল পরশ বুলিয়ে দিলেও চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। বৃষ্টিস্নাত দিনে নগরবাসী যখন কোরবানির গরুর মাংসের সঙ্গে খিচুরির স্বাদ নিতে ব্যস্ত, তখন বিনিয়োগের টাকা তুলে আনার ভাবনায় চামড়া ব্যবসায়ীরা।

৫০ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ মোস্তাকিম। আইয়ুব খানে আমলে ৯ টাকা দামের গরুর চামড়া ৩ টাকায় বেচা-কেনা হতে দেখেছেন। তখনও কোনও চামড়াই নষ্ট হত না। অথচ বিগত কয়েক বছর ধরে চামড়ার দামের পতন ও এবার তাঁর চূড়ান্ত রূপ দেখে ভীষণ হতাশ তিনি। হতাশাগ্রস্ত কণ্ঠে মোস্তাকিম বলেন, ‘এতদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে আছি কিন্তু এত বাজে ব্যবসা আর কখনো দেখিনি।’

ইউরোপ চামড়া না কিনলে ব্যবসা চাঙা হবে না

বুধবার (১৪ আগস্ট) মোস্তাকিমের সঙ্গে কথা হয় দেশের সবচেয়ে বড় কাঁচা চামড়ার বাজার রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তায়। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই পোস্তায় কাঁচা চামড়া বেচা-কেনা হয়। বিশাল এলাকা জুড়ে ছিল আড়তদারদের আড়ত। সময়ের সঙ্গে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত অনেকেই দেউলিয়া হয়ে এই পেশা ছেড়ে চলে গেছেন।

মোস্তাকিম বলেন, বাংলাদেশের চামড়ার বড় বাজার ছিল ইউরোপ। অথচ গত কয়েকবছর ধরেই তারা চামড়া নিচ্ছে না। আমেরিকাও বিমুখ। ইউরোপ আমেরিকা যদি চামড়া না নেয় তাহলে কোন কিছু করেই ব্যবসায় চাঙাভাব ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ইউরোপের ক্রেতারা যখন এদেশে চামড়া নিত তখন একটি মাঝারি গরুর কাঁচা চামড়া এই পোস্তায় ২/৩ হাজার টাকায় কেনা-বেচা হত। অথচ এখন ১০০ টাকাতেও গরুর চামড়া কেউ কিনছে না। ছাগলের চামড়া ৫ টাকা ১০ টাকা। ভেড়া মহিষের কোন কথাই নেই।

ইউরোপ চামড়া না কিনলে ব্যবসা চাঙা হবে না

ঈদের পর যে পোস্তায় কাঁচা চামড়া কেনা-বেচা, প্রক্রিয়াজতকরণে শ্রমিকরা থাকত ব্যস্ত, এবার তারা অতীতের দিনগুলোর স্মৃতিরোমন্থন করে দিন কাটাচ্ছেন। রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে গরু, ছাগলের চামড়া। কোথাও কোথাও চামড়া এখনও স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের থেকে কেনার লোক নাই।

বৃষ্টিতে পচা চামড়া থেকে কটু গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনভ্যস্ত যে কারো জন্যে সেখানে নিশ্বাস নেওয়াটা দায়। চামড়া নেওয়ার ক্রেতা নেই দেখে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সিটি করপোরেশনের গাড়িতে তুলে ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

শ্রমিক আব্দুর রহিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আগে যখন কাজের ব্যস্ততা ছিল তখন এখানকার পরিবেশ থাকতো একদম ভিন্ন। এই যে রাস্তায় চামড়া পড়ে থাকতে দেখছেন, দাম থাকলে রাস্তায় একটা চামড়াও থাকত না। ছেঁড়া ফাটা সবই তখন বিক্রি হয়ে যেত। চাহিদা নাই, দামও নাই।

ইউরোপ চামড়া না কিনলে ব্যবসা চাঙা হবে না

এদিকে চামড়ার দাম না থাকায় উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু হঠাৎ করে সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তে এ শিল্প খাতের কোনও উপকার হবে না বলে মনে করেন আড়তদাররা।

আড়তদার হাজী সমীরউদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কোরবানির কমপক্ষে ৩৬ ঘণ্টা পর সরকার কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্তের কথা জানালো। অথচ ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার সেটা হয়েই গেছে। কমপক্ষে ৪/৫ মাস আগে থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচারণা চালাত তাহলে সমূহ লোকসানের হাত থেকে ব্যবসায়ীরা বেচে যেত।

কাঁচা চামড়ার ক্রেতা ব্যবসায়ীদের মতে, চামড়া দেশের সম্ভাবনাময় একটা শিল্প। গুণগতমানের দিক থেকেও বাংলাদেশের গবাদি পশুর চামড়া উন্নতমানের। আর সে কারণে এক সময় বিদেশি বায়াররা এদেশ থেকে চামড়া কিনত। অথচ এখন তারা বাংলাদেশ বিমুখ। এর কারণ সরকারকে অনুধাবন করতে হবে। চামড়াশিল্পকে টিকিয়ে রাখা শুধু নয় বিকশিত করতে হলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে পাটশিল্প যেমন ধ্বংস হয়ে গেছে, চামড়া শিল্পও ধ্বংস হয়ে যাবে।

   

সাবেক আইজিপি বা সেনা প্রধান দোষী হলে সরকার বাঁচাতে যাবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'বিচার বিভাগ ও দুদক স্বাধীন। সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে প্রটেক্ট (রক্ষা) করতে যাবো না, সে সাবেক আইজিপি বা সেনা প্রধান হলেও।'  

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিষয়টি দেখতে হবে, অপরাধী যত প্রভাবশালী হোক, প্রশ্ন থেকে যায় সরকার অপরাধের শাস্তি পাবার ব্যাপারে সৎ সাহস দেখিয়েছে কি না। শেখ হাসিনা সরকারের সে সৎ সাহস আছে। কেউ পারবে না। বিচার বিভাগ, দুদক স্বাধীন। সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে প্রটেক্ট করতে যাবো না। সেখানে কোন সাবেক আইজিপি বা কোন সাবেক সেনা প্রধান হোক না কেনো। সরকারের কাউকে প্রটেকশন দেয়ার বিষয় নেই।'

আবরার হত্যাকাণ্ড যাদের দণ্ড হয়েছে তাদের সবাই ছাত্রলীগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কিন্তু সরকার তাদের প্রটেকশন দিতে যায়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাদের ফাঁসি হয়েছিল তাদের সরকার প্রটেকশন দিতে যায়নি। কথা হচ্ছে ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে কিন্তু কথা হচ্ছে সরকার প্রটেকশন দিচ্ছে কি না। শেখ হাসিনা সরকার এখানে জিরো টলারেন্স। অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।'

এসময় সাবেক সংসদ সদস্য, '৭৫'র প্রতিরোধ যোদ্ধা ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মানু মজুমদারের প্রয়াণে তার কথা স্মরণে তিনি বলেন, খুবই প্রচার বিমুখ ছিলেন। কখনো তাকে ক্যামেরার সামনে মুখ দেখানো, চেহারা দেখানো এবং এর জন্য আমাদের কিছু কিছু লোকের যে প্রবণতা সেটা মানু মজুমদারের মধ্যে কখনো দেখিনি। তিনি আমাদের সংসদ সদস্য ছিলেন। গত সংসদে তিনি ছিলেন। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যে প্রতিরোধ যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন জন্ম নিয়েছিলো, তার সাধারণ সম্পাদক হিসবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়েছিলো, যেখানে সুদীর্ঘ তেরো বছর কারাগারে ছিলেন। আমার সাথেও জেলে দেখা হয়েছিলো।' 

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

এমপি আনার হত্যার আরও তথ্য জানতে জিহাদকে তোলা হচ্ছে আদালতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার জিহাদ হাওলাদারকে (২৪) শুক্রবার (২৪ মার্চ) কলকাতা আদালতে তোলা হচ্ছে। 

নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙরের কৃষ্ণ মাটিতে ফেলা হয়েছে। মাংস ও হাড় আলাদা করে কিমা বানিয়ে করা হয় প্যাকেট।

বৃহস্পতিবার রাতে এমপি আজিমের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ক্যাব চালকের এমন স্বীকারোক্তির পর ওই স্থানে তল্লাশি শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এদিন বাংলাদেশি জিহাদ হাওলাদার জিহাদ নামে এক যুবককে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করে সিআইডি। জিহাদ ভারতের মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে, সে বাংলাদেশের খুলনা জেলার দীঘলিয়া থানার বারাকপুরের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে। মুম্বাইয়ে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করত।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের পরিবহণ ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে তাকে বারাসাত আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

;

মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সংসদ সদস্য, ৭৫'র প্রতিরোধ যোদ্ধা ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সদ্য প্রয়াত মানু মজুমদারের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সম্মুখে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে,গত চার দিন আগে ঢাকার বাসায় অসুস্থ হয়ে যান মানু মজুমদার। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সে ভর্তি করা হলে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

উল্লেখ্য, মানু মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে। তার শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের মন্তলা গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর আগে কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় বাড়ি করে সেখানে ও ঢাকায় বসবাস করতেন।

মানু মজুমদার নেত্রকোনা-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। পরে তাকে কারাবন্দি করা হয়। দীর্ঘসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

;

নজরদারির অভাবে অধিকাংশ সবজির চড়া দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নজরদারির অভাবে বেশির ভাগ সবজির দাম চড়া বাজারে। সরবরাহের কোন ঘাটতি না থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। একই সাথে মাছ মাংসের বাজারের লেগেছে বাড়তি দামের প্রভাব। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি তাই দাম একটু বেশি।

শুক্রবার ( ২৪ মে ) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজার ঘুরে দেখা যায় গেলো সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

এখনো বাড়তি ডিমের দাম

এদিকে সবজির বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিছের দাম ৫০ টাকা। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০ করে কেজি। সেই সাথে লাউ প্রতি পিছ ৫০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা,জালি কুমড়া ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা কেজি এবং ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কেজি।

এছাড়া পেঁয়াজের আমদানি শুরু হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পরেনি। এখনো আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ কেজি। এদিকে কিছুটা বেড়েছে আদার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা করে।

বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০

তবে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগী ২৩০ টাকা, আর লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

মাছের বাজারে মাছের পর্যন্ত আমদানি থাকলেও বিভিন্ন অযুহাতে এখনো বাড়তি মাছের দাম। বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, বাইল্লা ১০০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকা করে।

মাছ ব্যবসায়ী জলিল বার্তা ২৪ কে বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে কম সরবরাহ রয়েছে মাছের। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাছের ওজনের কম দেয়ায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের ঘাটতি হয়। তাই পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের হেরফের তুলনামূলক বেশি থাকে।

লাল মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে

মহাখালী ডিওএইচ থেকে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন মামুন। মামুন বলেন, আমি যে বাসায় কাজ করি তাদের পুরো সপ্তাহের বাজার আমি করি। আগে স্যার টাকা যা দিত তাই দিয়ে সপ্তাহের বাজার শেষ করে হাতে আরও টাকা থাকতো। কিন্তু এখন আর ব্যাগ ভরে বাজার করা সম্ভব হয়না। তাই দিন দিন বাজারের জন্যে যে বাজেট আছে তা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। এছাড়া তার অভিযোগ বাজার তদারকির যারা দায়িত্বে আছের তারা ঠিকঠাক তদারকি করছেন না। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও সব পণ্যের দাম চড়া। 

;